দেশকে এগিয়ে নিতে মৌলবাদ দূর করতে হবে
গণতন্ত্রী পার্টির নেতারা বলেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মৌলবাদ দূর করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা। গতকাল রোববার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা এখনো প্রয়োজন আছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্রী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার। বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, মিরাজুল ইসলাম জামান, দপ্তর সম্পাদক হরিপ্রসাদ মিত্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল আলিম, মনজুরুল ইসলাম মেঘ, আবুল সাদিদ আহমেদ সাদি প্রমুখ।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দেশকে এগিয়ে নিতে মৌলবাদ দূর করতে হবে : গণতন্ত্রী পার্টি 
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মৌলবাদ দূর করতে হবে। ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা আমাদের এখনও প্রয়োজন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ভাষা এবং সংস্কৃতি কোনো জাতির ঐক্য বিণির্মাণে সবেচেয় শক্তিশালী উপাদান। বঞ্চিত বাঙালি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিভিন্ন সময় সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু এই বঞ্চিত জাতির অধিকার আদায়ের একটি ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে প্রথম ছাত্র যুবদের সংগঠিত করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। ১৩ মার্চ তাকে প্রথম পাকিস্তান সরকার আন্দোলনের কারণে কারারুদ্ধ করেন। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাত্র, শিক্ষক, তরুণ, যুবসমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করে। জাতি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মিরাজুল ইসলাম জামান, দপ্তর সম্পাদক হরিপ্রসাদ মিত্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল আলিম, মনজুরুল ইসলাম মেঘ, আবুল সাদিদ আহমেদ সাদি প্রমুখ।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্তানা : তথ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এখন সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠছে। যার ফলে কিছু সুবিধাভোগী মৌলবাদী ও জঙ্গিরা সেখান থেকে সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসবের কারণে আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটছে যা ওইসব অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা একটি মানবিক সমস্যা যার সমাধান করা অতি জরুরি। ১৯৯১ সালে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসে বিএনপি সরকার তাদের ফেরত পাঠাতে পারেনি। তারও আগে ১৯৭৬-৭৭ সালের দিকেও সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার কূটনীতিক সমাধানে না গিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। মাঝখানে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চাইলেও সেই প্রতিশ্রুতি তারা ভঙ্গ করে। আমরা আমাদের কূটনীতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি এবং কিছুদিন আগেও বেশ বড় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের যেই চাপ সৃষ্টি করার কথা ছিল তারা সেটি করছে না। চীন ও ভারতের গুরুত্ব এখানে অনেক বেশি এজন্য আমরা তাদের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  নির্বাচনের আগে বিদেশিদের কাছে গিয়ে পাত্তা পাচ্ছেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে আমরা না বিএনপি যাতায়াত করে। তাদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি সুর পাল্টিয়েছে। অপরদিকে ব্রিকস সম্মেলনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় যাননি। এই সম্মেলনে মোট ৪০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যার মধ্যে মাত্র ৬টি দেশকে নতুন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অন্য কোনো সম্মেলনে সদস্য দেওয়া হতে পারে। সুতরাং গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপারটা সদস্যপদ না পাওয়া সব দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য।  তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে আমাদের অনেক বন্ধু রয়েছে কিন্তু কোনো প্রভু নেই। সবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক কারও সঙ্গে শত্রুতা নয় এই পররাষ্ট্র নীতি নিয়েই আমাদের পথচলা। অন্যদিকে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এ নিজে কলাম লিখে বাংলাদেশ থেকে যেন কোনো গার্মেন্টস কেনা না হয় এবং বাংলাদেশকে যেন কোনো সাহায্য না করা হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুলও কংগ্রেসম্যানদের নিজে চিঠি পাঠিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বলেছেন। এমনকি তারা অনেক কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে ধরাও খেয়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস : বাংলাদেশ’জ রেসপন্স টু দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেখানে তিনি সব নাগরিক অধিকার ও মর্যাদাসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এই সেমিনার উদ্বোধন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যকর উপায় বের করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহান্স ভ্যানদার ক্ল্যাও, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী, মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজে (গবেষণা) এর পরিচালক ড. এম সঞ্জীব হোসেন প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক জামিলা এ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন।
২৬ আগস্ট, ২০২৩
X