বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ময়মনসিংহ যুব মহিলা লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে দুই বছরের মাথায় এই কমিটি বিলুপ্তি করা হয় বলে মনে করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হলো। এর আগে, সম্প্রতি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য রানী মালার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় গত ২ মে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়।  পরে আদালত কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার আদেশ দিলে মঙ্গলবার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।  এর আগে সোমবার (৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রানী মালা অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে ময়মনসিংহ নগরীতে জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের একটি বাসায় দাওয়াত খাওয়ানো শেষে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে একজন লোকের সঙ্গে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই পুরুষের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নিয়ে বিভিন্ন সময় নগদ টাকাও নেয়। বিষয়টি জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ককে জানানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন রানী। বিতর্কিত এসব কর্মকাণ্ডের কারণেই জেলা যুব মহিলা লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ যুব মহিলা লীগ নিয়ে বেশি তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কেন্দ্রের উপায় ছিল না। আমার নিজের মান-সম্মান রক্ষার জন্যও এটি ভালো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এগুলো একেকজনের ব্যক্তিগত সমস্যা। বেশিরভাগ নারীর চরিত্র কলঙ্কিত। তারা যখন সংগঠনের পদে থাকে তখন ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো এসে পড়ে সংগঠনের ব্যানারে, তখন সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন চরিত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জীবন বৃত্তান্ত দেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করা উচিত। যেহেতু এটি নারী সংগঠন সেজন্য গুরুত্ব পদে অবশ্যই ব্যক্তিগত চরিত্র দেখে যেন দেওয়া হয়, কমিটিতে যেন বিতর্কিত কাউকে না রাখা হয় এটিই আমি চাই।  উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুনে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট যুব মহিলা লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
০৭ মে, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের পর নিজ জিম্মায় নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি রাজিয়া সুলতানা মনি ও তার স্বামী ছানি বন্দুকছির বিরুদ্ধে।  অভিযুক্ত রাজিয়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচরে রাজিয়ার বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে নড়িয়া থানা পুলিশ।  এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের খড়করা এলাকায় ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একই এলাকার আলমগীর চৌকিদারের ছেলে দিপু চৌকিদার (২০)। ওইদিন রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দিপুকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  পরে খড়করা এলাকা থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে কিশোরীর নিকটাত্মীয় রাজিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরদিন কিশোরীটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে গড়িমসি শুরু করেন অভিযুক্ত নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরীর মা ও বাবা নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্যর শরণাপন্ন হলে তিনি নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে রাজিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে অপহরণ হওয়ার পর পুলিশ উদ্ধার করে। রাত হয়ে যাওয়ায় আমার আত্মীয় রাজিয়া সুলতানা মনির বাসায় মেয়েকে নিয়ে যাই। কিন্তু সে আমার মেয়েকে নিয়ে আটকে রাখে। রাজিয়া নির্বাচন করবে। যারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে তারা রাজিয়া সুলতানার কর্মী। তাই আমার মেয়েকে আটকে রেখে আবার তাদের কাছে দিতে চেয়েছিল। রাজিয়া সুলতানার স্বামী ছানি বন্দুকছি মুঠোফোনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। ঐ মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির মা সম্পর্কে আমার স্ত্রীর খালাত বোন হওয়ায় আমি এবং আমার স্ত্রী পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমার বাড়িতে রাখি। নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোরীটিকে প্রথমবার উদ্ধার করে কিশোরীর মা ও যু্ব মহিলা লীগ নেত্রী রাজিয়া সুলতানা মনির জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু আজ মেয়েটির মা এসে রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা তার বাড়ি থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করি। পরে থানায় জিডি নিয়ে কিশোরীটিকে পুনরায় তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচন করবেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী, আলোচনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বাড়ি
উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগমুহূর্তে সাড়ে তিন কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি বাবাকে দান করেছেন মাদারীপুরের যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীন। গত ৯ এপ্রিল মাদারীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে হেবা ঘোষণার মাধ্যমে এ জমি দান করা হয়। ফারজানা নাজনীন মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করে যাচাই-বাছাইয়ে টিকেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পেছনে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক তিনতলা বাড়ি। যা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা।  মাদারীপুর পৌরসভার ১১১নং শকুনী মৌজার ৩৮৭, ৩৮৮ ও ২৮৯নং দাগে ৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে বিলাসবহুল এ বাড়িটি। এই সম্পত্তির মালিক ফারজানা নাজনীন ও তার মেয়ে তাসনিম জাহান মীম। ফারজানা নাজনীন তার বাবা কুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের নামে গত ৯ এপ্রিল ২৩৩৭নং দলিলে ‘হেবা ঘোষণার’ মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করেন। পরে দাখিল করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র। নির্বাচনের হলফনামায় সম্পত্তি কম দেখাতেই বাবার নামে লিখে দেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। মাদারীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ ভূমি জরিপ বিআরএস রেকর্ডে সংশ্লিষ্ট দাগ ও খতিয়ানে ডোবা থাকায় ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমোদন চাইলেও সর্বশেষ পৌরসভার সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ বিশেষজ্ঞরা দেননি কোনো অনুমোদন। পরে ফারজানা নাজনীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এই ভবন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীনের নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২ হাজার টাকা। আর নগদ অর্থ সাড়ে ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। মাদারীপুরের যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী লিয়াকত হাওলাদার ইতালি থেকে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে এই বাড়ি। এছাড়া আমি জেলার একমাত্র নারী ঠিকাদার, আমি ব্যবসা করি। আমার ব্যবসার টাকায় বাডিটি নির্মাণ করা হয়েছে।  পৌরসভা থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু পৌরসভা অনুমোদন দেয়নি। পরে অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করেছি। এই শহরের অনেক বাড়িই অনুমোদন ছাড়া তৈরি হয়েছে। সবাই যেভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে আমিও সেভাবেই বাড়ি নির্মাণ করেছি। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই বাড়ির মালিকানা কেন পরিবর্তন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাবার নামে লিখে দেওয়া হয়েছে। জমিটা মূলত বাবার, কিন্তু বাড়ি আমি নির্মাণ করেছি। মাদারীপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার এনায়েত হোসেন বলেন, ফারজানা নাজনীন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জায়গাটি ডোবা। বিআরএস রেকর্ডে ডোবা থাকায় পৌরসভা এজন্য কোনো অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বাড়িটি তারা অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের মতো করেই তৈরি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুরের উপপরিচালক আতিক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়ি নির্মাণের অর্থ জোগানের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হবে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর মদ খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল 
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সদ‍্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইসরাত জাহান তনুর মদপান ও ইয়াবা সেবনের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওতে দেখা যায়, মহিলা লীগ নেত্রী একবারে এক বোতল মদ সাবাড় করছেন। তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ও সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে। এর প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চলতি বছরের সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দলীয় প‍্যাডে, সংগঠনবিরোধী ও শৃংখলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে তনুর মদপান ও ইয়াবা সেবনের স্থীরচিত্রি এবং ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরে একে একে বিভিন্ন আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছবি ও ভিডিও। ভুক্তভোগী ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে কিছু সাংবাদিক ও লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানি এবং ব্লাকমেইল করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নেত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়।  ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার কথাও বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তনু কালবেলাকে বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পেছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব‍্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। ২০২২ সালের একটি ভিডিওতে কিছু ছবি এডিট করে আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও বদরুল আমিনসহ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং আইসিটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছি। আশা করি, ন‍্যায় বিচার পাব। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি কালবেলাকে বলেন, তার বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওগুলো ফেক। সেগুলো যে তনুর না সেটি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার পদের বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

আপস শর্তে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মীমের জামিন
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মীম খাতুন ওরফে আফসানা মীম ও তার স্বামী মো. ওবাইদুল্লাহর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে আপসের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক রোমেন মিয়া। আসামিপক্ষ তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করে। জানা গেছে, ওবাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করে দেন মীম। পরে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মীম ও ওবাইদুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন এবং তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। এ ঘটনায় আটঘড়িয়া যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। পরে পাবনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আপসের শর্তে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম ও তার স্বামীর জামিন
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মীম খাতুন ওরফে আফসানা মীম ও তার স্বামী মো. ওবাইদুল্লাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে আপসের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।  এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. রোমেন মিয়া। আসামিপক্ষ তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।  এ সময় তার আইনজীবী আদালতকে বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে তাদের আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে। বিচারক বাদী মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চান, জামিন দিলে কোনো আপত্তি আছে কি না। তখন আপত্তি নেই জানালে বিচারক বাদীকে লিখিত দিতে বলেন। পরে আপসের শর্তে তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  জানা গেছে, ওবাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করে দেন মীম। পরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন এবং তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান।  এ ঘটনায় আটঘড়িয়া উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পর পাবনা জেলা শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বামীসহ রিমান্ডে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মীম
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মীম খাতুন ওরফে আফসানা মিম এবং তার স্বামী ওবাইদুল্লাহর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. রোমেন মিয়া রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড দেন। জানা গেছে, স্বামী ওবাইদুল্লাহকে দুলাভাই হিসেবে মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করে দেন মীম। পরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে তার কাছে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। তাদের বিশ্বাস করে দলিল ছাড়াই টাকা দেন তিনি। পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না জানিয়ে তাকে নানা ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। এ ঘটনায় আটঘড়িয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘স্বামীকে দুলাভাই’ ডাকা সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী বহিষ্কার
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আফসানা মিম ওরফে মিমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আরেফা খানম শেফালী ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর ফেরদৌস কনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের পাবনা পৌর শাখার ‘সহসভাপতি’ আফসানা মিমকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমের দায়ে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।  বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাজধানীর শাহজানপুরে বসবাস করেন। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে পরিচয় হয় ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী বাবুর। এর কিছুদিন পর ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। পরে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটে ব্যবসার কথা বলে ও সেই ব্যবসায় অংশীদার রাখার আশ্বাসে বিভিন্ন সময়ে বাবুর কাছ থেকে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। গেল বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা উল্লিখিত এই টাকা ধার নেন। এজাহারে মামলার বাদী বাবু আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বাসের কারণে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে মিম ও ওবায়দুল্লাহ টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না জানিয়ে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মামলার বাদী জানতে পারেন দুলাভাই বলে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ। তারা দুজন মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে প্রতারণার জালে ফেলেন। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমনটা করেছে তারা। পরে উপায় না পেয়ে একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মিম ও ওবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। সেই মামলায় বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে হাজির করলে মিম ও ওবায়দুল্লাহর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম ও তার স্বামী রিমান্ডে
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি এদিন গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।  এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. রোমেন মিয়া রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  জানা গেছে, ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করে দেন মিম। পরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন এবং তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান। এ ঘটনায় আটঘড়িয়া উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম ও তার স্বামীর ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন গ্রেপ্তার আসামিদের হাজিরের পর আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. রোমেন মিয়া রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। জানা গেছে, ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করে দেন মিম। পরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন এবং তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান। এ ঘটনায় আটঘড়িয়া উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পর তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X