ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫ দশমিক ৭১ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশন সভাপতিত্ব করেন। আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সরকার গঠনের সময় ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ৯৯ লাখ টন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলেদের ভিজিএফের পরিমাণ মাসিক ১০ কেজি থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেবে, যা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ দশমিক ৭১ লাখ টনে উন্নীত হয়। তিনি বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ভেতর মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কার্যক্রম অন্যতম।
০৬ মে, ২০২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। রোববার (৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, কোনোক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে। দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ, নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের। তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। এর আগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারিজ সেন্টার অব এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অ্যাকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। মৎস্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এ সময় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। এ ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কর্তৃক সাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। 
০৫ মে, ২০২৪

উন্নয়ন দেখে বিশ্ববাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, এই বাংলার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্ময়কর উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন। বিশ্ববাসী একদিন বলেছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, উড়ালসেতু দেখে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্ববাসী আজ ঈর্ষান্বিত।  শনিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সরকারি আরিফুজ্জামান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী  আব্দুর রহমান বলেন, দেশ, জাতি ও শেখ হাসিনার সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের চক্রান্ত আছে। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছেন। মানুষ প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিকও বেঁচে থাকতে শেখ হাসিনার ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আলীম সুজার সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া মিন্টু, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিয়ার রহমান মুঞ্জু, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা শিমু, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. আলী আকসাদ (ঝন্টু) প্রমুখ।
১০ মার্চ, ২০২৪

আ.লীগ নির্বাচনী ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, আমাদের (আওয়ামী লীগের) যে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষিত হয়েছে সেই ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা বাস্তবায়ন করব। ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া এক গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে পারলে নিশ্চয়ই এই দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে, সত্যিকার অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের যারা ফেল করেছেন, তারা অথর্ব, আর যারা পাস করেছেন তারা টাকার পাহাড় ছিটিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফরিদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যায় বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনো হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক জীবিত থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমান বক্তব্য দানকালে ফরিদপুরকে তিনি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এ ছাড়া যারা নানা প্রলোভনে মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তাদের দলের মূল ধারায় ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একই ছাতার নিচে থেকে দলকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সহসভাপতি শ্যামল ব্যানাজী, সহসভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

পিরোজপুরকে অনুকরণীয় জনপদ হিসেবে গড়তে চান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আমরা পিরোজপুরকেও সেভাবে গড়তে চাই। যা কিছু করা দরকার পিরোজপুর হবে বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন অনুকরণীয় জনপদ। মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর পৌর এলাকায় গণসংযোগ করার পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি নিজে যতটা না মাঠে, তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও শান্তি প্রিয় জনগণ। সবার মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তারা চায় নৌকাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে। তারা চায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদবাজি বন্ধ করে পিরোজপুরকে শান্তির জনপদ হিসেবে অব্যাহত রাখতে। এ এলাকায় আমার আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অকল্পনীয়। মন্ত্রী আরও বলেন, পিরোজপুর-১ আসনের মানুষ গত পাঁচ বছরে শান্তিতে আছে, সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে, চাঁদাবাজি অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ করেছি। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের পক্ষে। এ সময় তার সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাসিম উদ্দিন খান, সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ মাঝি, ছাত্র লীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল প্রমুখ।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধারা দল-মতের ঊর্ধ্বে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দল-মতের ঊর্ধ্বে। বীর মুক্তিযোদ্ধারাই এই স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি, লাল-সবুজের পতাকার কারিগর। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমি কেরানি হতাম কিনা জানি না। আমার দুই পাশে বসা এসপি এবং ডিসি সাহেবদের অবস্থান কী হতো জানি না। আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি চাকরিজীবীদের উচ্চ পদস্থ কোনো পদ দিত না। প্রমোশন তো অনেক দূরের কথা। গ্রেডেশনে তাদের অবস্থানটা নিম্নে  রাখা হতো। আর এখন সচিব পদে সম্মানিত না করতে পারলেও গ্রেড-১ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ ২৩ বছরে বাঙালিদের গ্রেড-১ দেওয়া হয়নি। কী ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আমরা ছিলাম। লেখাপড়ার মধ্যেও অসামঞ্জস্য থাকত। এভাবে আমাদের গৃহপালিতই শুধু না, আমাদের পায়ের যাঁতাকলে পিষ্ট করে রাখা হতো। সেখান থেকে লাল সবুজের পতাকাকে উড্ডিন করা, বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি করা এই কৃতিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যার নেতৃত্বে ছিলেন ইতিহাসের কালজয়ী ক্ষণজন্মা মানুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায় প্রমুখ।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দুর্ভিক্ষ হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ হবে একটি দুর্ভিক্ষপীড়িত একটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। কেউ ঘর-বাড়িতে থাকতে পারবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না এলে সব চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তাই দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বজায় রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশিদ এতে সভাপতিত্ব করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও খামারিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৫ হাজার পরিবার উপকৃত : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার দরিদ্র পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং এ টি এম মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল হোসেন। প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন এর পরিচালক এস এম জিয়াউল হক রাহাত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন মেয়াদে ১৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
১৯ জুন, ২০২৩
X