বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য নতুন ফিচার আনছে মেটা
বিজ্ঞাপন প্রচারে সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বা এআই ফিচার নিয়ে এলো মেটা। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সহজে পণ্য ও সার্ভিসের প্রচারণা করতে সাহায্য করবে এসব ফিচার। এর মাধ্যমে মেটার এআই চ্যাটবটটি আরও উন্নতমানের ছবি তৈরি করে দিতে পারবে। মেটার দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের লামা (মেটার লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল) মডেল নতুন এআই ফিচারগুলোকে সমর্থন দেবে।  মেটা বলছে, কোম্পানিটি টেক্সট তৈরির ফিচার উন্নত করার চেষ্টা করছে। ফিচারটি ব্র্যান্ডগুলো প্রচারণার জন্য উপযুক্ত মেসেজ তৈরি করতে সাহায্য করবে। কোম্পানিটি বিজনেস নিউজরুম পেজে এক পোস্টে ফিচারগুলোর ঘোষণা দেয়। মেটা বলছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য জেনারেটিভ এআই ফিচারগুলো চালু করা হয়েছে। যেমন– ছবি ও টেক্সট তৈরির ফিচার। ব্যবসার বিকাশে সাহায্য করার জন্য নতুন টুল ও সেবাগুলো আনা হচ্ছে।  ব্র্যান্ডগুলো চ্যাটবটে কোনো ছবি রেফারেন্স হিসেবে দিলে সে অনুযায়ী বেশ কয়েকটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ছবি তৈরি করে দেবে এই এআই ফিচার। এসব রেফারেন্স ছবি পণ্যের ছবি বা ব্র্যান্ডের অন্য কোনো ছবি হতে পারে। এ ছাড়া ছবিটি বিভিন্ন আঙ্গিকে তৈরির জন্য টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া যাবে। এভাবে এআই একই ছবির বেশ কয়েকটি সংস্করণ তৈরি করে দেবে। মেটা বলছে, ‘মনে করুন, আপনি একটি কফির ব্যবসার জন্য একটি কফিপূর্ণ কাপ দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে চাইছেন। আমাদের জেনারেটিভ এআই এই বিজ্ঞাপনের আরও কয়েকটি ধরন তৈরি করতে পারবে। যেমন– একটি সুন্দর খামারবাড়ির দৃশ্য পেছনে জুড়ে দেওয়া হবে এবং কফি কাপটি দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য বিভিন্ন অপশন থাকবে। অপশনগুলো থেকে নিজের পছন্দ বাছাই করতে পারবেন।’  এ ছাড়া টেক্সট ওভারলে ফিচারের মাধ্যমে ছবির ওপর টেক্সটজুড়ে দেওয়া যাবে। এই টেক্সট বিজ্ঞাপনদাতারা তৈরি করতে পারবেন বা এআই দিয়েও তৈরি করা যাবে। টেক্সট প্রম্পট ফিচার হেডলাইন ও পোস্টের জন্য ক্যাপশনও তৈরি করে দিতে পারবে। টেক্সট ওভারলে স্টোরি ও রিলসের ক্ষেত্রে বেশি কাজে দেবে ও আর টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে পুরো পোস্ট তৈরি করা যাবে।  বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্টের জন্য ছবিগুলো রিসাইজও করা যাবে। যেমন ফেসবুকের পোস্টের জন্য তৈরি ছবিটি রিলস বা স্টোরির জন্য রিসাইজ করা যাবে। এআই ফিচারগুলো ছবি ব্যাকগ্রাউন্ডও তৈরি করে দেবে। পাশাপাশি ছবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পণ্যটির সাইজও পরিবর্তন করতে পারবে। ফিচারগুলো প্ল্যাটফরমটির অ্যাড ম্যানেজারের ভেতরে অ্যাডভানটেজ প্লাস ক্রিয়েটিভ অপশনে পাওয়া যাবে।
০৯ মে, ২০২৪

গুগল মেটা ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে তদন্তে ইইউ
গুগল, মেটা ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অপ্রতিযোগিতামূলক আচরণের জন্য এ তদন্তের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (২৫ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা, অ্যাপল, এবং গুগলের মাতৃপ্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্টের (ডিএমএ) সম্ভাব্য লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। ২০২২ সালে এ আইনটি প্রবর্তন করা হয়েছিল। কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিপুল অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে পারে।  ইইউর দুর্নীতিবিরোধী ট্রাস্টের প্রধান মার্গারেট ভেস্তাগের এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রধান থিয়েরি ব্রেটন সোমবার এ তদন্তের ঘোষণা দেন। ফলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।  বর্তমানে বিশ্বের ৬টি কোম্পাটি ডিএমএ আইন মেনে চলছে। যদিও এর বাইরে আরও অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। আইনে মেনে চলা কোম্পানিগুলো হলো অ্যালফাবেট, অ্যাপলম মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট এবং বাইটড্যান্স।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এসবের কোনো কোম্পানি ইউরোপভিত্তিক নয়। এরমধ্যে ৫টি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক। এ ছাড়া বাইটড্যান্স হলো বেইজিংভিত্তিক কোম্পানি।  বর্তমানে তদন্তের মুখে পড়া এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহ আগে অভিযোগ করা হয়েছিল। অ্যাপলের এক মুখপাত্র জানান, তারা তদন্তে অংশ নেবেন। প্রতিষ্ঠানটি আইন মেনে পরিচালিত হয় বলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা জানান তিনি।
২৫ মার্চ, ২০২৪

প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে মেটা প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বৈঠক করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এ বৈঠক হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, প্রাইভেসি, এআই ম্যাটার এক্সপার্ট আরিয়ান জিমেনেজ এবং কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ নয়নতারা নারায়ণ। বৈঠকে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুকের কাছে নিয়মিত তথ্য চায়। ২০১৬ সালে প্রথম তথ্য দেয় ফেসবুক। দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়া মাত্রই যেন দেওয়া হয় সেজন্য বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের কথা এবারেও বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সেবা আরও সহজ করতে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এআইর নেতিবাচক ব্যবহার এবং ঝুঁকি কমাতে সরকার একটি আইন করতে চায়। মেটা চাইলে এআই পলিসির খসড়া প্রণয়নে অংশ নিতে পারে। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মানুষকে সংযুক্ত করার একটি মাধ্যম ফেসবুক। এর ইতিবাচক দিক নিয়ে কাজ করছি ও ভবিষ্যতেও চাই। আমরা সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ভারতের পলিসির আদলে আইন করতে চাই। বৈঠকে ছিলেন আইসিটি বিভাগের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজর এবং কম্পোনেন্ট লিডার (ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এবং ডিজিটাল ইকোনমি) আব্দুল বারী।
২১ মার্চ, ২০২৪

আয়াতুল্লাহ খামেনির অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিল মেটা
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে মেটা। গত মাসে তার অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ ) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে না। মেটা জানিয়েছে, তার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এর মানে হলো এগুলোকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  মেটার এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তিদের’ বিষয়ে বারবার নীতি ভঙ্গ করায় আমরা এসব অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছি।  খামেনির অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান। তিনি মিডলইস্ট আইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এটা অবৈধ ও অনৈতিক।  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন বিপ্লবী নেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বাতিল করা কেবল বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি তার লাখ লাখ অনুসারী ও সংবাদ প্রকাশের জন্য অপমানজনক।   
১০ মার্চ, ২০২৪

এ বছর বাড়তি সতর্কতায় মেটা
এ বছর বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বৃহৎ দেশ ও সংস্থার জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এমন প্রেক্ষাপটে সঠিক তথ্যের আদানপ্রদানে এবং মিথ্যা তথ্যের প্রচার মোকাবিলায় নির্বাচনী প্রচারণা, বিজ্ঞাপন এবং সংবাদ সম্পর্কে বাড়তি সতর্ক থাকছে মেটা। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, থ্রেডস এবং ইনস্টাগ্রামের মতো মেটা প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে যেন মিথ্যা তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো না হয়, সে বিষয়ে নিজেদের পূর্ব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইর প্রতি বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখবে মেটা। ২০২৪ সালকে নির্বাচন কেন্দ্রিক ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে মেটা। প্রার্থীরা প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন; আবার ২০১৬-এর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ভোটাররা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রভাবিত হবেন না; এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় করতে হবে মেটাকে। সম্প্রতি এক ঘোষণায় মেটা জানায়, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিতে ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। একই সময়ে তথ্যগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় প্রায় ৪০ হাজার লোকবল কাজ করছে মেটার সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আর কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমন বিনিয়োগ করছে না বলেও দাবি করেছে মেটা। বিজ্ঞাপনে স্বচ্ছতা নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন প্রকাশে আরও স্বচ্ছতা আনতে যাচ্ছে মেটা। ২০১৮ সাল থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে ‘পেইড ফর বাই’ ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে যথাযথ দলিল দিয়ে ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ ভেরিফাই করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় গত ৭ বছরে মেটা তথা ফেসবুকের অ্যাড লাইব্রেরিতে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ১৫ মিলিয়নের বেশি নিবন্ধন যুক্ত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি ২০০ ক্যাম্পেইন বন্ধও করেছে ফেসবুক। বিশ্বজুড়ে বন্ধ করা হয়েছে ৭০০টির বেশি গ্রুপ। অনুমোদনহীন কার্যক্রমের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল এসব গ্রুপে। ব্যবহারকারীদের ‘রিপোর্ট’ ছাড়াও মেটা নিজস্ব অ্যালগরিদমের মাধ্যমেও যেন সন্দেহজনক নির্বাচনী প্রচারণা শনাক্ত করতে পারে, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ নজর এআইতে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করে নানা কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। এসব কনটেন্টে বিশ্বাসযোগ্য টেক্সট, ছবি, ভিডিও এবং অডিওর আড়ালে গুজব ছড়ানো হতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছে মেটা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন ব্যক্তিদের ছবি, ভিডিও এবং কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি করবে অপপ্রচারকারীরা। সেসব কনটেন্ট সাধারণ চোখে দেখে আসল মনে হতে পারে। এসব কনটেন্টে দেওয়া বার্তা খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করবেন, যা থেকে দাঙ্গা, হাঙ্গামার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে বিশেষ নজর থাকবে মেটার। বিশেষ লেবেল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যেও নজর রাখবে মেটা। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডস আইডিতে বিশেষ একটি ‘লেবেল’যুক্ত থাকবে। মেটা বলছে, এ থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন যে, কোন কনটেন্ট সাধারণভাবে প্রকাশিত এবং কোনটি সরকারি প্রচারযন্ত্র থেকে এসেছে। এমনকি এসব গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন প্রচারও যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ রাখবে মেটা।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ইউরোপে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সাবস্ক্রিপশন চালু করছে মেটা
বিজ্ঞাপনমুক্ত সেবা দিতে ইউরোপের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন সেবা চালু করতে যাচ্ছে মেটা। তবে এ সেবা কবে থেকে চালু হবে তা জানা যায়নি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রিপশনের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে তা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা। প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউরোপে মেটার বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন– ট্র্যাকিং পরিষেবা ও ডেটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে মেটার।  যার কারণে ইউরোপে নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডস আনতে দেরি করছে মেটা। ইউরোপের নতুন ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট নিয়েও মেটা উদ্বিগ্ন।  ইউরোপের ব্যবহারকারীর ডেটা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করার দায়ে আয়ারল্যান্ডের ডেটা নিরাপত্তা কমিশন ডেটা নিরাপত্তা আইনে (জিডিপিআর) মেটাকে ১৩০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে। 
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভোটের সময় মেটা ঠেকাবে ফেসবুকে অপপ্রচার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ফেসবুকে অপপ্রচার রোধে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করবে মেটা। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে ‘সাম্প্রদায়িকতা, বিদ্বেষ ও সহিংসতা’ ছড়ানো কনটেন্ট ঠেকাতে কার্যক্রম শুরু করবে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসির অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করে মেটার তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে নির্বাচনের সময় ফেসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার রোধে মেটার ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে নির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকায় বৈঠকে ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইসি সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে মেটার প্রতিনিধিদলের বৈঠকের কথা থাকলেও পূর্বনির্ধারিত ও নির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকায় শেষ পর্যন্ত সিইসি বা অন্য কমিশনারদের কেউই এতে ছিলেন না। মেটার প্রতিনিধিরাই ইসির সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে মেইলের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তারা কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা দেননি। ইসি থেকেও তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠায় ইসি। সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও এসব ইস্যুতে ফেসবুক থেকে তৎকালীন ইসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই কমিশন তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা চুক্তিতে যায়নি। তাদের মতো বর্তমান কমিশনও ‘ধীরে চলো’ নীতিতে রয়েছে। তবে মেটার প্রতিনিধিদলটি পরে সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বৈঠকে বাংলাদেশে মেটার হেড অব পাবলিক পলিসি রওজন সারওয়ার, হেড অব এপিএসি গ্লোবাল রেসপন্স আইদান হয় এবং রেগুলেটরি স্পেশালিস্ট ইউজিন পোহ ছিলেন। আর ইসির পক্ষে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম, এনআইডি সিস্টেম ম্যানেজার আশরাফ হোসেন ছিলেন। বৈঠক শেষে অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ফেসবুকের একটি টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বসেছিলাম। মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাসূচক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়। সেগুলো তারা (মেটা) ডিলিট করবে, রিমুভ করে দেবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়। তিনি আরও বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাই সময় চেয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ মিটিং হলো।
০৪ আগস্ট, ২০২৩

মেটা আনল লামা ২
পরবর্তী প্রজন্মের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল মেটা তথা লামা ২ নিয়ে এলো মেটা ও মাইক্রোসফট। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ল্যাঙ্গুয়েজ মডিউল গবেষণা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বৃহৎ পরিসরে এআই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া হলে সবাই উপকৃত হবে এমন ধারণা থেকেই লামা ২ সবার জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মেটার। মেটা বলছে, লামা ২ গবেষক, বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপের মতো প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে গবেষণা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত নতুন নতুন সমস্যা চিহ্নিত করা এবং তার সমাধানের উপায়ও বের হয়ে আসবে এর মধ্যে দিয়ে। এদিকে লামা ২ নিয়ে মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারত্ব জেনারেটিভ এআই ল্যাঙ্গুয়েজ মডিউলে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার মতো অর্জন হিসেবে দেখছে মেটা। মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ জানান, এজিউর এআই মডেল ক্যাটালগে এখন লামা ২ ব্যবহার করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে এটিকে উইন্ডোজে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে ফলে প্রচুরসংখ্যক গ্রাহকের এললামা ২ দিয়ে সেবা দেওয়া যাবে। আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস, হাগিং ফেস এবং অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মকেও এটি পাওয়া যাচ্ছে।
২৩ জুলাই, ২০২৩
X