বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘স্বামীকে দুলাভাই’ ডাকা সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী বহিষ্কার

মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম। ছবি : সংগৃহীত
মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম। ছবি : সংগৃহীত

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আফসানা মিম ওরফে মিমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আরেফা খানম শেফালী ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর ফেরদৌস কনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের পাবনা পৌর শাখার ‘সহসভাপতি’ আফসানা মিমকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমের দায়ে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাজধানীর শাহজানপুরে বসবাস করেন। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে পরিচয় হয় ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী বাবুর। এর কিছুদিন পর ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। পরে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটে ব্যবসার কথা বলে ও সেই ব্যবসায় অংশীদার রাখার আশ্বাসে বিভিন্ন সময়ে বাবুর কাছ থেকে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। গেল বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা উল্লিখিত এই টাকা ধার নেন।

এজাহারে মামলার বাদী বাবু আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বাসের কারণে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে মিম ও ওবায়দুল্লাহ টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না জানিয়ে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মামলার বাদী জানতে পারেন দুলাভাই বলে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ। তারা দুজন মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে প্রতারণার জালে ফেলেন। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমনটা করেছে তারা। পরে উপায় না পেয়ে একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মিম ও ওবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। সেই মামলায় বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে হাজির করলে মিম ও ওবায়দুল্লাহর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১০

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১১

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১২

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৩

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৪

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

১৫

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

১৬

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

১৭

বাজার থেকে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

১৮

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

১৯

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, পুড়ল শতাধিক ঘর

২০
X