শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে পুলিশ। ছবি : কালবেলা
অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে পুলিশ। ছবি : কালবেলা

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের পর নিজ জিম্মায় নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি রাজিয়া সুলতানা মনি ও তার স্বামী ছানি বন্দুকছির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত রাজিয়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচরে রাজিয়ার বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে নড়িয়া থানা পুলিশ।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের খড়করা এলাকায় ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একই এলাকার আলমগীর চৌকিদারের ছেলে দিপু চৌকিদার (২০)। ওইদিন রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দিপুকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে খড়করা এলাকা থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে কিশোরীর নিকটাত্মীয় রাজিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরদিন কিশোরীটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে গড়িমসি শুরু করেন অভিযুক্ত নেত্রী।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরীর মা ও বাবা নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্যর শরণাপন্ন হলে তিনি নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে রাজিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে অপহরণ হওয়ার পর পুলিশ উদ্ধার করে। রাত হয়ে যাওয়ায় আমার আত্মীয় রাজিয়া সুলতানা মনির বাসায় মেয়েকে নিয়ে যাই। কিন্তু সে আমার মেয়েকে নিয়ে আটকে রাখে। রাজিয়া নির্বাচন করবে। যারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে তারা রাজিয়া সুলতানার কর্মী। তাই আমার মেয়েকে আটকে রেখে আবার তাদের কাছে দিতে চেয়েছিল।

রাজিয়া সুলতানার স্বামী ছানি বন্দুকছি মুঠোফোনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। ঐ মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির মা সম্পর্কে আমার স্ত্রীর খালাত বোন হওয়ায় আমি এবং আমার স্ত্রী পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমার বাড়িতে রাখি।

নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোরীটিকে প্রথমবার উদ্ধার করে কিশোরীর মা ও যু্ব মহিলা লীগ নেত্রী রাজিয়া সুলতানা মনির জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু আজ মেয়েটির মা এসে রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা তার বাড়ি থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করি। পরে থানায় জিডি নিয়ে কিশোরীটিকে পুনরায় তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

যে কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টারে ছিলেন না মেসি

১০

এইচএসসি পাসেই প্রাণ গ্রুপে চাকরি, পদ ৫০

১১

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সেনাবহর

১২

কৃষককে কুপিয়ে জখম, আটক ২

১৩

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১৪

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বিশেষ সেবা চালু

১৫

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মরদেহ মিলল প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে

১৬

সুয়ারেজের দুই পেনাল্টিতে মেসিবিহীন মায়ামির রোমাঞ্চকর জয়

১৭

গাজায় নতুন ধাপে ‘গণহত্যা’ শুরু করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী

১৮

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  / ওষুধ-চিকিৎসকের সংকটে ভোগান্তিতে রোগীরা

১৯

পাকিস্তানের হুমকির পর ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত

২০
X