Thu, 16 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন
৩ মিনিট আগে
চাঁদপুরে ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
৩ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না
৪ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স প্রশিক্ষণ পেলেন বিমানের কর্মকর্তারা
১১ ঘণ্টা আগে
আ.লীগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
১১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ চালু
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ফিপিওথেরাপি ইউনিটও চালু করা হয়। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিজিক্যাল মেডিসিনের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেনারেল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. পলাশ নাগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদী, রেনেটে লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার তাবরিজ আলম জিশান ও রিজিউনাল সেলস ম্যানেজার আহসানুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। বিলম্বে হলেও আজ বিভাগটি চালু করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব শ্রেণির মানুষ শারীরিক নানা সমস্যায় ভোগে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা নিতে হয়। এখন মানুষ নামমাত্র টাকায় টিকিট কেটে হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা নিতে পারবেন। জেনারেল হাসাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. পলাশ নাগ বলেন, প্রথমবারের মতো জেনারেল হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ফিজিক্যাল মেডিসিন চিকিৎসায় জরুরি কিছু চিকিৎসা উপকরণ নিয়ে ফিজিওথেরাপি ইউনিটও চালু করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকা ফি দিয়ে থেরাপি গ্রহণ করা যাবে। আশা করি, রোগীরা এ বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হবেন। সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিভাগটি চালু করা হয়েছে। এটি সুখবর। সব শ্রেণির মানুষের চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে কিছু চিকিৎসা উপকরণ ক্রয় করে থেরাপি সেন্টার চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
নানা সংকটে ভুগছে যবিপ্রবির ভেটেরিনারি অনুষদ
নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পূর্বের ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যবিপ্রবির অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। তবে প্রায় ৩৬০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ২ জন স্থায়ী শিক্ষক, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীদের অনুপস্থিতি, ২ বছরের সেশনজট, ১৫টি ল্যাবের ১ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ অনুষদ। ফলে গুণগত মানের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ ৯ মাসে সংকট সমাধান না হওয়ায় অনুষদটির শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। বর্তমানে যবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সাতটি ব্যাচে প্রায় ৩৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। এর বিপরীতে স্থায়ী শিক্ষক আছেন মাত্র ২ জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন। নেই কোনো অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা সহকারী অধ্যাপক। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন, প্রভাষক ও অতিথি শিক্ষক সহ মোট ২২ জন শিক্ষক ও ৫২ জন কর্মচারী আছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভেটেরিনারি অনুষদে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারেনি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তি করানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তীব্র সেশনজট, রাজনৈতিক গ্রুপিং-অস্থিরতাসহ নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত এ অনুষদ। এদিকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। বাকি কর্মচারীরা এলাকার প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয়ে কর্মক্ষেত্রে অনিয়মিত। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কখনো কর্মক্ষেত্রে আসেন না। ফলে পুরো ক্যাম্পাসটির চারিদিকে ঝোপ-ঝাড় ও ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বমানের ডিভিএম গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে হাতে কলমে শিক্ষার জন্য ল্যাবগুলোতে আনা অতি দামি কেমিক্যালগুলো অনেক আগেই ব্যবহারে দক্ষ জনবলের অভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। যার সবগুলোর মোড়কই খোলা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্যাম্পাসটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকট চরমে। স্থানীয় রাজনীতির কারণে একাধিকবার ক্যাম্পাস বন্ধ হয়েছে। ২০১৯ সালে অনুষদটির ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালে ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলে হামলায় তৎকালীন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি মুরাদ বিশ্বাস, ছাত্রলীগ কর্মী তৌহিদ ও সমরেশ হোসেন ছমির নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের আরেক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব, গ্রুপ ভিত্তিক মারামারি, সাইবার বুলিং, যৌন হয়ারানি, হল দখলসহ অভিযোগের শেষ নেই। রাজিনৈতিক সংকট নিরসনে যবিপ্রবি উপাচার্য গত ৯ জুলাই অনুষদটির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম (সভা, সমাবেশ, মিছিল, রাজনৈতিক পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড স্থাপন ও প্রদর্শন) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ভেটেনারী অনুষদের শিক্ষার্থী সোহান শেখ বলেন, ‘ভেটেরিনারী মেডিসিনের মতো টেকনিক্যাল বিষয়ের জন্য মাত্র দুই জন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন বাকিরা সবাই গেস্ট টিচার হিসাবে ক্লাস নিচ্ছেন। এখানে প্রায় ৭-৮ টি ব্যাচের ক্লাস পরীক্ষা চলমান। ২ জন মাত্র শিক্ষকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাচের একসঙ্গে ক্লাস পরীক্ষা চালানো প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে ল্যবগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান রিএজেন্ট নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ।’ তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম আহমেদ বলেন, ‘এ অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার বা ঔষধ নেই। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ব্যাবস্থা নেই। কোনো শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ৯ কিলোমিটার দূরে নিজেদের গাড়িতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগে। এখানে পোল্ট্রি শেড থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম নেই। ফলে আমরা এ ব্যাপারে শিক্ষাগ্রহণে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোপূর্বে রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে সেশনজটে পড়তে হয়েছে। যে সকল সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। আমরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।’ যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সমন্বয়ে আমরা ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যবিপ্রবির অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করি। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো দায়িত্ব এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। পূর্নাঙ্গরূপে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হওয়ার জন্য অনেক কাজ বাকি। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকবল নিয়োগ দিতে হবে, শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নির ব্যবস্থা করতে হবে। এ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ক্যাম্পাসকে পুরোপুরি যবিপ্রবির নিকট জমি জায়গাসহ হস্তান্তর করতে হবে তারপর বাজেট প্রণয়ন সহ বাকী কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দিতে পারলে আমরা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরেও কেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি দ্রুত কার্যক্রম শুরু করছে না তা আমার বোধগম্য নয়। ইউজিসি যেহেতু এখানে সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করছে সেহেতু তারা যতদ্রুত এ সমন্বয় করতে পারবে ততদ্রুত আমরা জনবল নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’ সেশনজট নিরসন, আধুনিক গবেষণা ও মানসম্মত গ্রাজুয়েট তৈরির বিষয়ে উপাচার্য ড. আনোয়ার বলেন, ‘এটি যখন সম্পূর্ণরুপে আমাদের কাছে হস্তান্তরিত হবে তখন আমরা অনুষদটিকে একটি ভেটেরিনারি শিক্ষার আধুনিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলবো। যবিপ্রবি সর্বদা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী সুতরাং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি দ্রুত আমাদেরকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পর্যাপ্ত বাজেট দিলেই সেশনজট নিরসন করা সম্ভব।’ ২-৩ মাসের মধ্যেই সবকিছু শুরু করার আশা ব্যক্ত করেন যবিপ্রবি উপাচার্য ।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩
দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু /
‘ইনহেলার ও মেডিসিন বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি’
চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে মৃত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ অভিযোগ করে বলেছেন, তার অসুস্থ বাবার কাছে ইনহেলার ও মেডিসিন পৌঁছাতে দেওয়া হয়নি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ এমন অভিযোগ করেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হাসপাতাল পার্ক ভিউতে মৃত্যু হয় দুদকের এ সাবেক কর্মকর্তার। শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে দুজন এসআই বাবাকে চান্দগাঁও থানায় নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে আমার চাচারা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট; ওনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, থানায় আনার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শহীদুল্লাহ। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহীদুল্লাহকে নগরীর এক কিলোমিটার এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানার পুলিশ। একটি মামলায় তার নামে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এরপর থানায় নিয়ে আসা হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর শহীদুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ তাকে একটি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে পুলিশ সদস্যরা থানায় নিয়ে আসেন। উনি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এটা আমরা জানতাম না। জানার পরে তাকে আমার রুমে বসতে দিই। এর মধ্যে উনি বলেন, ওনার খারাপ লাগছে। তারপর আমরা অ্যাম্বুলেন্স কল করি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন ওনার ভাইয়েরাও ছিলেন। সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নগরীর চান্দগাঁও থানার ১ কিলোমিটার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সর্বশেষ চট্টগ্রামে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এ উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২০০৭ সালের ১২ জুলাই অবসর গ্রহণ করেন।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
ডেঙ্গু রোগীদের দখলে খুমেকের মেডিসিন ওয়ার্ড
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) মেডিসিন ওয়ার্ড এখন ডেঙ্গু রোগীদের দখলে। খুমেকের ৫টি মেডিসিন ওয়ার্ডে নির্ধারিত ২০০টি বেডের মধ্যে ১৬০ জনই ডেঙ্গু রোগী। যদিও এসব ওয়ার্ডের বারান্দা করিডোরসহ মোট ভর্তি আছে ৭০০ থেকে ৮০০ সাধারণ রোগী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এতসংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর জন্য হাসপাতালের অন্যান্য সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ওয়ার্ড ৫টি। এতে নির্ধারিত ৪০টি করে ২০০টি শয্যা রয়েছে। তবে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৪টি বেড পূর্ণ হয়ে বারান্দা, করিডোর, লিফটের সামনে এমনটি চলার পথেও ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। ওয়ার্ডে এবং হাসপাতালে সার্বক্ষণিক মশারি টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে বেশিরভাগ রোগীকেই মশারি ছাড়া শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে অন্য সাধারণ রোগীদেরও ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মশারি ছাড়া থাকলেই যে অন্য রোগীদের ডেঙ্গু হবে এমনটি নয়, তবে তা টানিয়ে রাখা উচিত। রাউন্ডের সময় সব রোগী মশারি টানিয়ে রাখেন। তবে সাধারণ রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে অন্যদের চিকিৎসায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। জালাল নামে এক রোগী জানান, আমি রক্তের পরীক্ষা করতে প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারি, আজকের মতো সিবিসি পরীক্ষার স্যাম্পল নেওয়া হয়ে গেছে আর সম্ভব না। এতে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করতে হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে একই ওয়ার্ডের আরও দুজনের। হাসপাতালের সেবা বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার কথা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিসিন ওয়ার্ডের এক সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের বাড়তি নজর দিতে হয়। এতে করে অনেক সময় অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে সেভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, শুধু ডেঙ্গু রোগীদের জন্য অন্য রোগীদের সেবা বিঘ্ন হচ্ছে এটা সঠিক নয়। ৫০০ বেডের হাসপাতালে ১৭০০ এর বেশি রোগী থাকছে। এতে করে প্রত্যেক রোগীকে সব সময় আশানুরূপ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X