অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন বার্তা
দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বুধবার (৮ মে) বিটিআরসির গণশুনানিতে সংস্থাটির কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।  এক প্রশ্নের জবাবে শেখ রিয়াজ বলেন, আমাদের সবার উচিত বৈধভাবে যাচাই-বাছাই করে ফোন ক্রয় করা। বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে অবৈধ ফোনগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করব, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি। শেখ রিয়াজ বলেন, কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে তারা যদি বিটিআরসিতে আসেন, তাহলে সেগুলো নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তাই আমি আবারও বলছি, বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।  বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গণশুনানিতে অন্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
০৮ মে, ২০২৪

মোবাইল ফোন চার্জ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
বর্তমান সময় মোবাইল ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একরকম অভ্যাসও বটে। সঙ্গে না থাকলে মনে হয় হয় কি যেন নেই। প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুসময়-দুঃসময়ে পরম আস্থার ডিভাইসটির যত্ন নেওয়া তাই জরুরি।  মোবাইল ফোনের আয়ু নির্ভর করে ব্যাটারির যত্নের ওপর। আর ব্যাটারির যত্ন নির্ভর করে আপনি কতটুকু সতর্কতার সঙ্গে চার্জ দিচ্ছেন তার ওপর। এজন্য চার্জ দেওয়ার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একেবারে তলানীতে নামার আগেই চার্জ করুন- ফোনে সবসময়ই ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ রাখতে হবে। মোবাইল ফোনকে সম্পূর্ণভাবে চার্জ শূন্য হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। আপনি যদি এটি না করেন তবে এটি ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। গরম মোবাইল সাথে সাথে চার্জে নয়- অনেকক্ষণ কথা বললে, গেম খেললে, ইউটিউবে ভিডিও দেখলে সাধারণ সব মোবাইল ফোনই গরম হয়। মনে রাখবেন, মোবাইল ফোন গরম অবস্থায় কখনো চার্জে দেবেন না। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনার ফোনটি গরম হতে থাকে তবে এটি ঠান্ডা হতে দিন এবং তারপর চার্জ করুন। চার্জে দিয়ে ফোন ব্যবহার নয়- মোবাইল চার্জে থাকা অবস্থায় কখনই ফোন ব্যবহার করবেন না। কারণ চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হতে পারে। এসময় প্রসেসরেও চাপ পড়ে। তাই চার্জ দেওয়ার পর ফোন ব্যবহার করুন। বজ্রপাতের সময় চার্জ দেবেন না- বজ্রপাতের সময় অবশ্যই মোবাইল ফোন চার্জে দেওয়া যাবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভাল। বজ্রপাতে আপনার ফোন এবং চার্জার উভয়েরই একেবারে অচল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মোবাইল ফোনে সুরক্ষা কভারটি সরিয়ে চার্জ দিন- আজকাল সব মোবাইল ফোনই চার্জ দেওয়ার সময় গরম হয়ে যায়। এজন্য চার্জ দেওয়ার আগে ফোনে কভার থাকলে সেটি খুলে চার্জ দেওয়া ভাল। এতে উত্তাপ কম হবে। রাতে ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমাবেন না- অনেকেই ভাবেন ঘুমানোর আগে ফোন একেবারে চার্জে দেবেন। এটা ভুলেও করবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরো রাত চার্জ দিয়ে রাখলে উল্টো ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। ওভারচার্জিং সবসময়ই ব্যাটারির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। থার্ডপার্টি ব্যাটারি অ্যাপ ব্যবহার করবেন না- আপনার ফোনের ব্যাটারি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফোনে বিল্ট-ইন ব্যবস্থা আছে। তাই অনলাইনে নানা চটকদার বিজ্ঞাপন, আপনাকে ভয় ধরিয়ে থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা কোনো বিজ্ঞাপনের  ফাঁদে পড়বেন না। অযথা বার বার চার্জে দেবেন না- আপনার মোবাইল ফোনে চার্জ ২০ শতাংশে না পৌঁছানো অব্দি ফোন ব্যবহার করুন। এর আগে অল্প সময়ের জন্য বার বার চার্জে দেবেন না। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৭১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশ
রাজবাড়ী জেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে হারানো ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিল রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন সময়ে হারানো মোবাইলগুলো উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। জানা যায়, জেলার ৫টি থানার সর্বমোট ৭১টি হারানো মোবাইল জিডির সূত্র ধরে রাজবাড়ী জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করে যাচাইবাছাই পূর্বক প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা একটি ছোট্ট জেলা। এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। এ ছাড়াও প্রান্তিক মানুষের মোবাইলগুলো উদ্ধারের যে কাজটি আমরা করি, এটি আমরা খুব আবেগ দিয়ে করি, আমরা খুব মন দিয়ে কাজটি করি, কারণ হচ্ছে মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার পরে তার ভেতরে যে মানসিক কষ্ট, সেই কষ্টটা আমরা বুঝি। অনেক কষ্ট করে মোবাইল উদ্ধার করে যখন প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিতে পারি, তখন তার মুখের হাসি আমাদের আরও কাজে অনুপ্রাণিত করে। জেলার বিভিন্ন থানায় প্রতিনিয়তই মোবাইল হারানোর জিডি হয়। সেই জিডিগুলোর প্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি চৌকস টিম ওই মোবাইলগুলো উদ্ধার করে।  এসময় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ফোনগুলো হাতে পেয়ে সকলে আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়েন মোবাইলের মালিকরা বলেন, পুলিশের প্রতি আস্থা আরও বহুগুণে বেড়ে গেল। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে বের করুন গুগলের মাধ্যমে
মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোন ছাড়া একমুহূর্তও চলা কঠিন হয়ে পড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে একেবারে জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ ডিভাইসটি। এ জন্য মোবাইল ফোনটি হঠাৎ হারিয়ে গেলে বা খুঁজে না পেলে চিন্তার শেষ থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোনটি খুঁজে হয়রান না হয়ে গুগলের সাহায্য নিন। গুগল ক্রোম ব্রাউজার আর তার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনার মোবাইলটি খুঁজে পেতে পারেন! গুগলের সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল খুঁজবেন যেভাবে : যে কোনো মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগলে গিয়ে ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ লিখতে হবে। হারানো মোবাইলে লগইন থাকা জিমেইল সাইন ইন করুন। তখন মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগলে। তবে এ কৌশলে সফল হতে হলে হারিয়ে যাওয়া ফোনে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে। তবে নেট বন্ধ থাকলেও হতাশার কিছু নেই। কারণ ফোন চুরি হয়ে গেলে কিংবা অন্য কেউ কুড়িয়ে পেলে নিশ্চয়ই তিনি কোনো না কোনো সময় নেট অন করবেন। তখন ফোনের সর্বশেষ অবস্থান জানা যাবে। গুগলের মাধ্যমে ফোনটি খোঁজার সময়, হারিয়ে যাওয়া ফোনে নেট অন থাকলে লোকেশন দেখানোর সময় গুগলের আইকন সবুজ দেখাবে। আর নেট অফ থাকলে সর্বশেষ অবস্থান দেখাবে এবং আইকন হবে ধূসর।  লোকেশন অফ থাকলেও ফোনটি কোন এলাকায় আছে, সেটি দেখা যাবে। আর লোকেশন অন থাকলে গুগল ম্যাপের সাহায্যে একদম সঠিক অবস্থানে চলে যাওয়া যাবে। এছাড়া নিজ ঘরের কোথাও পড়ে থাকা মোবাইল খুঁজে পেতে যেকোনো মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগলে গিয়ে ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ লিখতে হবে। হারানো মোবাইলে লগইন থাকা জিমেইল সাইনইন করতে হবে। মোবাইলের লোকেশন দেখা যাবে গুগলে। এরপর ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে হবে। তারপর ‘রিং’ অপশন সিলেক্ট করে (প্লে সাউন্ডে ক্লিক করতে হবে)। এবার আপনার সাইলেন্ট ফোনটি ফুল ভলিউমে রিং বাজতে শুরু করবে। যতক্ষণ না ফোনটিকে খুঁজে পেয়ে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরা হবে, ফোনের রিং বাজতে থাকবে ততক্ষণ। 
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

মোবাইল ফোন কেনার আগে বৈধতা যাচাই করবেন যেভাবে
শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মোবাইল ফোন কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোন কেনার আগে যেভাবে বৈধতা যাচাই করবেন- মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD15 ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে। একই সঙ্গে আপনার মোবাইলটি নিবন্ধিত কিনা তা জানা জরুরি। খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন আপনার মোবাইলটি নিবন্ধিত কিনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইলের নিবন্ধন চেক করার পদ্ধতি : ব্যবহারিত মোবাইলে যে কোনো সিম চালু করে ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<স্পেস>মোবাইল ফোন সেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। এরপর সেটা ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে মোবাইলের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস নেই এবং শিগগির যেন এ নির্দেশনা কার্যকর করা যায়।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
দেশজুড়ে যারা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। অবৈধ এসব মোবাইল ফোন শিগগিরই নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, বিটিআরসি জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ বা প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ হবে। আরও বলা হয়, এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করতে শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD15 ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ : KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস নেই এবং শিগগিরই যেন এ নির্দেশনা কার্যকর করা যায়। আপনার মোবাইলটি নিবন্ধিত কি না তা জানা জরুরি। খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন আপনার মোবাইলটি নিবন্ধিত কি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইলের নিবন্ধন চেক করার পদ্ধতি : ব্যবহারিত মোবাইলে যে কোনো সিম চালু করে ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<স্পেস>মোবাইল ফোন সেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। এরপর সেটা ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে মোবাইলের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

বন্ধ হয়ে যাবে নিবন্ধনহীন সব মোবাইল ফোন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধনবিহীন হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) অটোফিলের মাধ্যমে বিএনডিএ সার্ভিস বিইউএস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা ইলেকট্রনিক টেলিযোগাযোগ গ্রাহক নিবন্ধন ফরমে সংযোজন এবং বিটিআরসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালের (১৫ জানুয়ারি) ক্যাবিনেট সভায় আমাদের সরকারের অপচয় রোধ করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এই পাঁচ বছরে আমরা কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করতে চাই। যেখানে আমরা টেলিকম এবং আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয় এবং বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। পলক বলেন, এই ৪টি লক্ষ্য পূরণ করতে বিটিআরসির আলাদা একটা মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা আইএমইআই সিস্টেম থাকা প্রয়োজন। এর ফলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধকেও সহজে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যাবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যেসব ফোন তৈরি বা আমদানি করা হয় সেগুলোর ডেটাবেজ এবং অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন করার সুব্যবস্থা বিটিআরসির আছে। তাই রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যে মোবাইল ফোনগুলো আছে সেগুলো যাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয়, বিনিয়োগ বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি সাধারণ প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান আমাদের নানাভাবে লাভবান করতে পারে। তাই আমি বিটিআরসির চেয়ারম্যান, এনটিএমসির (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) ডিজিসহ সবাইকে অনুরোধ করব এটি দ্রুত কার্যকর করতে। কারণ আমাদের হাতে যেসব জিনিস আছে সেসব বিষয়ে আমরা কোনো ছাড় দিতে চাই না। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো গোষ্ঠী, স্বার্থান্বেষী মহল এই কাজে বাধা দিতে চায়, তাহলে তাদের নাম-ঠিকানা-পদবি আমাকে দেবেন, আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই ‘পরিচয়’ ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিস উপহার দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমাদের সার্ভিস ডেলিভারির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে, যেটিকে আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিসকে আরও বেশি স্মার্ট এবং ভাইব্র্যান্ট করতে হবে, যাতে প্রত্যেকটা ডেটাবেজ একটার সঙ্গে আরেকটা ইন্টারঅপারেটেবল হয়।’ তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টা স্তম্ভ অর্জন করতে হলে আমাদের দরকার, ভেরিফাইয়েবল স্মার্ট আইডি, ডিজিটাল ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন মেকিং। এই সবগুলোর প্রধান জায়গা হচ্ছে বিটিআরসি। আমরা এটির পেছনের ব্যাকবোন হয়ে কাজ করতে চাই।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

চুরি হওয়া ৫১ মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ
বরিশালে হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া ৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। ফোনগুলো মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, গত নভেম্বর মাসে বরিশাল জেলায় বিভিন্ন থানায় যেসব মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার জিডি হয়েছে, তার মধ্যে ৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত থার্ডপার্টির মাধ্যমে এসব ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইল ফোন পেয়ে আনন্দিত মেহেন্দীগঞ্জের জেসমিন আক্তার জানান, তিনি মোবাইল ফোন ফেরত পাবেন এ রকম আশা ছিল না। এই মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে তিনি খুবই খুশি। বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান হোসেন জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ যদি পুরোনো মোবাইল ফোন কিনে থাকেন তাহলে তা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান তিনি।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

চুরি হওয়া ৩৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশ
পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি যাওয়া ৩৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের হাতে তুলে দিল পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চুরি হওয়া মোবাইল মালিকদের হাতে এ মোবাইল ফোন তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য পিরোজপুরের জেলা পুলিশের আইটি দল সবসময়ই কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৫ জন মালিকের কাছে তাদের মোবাইল ফোনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ সুপার বলেন, মোবাইল উদ্ধারের পাশাপাশি পিরোজপুর জেলা পুলিশের আইটি টিম মোবাইল ব্যাংক লেনদেনে প্রতারিত হলে তাদের টাকা উদ্ধারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করে আসছে। বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে হয়রানি বা গুজব প্রতিরোধে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসছে। এ সময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন  ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. মুকিত হাসান খান উপস্থিত ছিলেন। 
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

মোবাইল ফোন বিক্রির কথা বলে ঘরে ফেরেননি ইয়ামিন
সিলেটে মোবাইল বিক্রির কথা বলে ঘরে ফেরেননি শাহপরাণ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইয়ামিন আরাফাত হামিম। এ ঘটনায় বুধবার (১১ অক্টোবর) হামিমের বাবা মোগলাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মোগলাবাজার থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ হামিম (১৯) দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর শেখপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। হারানোর সময় তার পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, পরনে জিন্সপ্যান্ট, গায়ের রং শ্যামলা, মাথার চুল কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে মোবাইল বিক্রি করবে বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায় হামিম। এরপর থেকে তার খোঁজ নেই। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো.ইয়ামিন আরাফাত হামিম চলতি বছর শাহপরাণ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে আবেদন ও বিকাশ এজেন্টে হিসেবে ব্যবসা করত। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্রীরামপুরের তাদের বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তার মাকে মোবাইল ফোন বিক্রি করতে কদমতলী যাচ্ছে বলে জানায়।  পরে রাত ১০টার দিকে বাবলু নামে তার এক বন্ধুকে কল দিয়ে জানায় তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাবে না। কারণ ফোন বিক্রি করে দেবে। তারপর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতেই হামিমের বাবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেন এবং বুধবার সকালে থানায় ছেলে নিখোঁজ বলে সাধারণ ডায়েরি করেন। হামিমের বাবা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘রাত থেকে ছেলেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করছি কোথাও কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। ছেলের সন্ধান না পাওয়া তার অসুস্থ মা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। ছেলে কোথায় আছে কেউ কিছু বলতেও পারছে না। আমার ছেলেকে বোধহয় অপহরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটের সময় হামিমের মোবাইল থেকে আমাদের ফোনে দুবার কল আসে। প্রথমবার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরও ১০ সেকেন্ড পর আরেকটি কল আসে। তখন তার সঙ্গে ৩৬ সেকেন্ড কথা কথা হয়।’ ছেলের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে বলেছে, আব্বু আমি কিছুই দেখতেছি না। আমাকে ৪ জন একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে এসে আটকে রেখেছে। বলা হচ্ছে এখানে পচে মরব।’ এই কথা বলে আমার ছেলের ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। আমার ছেলেও কোনো ধরনের নেশাদ্রব্য পান করে না। ছেলের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা থেকে থাকলে তা আমার জানা নেই। তার ফোনে লাখ খানেক টাকা আছে।’ এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়া ইয়ামিনের বাবা থানায় একটি জিডি করেছেন। তাকে উদ্ধার করতে আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’
১২ অক্টোবর, ২০২৩
X