Fri, 17 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
৩ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের বাস নিয়ে প্রোগ্রামে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ
৫ ঘণ্টা আগে
শাবিতে মাহিদ মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
৬ ঘণ্টা আগে
হাজিদের স্বাগত জানাচ্ছে নারীরা!
৬ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল
৬ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৭ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
যুক্তরাজ্য গেলেন ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ)’, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল), কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি এবং বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে ৬-দিনের এক সরকারি সফরে সোমবার (১৩ মে) যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। সফরকালে অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ‘এসিইউ ভাইস-চ্যান্সেলর সামিট ২০২৪’-এ অংশগ্রহণ করবেন এবং উচ্চশিক্ষার কৌশলগত নীতি, গবেষণা ব্যবস্থাপনা, পারস্পরিক সহযোগিতা, বৃত্তি কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা, ডিজিটাল অ্যাক্সেস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়া উপাচার্য সামিটে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, উচ্চশিক্ষাবিষয়কমন্ত্রী এবং উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বহুপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। এসময় উপাচার্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য কয়েকটি কর্মশালা এবং যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণাসংক্রান্ত কর্মসূচিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে অংশ নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মধ্যে চলমান শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে উপাচার্য ইউসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এ সফরে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নেট জিরো ইনোভেশন ইনস্টিটিউট’ পরিদর্শন করবেন এবং শিক্ষা ও গবেষণাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ ছাড়া উপাচার্য বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি (বিসিইউ) পরিদর্শন করবেন এবং এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ডেভিড এমবিএর সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। উপাচার্য এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য সফরকালে উপাচার্য কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস্, সোয়ানসি ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক পারস্পরিক যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আগামী ১৮ মে (শনিবার) দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।
১৩ মে, ২০২৪
এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আমাদের এভিয়েশন সিকিউরিটি নিয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়ে কথা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে, যুক্ত হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে ভবিষ্যতে এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। তারা জানে, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটি বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান। সৈয়দপুরে একটি বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারত্ব রয়েছে। আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, তা আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। সেক্ষেত্রে এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এভিয়েশন শিল্পের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই। প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
০৮ মে, ২০২৪
ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য
নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে। ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
০৪ মে, ২০২৪
শ্রমিকদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী আহ্বান
যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশবিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপির সভাপতিত্বে এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার এখনো অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও শহরের বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলো সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে যুক্তরাজ্য ন্যূনতম বার্ষিক বেতন ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করেছে, যা অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য। প্রতিমন্ত্রী, হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুশনারা আলী। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী। একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
যুক্তরাজ্য বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠনটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে যুক্তরাজ্য দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করে ফেলছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী ও অন্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি এবং বৈশ্বিক বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে জাতিসংঘের ব্যর্থতার জন্য লন্ডনের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অধিকার সংগঠনটির প্রধান বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, গাজায় বেসামরিকদের হত্যা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিহাস যুক্তরাজ্যকে খুব কঠোরভাবে বিচার করবে। দেশমুখ বলেন, ইসরায়েলকে যুক্তরাজ্যের নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ ও এ-সংক্রান্ত সরঞ্জাম দেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে ব্রিটেন জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করছে। খবর গার্ডিয়ানের। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ঙ্কর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে দেশটি। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে এবং বৈশ্বিক একটি বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিবেদনে বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের নিন্দা করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নীতকরণে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরে সহযোগীর ভূমিকায় থাকতে চায় দেশটি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। গতকাল বুধবার মন্ত্রীর বাসভবনে এ সাক্ষাৎ হয়। সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশীদারত্ব দীর্ঘদিনের। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এভিয়েশন শিল্পের নানা খাতে এর আগেও যৌথ কাজ হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর উন্নতকরণসহ আরও সম্ভাব্য নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতা করতেও আগ্রহী যুক্তরাজ্য। জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সফলভাবে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার আগ্রহকে স্বাগত জানাই। এভিয়েশন শিল্পের কোন ক্ষেত্রে একত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ফারুক খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সব বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নীতকরণে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য সহযোগীর ভূমিকায় থাকতে চায় দেশটি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে স্বাক্ষাত করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রীর বাসভবনে এই স্বাক্ষাত অনুষ্ঠান হয়। সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। যুক্তরাজ্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এভিয়েশন শিল্পের নানা খাতে এর আগে একত্রে কাজ করেছে। এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর উন্নতকরণসহ আরও সম্ভাব্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতা করতেও আগ্রহী আমরা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সফলভাবে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। এভিশন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের দুই দেশের একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। এভিয়েশন শিল্পে কোন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ফারুক খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সব বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আরও অধিকতর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। মন্ত্রী জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
অবশেষে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রস্তাবিত রুয়ান্ডা বিল পাস হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মুখে পাঁচ মাস ধরে ঝুলে থাকার পর সোমবার রাতে এটি পাস হয়েছে। এখন শুধু এটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা। ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা করে ব্রিটিশ সরকার। ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছরমেয়াদি একটি চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ব্রিটিশ সরকার।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
ঘানা থেকে লুট করা ধনরত্ন ঘানাকেই ধার দিল যুক্তরাজ্য
আসান্ত সাম্রাজ্য (বর্তমান ঘানা) থেকে লুট করা স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে এসব নিদর্শন ঘানাকে ফেরত নয় বরং ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে এসব ধনরত্ন ঘানা থেকে লুট করেছিল ব্রিটিশ সৈন্যরা। ঘানার মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ৬ মাসের জন্য এসব সম্পদ ঘানাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ শতকের দিকে আসান্ত সাম্রাজ্যের সাথে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধচলাকালীন সময়ে এসব নিদর্শন লুট করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) ঘানার একদল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এসব নিদর্শন ৬ মাসের জন্য ধার দেওয়া হয় দেশটিকে। ৩২টি নিদর্শনের মধ্যে ১৫টি রাখা ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আর বাকিগুলো ছিল অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে। তবে এগুলো ফেরত পেতে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়েছে ঘানার কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত এসব নিদর্শন একেবারের জন্য না পেলেও ৬ মাসের জন্য ধারে পাচ্ছে দেশটি। মূলত আসান্তে রাজার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আশান্তি অঞ্চলের রাজধানী কুমাসির মানহিয়া প্রাসাদ জাদুঘরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। নিদর্শনগুলো ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যস্থতাকারীদের প্রধান আলোচক আইভর অ্যাগিয়েমান-ডুয়া শনিবার সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য ঘানাকে স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এদিকে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে আফ্রিকান প্রত্নবস্তু ফিরিয়ে আনার জন্য জাদুঘর এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক গতি এবং প্রচার বেড়েছে। প্রদর্শনীটি আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে বলে জানান আইভর। ঘানায় ফেরত আসা নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি ৩০০ বছরের পুরোনো তলোয়ার আছে, যা শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো। যুক্তরাজ্যের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম যে ১৭টি নিদর্শন ঘানার জাদুঘরে ধার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মধ্যে আছে একটি সোনার শান্তি পাইপ ও সোনার একাধিক চাকতি। রাজার আত্মা পরিচ্ছন্ন করার জন্য দায়িত্বরত রাজ কর্মকর্তারা এগুলো পরতেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X