চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে মৃত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ অভিযোগ করে বলেছেন, তার অসুস্থ বাবার কাছে ইনহেলার ও মেডিসিন পৌঁছাতে দেওয়া হয়নি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ এমন অভিযোগ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হাসপাতাল পার্ক ভিউতে মৃত্যু হয় দুদকের এ সাবেক কর্মকর্তার।
শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে দুজন এসআই বাবাকে চান্দগাঁও থানায় নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে আমার চাচারা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট; ওনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
তবে পুলিশ বলছে, থানায় আনার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শহীদুল্লাহ। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহীদুল্লাহকে নগরীর এক কিলোমিটার এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানার পুলিশ। একটি মামলায় তার নামে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এরপর থানায় নিয়ে আসা হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর শহীদুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ তাকে একটি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে পুলিশ সদস্যরা থানায় নিয়ে আসেন। উনি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এটা আমরা জানতাম না। জানার পরে তাকে আমার রুমে বসতে দিই। এর মধ্যে উনি বলেন, ওনার খারাপ লাগছে। তারপর আমরা অ্যাম্বুলেন্স কল করি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন ওনার ভাইয়েরাও ছিলেন।
সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নগরীর চান্দগাঁও থানার ১ কিলোমিটার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সর্বশেষ চট্টগ্রামে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এ উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২০০৭ সালের ১২ জুলাই অবসর গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন