খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) মেডিসিন ওয়ার্ড এখন ডেঙ্গু রোগীদের দখলে। খুমেকের ৫টি মেডিসিন ওয়ার্ডে নির্ধারিত ২০০টি বেডের মধ্যে ১৬০ জনই ডেঙ্গু রোগী। যদিও এসব ওয়ার্ডের বারান্দা করিডোরসহ মোট ভর্তি আছে ৭০০ থেকে ৮০০ সাধারণ রোগী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এতসংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর জন্য হাসপাতালের অন্যান্য সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ওয়ার্ড ৫টি। এতে নির্ধারিত ৪০টি করে ২০০টি শয্যা রয়েছে। তবে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৪টি বেড পূর্ণ হয়ে বারান্দা, করিডোর, লিফটের সামনে এমনটি চলার পথেও ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। ওয়ার্ডে এবং হাসপাতালে সার্বক্ষণিক মশারি টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে বেশিরভাগ রোগীকেই মশারি ছাড়া শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে অন্য সাধারণ রোগীদেরও ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মশারি ছাড়া থাকলেই যে অন্য রোগীদের ডেঙ্গু হবে এমনটি নয়, তবে তা টানিয়ে রাখা উচিত। রাউন্ডের সময় সব রোগী মশারি টানিয়ে রাখেন।
তবে সাধারণ রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে অন্যদের চিকিৎসায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
জালাল নামে এক রোগী জানান, আমি রক্তের পরীক্ষা করতে প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারি, আজকের মতো সিবিসি পরীক্ষার স্যাম্পল নেওয়া হয়ে গেছে আর সম্ভব না। এতে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করতে হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে একই ওয়ার্ডের আরও দুজনের।
হাসপাতালের সেবা বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার কথা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিসিন ওয়ার্ডের এক সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের বাড়তি নজর দিতে হয়। এতে করে অনেক সময় অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে সেভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, শুধু ডেঙ্গু রোগীদের জন্য অন্য রোগীদের সেবা বিঘ্ন হচ্ছে এটা সঠিক নয়। ৫০০ বেডের হাসপাতালে ১৭০০ এর বেশি রোগী থাকছে। এতে করে প্রত্যেক রোগীকে সব সময় আশানুরূপ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন