র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুতে পিকআপ চালক গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম সোহেল। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিমানবন্দর এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক (অবস অ্যান্ড মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান। গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাব সদরদপ্তর থেকে র‌্যাব-১ অফিসে হেঁটে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত হন র‌্যাব সদস্য ল্যান্স করপোরাল সুজন শেখ। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যায় চালক সোহেল। তাৎক্ষণিকভাবে আহত সুজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ঢাকা সিএমএইচে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে মারা যান তিনি। পরদিন নিহতের ভগ্নিপতি মো. ফরহাদ আলী বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন।
০৪ মে, ২০২৪

শিশু ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিশু তানজিম সুলতানা ঝুমুরকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব। বুধবার (১ মে) র‌্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান। এ সময় র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা ঘটনার বর্ণনা দিতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এবং বারবার চোখ ভিজে আসছিল। একপর্যায়ে কান্নাভেজা চোখ মুছে আবার কথা বলেন তিনি। পরে ধরা গলায় ঘটনার বর্ণনা দেন। এ সময় উপস্থিত অনেক সাংবাদিককেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু ঝুমুর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালি শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সে অংশ নিত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফু (৩৮)। র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে তার মা স্কুলে যান। সেখানে মেয়ের কোনো হদিস না পেয়ে ফেরার পথে ঝুমুর সহপাঠীর কাছে জানতে পারেন সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছে। বিকালে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনত। এ সুযোগে গত ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামি। এ ঘটনায় মামলা করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফু মাদকাসক্ত ও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যায়।
০১ মে, ২০২৪

ঈদের আগে বেড়েছে জাল নোটের চাহিদা: র‌্যাব
ঈদের আগে বেড়েছে জাল নোটের চাহিদা, সঙ্গে বেড়েছে দামও। জাল নোট তৈরির সঙ্গে যুক্ত একটি চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছিল। র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান। গ্রেপ্তাররা হলো মো. আরিফ ব্যাপারী এবং তার সহযোগী মো. জাহিদ ও অনিক। গত বুধবার রাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার দুর্গম চরমোহনসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করত। ঈদ উপলক্ষে জাল নোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি শুরু করে। এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করা আরিফ একসময় নড়িয়া থানার ঘড়িষাড় ইউনিয়নের বাংলা বাজারে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করত। সে ইউটিউব থেকে জাল টাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে নিজেই কারবারে নামে। এই জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে জাহিদ ও অনিককে সহযোগী হিসেবে নেয় আরিফ। সৌদি ফেরত জাহিদ পদ্মা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। আর অনিক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাদের ছাপানো টাকা অনলাইনের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে বিক্রির পোস্ট দিত। তাদের এই পোস্ট বুস্টিংয়ের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা সংগ্রহ করত। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করত বলে তারা স্বীকার করে। তিনি বলেন, রাজধানীর বাংলা বাজারের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করা বেশিরভাগ লোক শরীয়তপুর জেলার। ফলে আরিফের পরিচিতদের সূত্র ধরে সে বিভিন্ন সময় রাজধানীর বাংলা বাজারে এসে অবস্থান করে প্রিন্টিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

মাথায় স্যাংশন চিন্তা না রেখে মানুষের জন্য কাজ করতে বললেন র‌্যাব ডিজি
সমালোচনা, ভয়, স্যাংশনের চিন্তা মাথায় না রেখে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের জন্য বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র‌্যাব মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে মহাপরিচালকের দরবারে এ নির্দেশ দেন তিনি। খুরশীদ হোসেন বলেন, আমরা চাইব, কোনো সমালোচনা, ভয় মাথায় না রেখে, কী স্যাংশন দিয়েছে, কী স্যাংশন দেবে—এগুলো মাথায় না রেখে অর্পিত সামাজিক, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যতটা পারি, মেধা, শ্রম ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সেটা পালনের চেষ্টা করব। সব সময় মনে রাখতে হবে, দেশ আমাদের, দেশের মানুষও আমাদের। র‌্যাব সবসময় মানুষের পাশে থাকবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত আত্মত্যাগ করা ৩৩ জন র‌্যাব সদস্যকে স্মরণ করা হয়। দেশের জন্য তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা, তাদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সম্মাননা জানানোর উদ্দেশ্যে পালন করা হয় ‘র‌্যাব মেমোরিয়াল ডে’। সদর দপ্তরে উপস্থিত কর্মকর্তা ও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ব্যাটালিয়নের সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন র‌্যাব মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা যেন সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার না করি। মূল টার্গেট থাকবে, দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করা। মাদকের ব্যাপারে আরও সিরিয়াস হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক। সাহসিকতা ও সেবায় পুরস্কৃত ১২০ জন: ২০২৩ সালে অপারেশনাল (সাহসিকতা/বীরত্বপূর্ণ) ও প্রশাসনিক (সেবামূলক/প্রশংসনীয়) কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৪৩ র‌্যাব সদস্যকে মহাপরিচালকের বিশেষ সম্মাননা (সাহসিকতা) ও ৭৭ র‌্যাব সদস্যকে মহাপরিচালকের বিশেষ সম্মাননা (সেনা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে। এ ছাড়া র‌্যাব মহাপরিচালক জঙ্গি, অস্ত্র, মাদক, আভিযানিক কার্যক্রম, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণসহ ৫টি ক্যাটাগরিতে যেসব ব্যাটালিয়ন ভালো কাজ করেছে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে প্রথম র‌্যাব-৬, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে প্রথম র‌্যাব-১৫, মাদক উদ্ধার অভিযানে প্রথম র‌্যাব-১৫, আভিযানিক কার্যক্রমে প্রথম র‌্যাব-১৫, দ্বিতীয় স্থান র‌্যাব-৫ এবং তৃতীয় র‌্যাব-১১ ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ক্যাটাগরিতে র‌্যাব-৯ প্রথম।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পেলেন র‍্যাবের ১২০ সদস্য
র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) পদক পেলেন ১২০ র‍্যাব সদস্য। পেশাগত কাজে অসামান্য অবদানের জন্য তারা এ পদক পেলেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। এ সময় পদক প্রদান ছাড়াও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র‍্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন র‍্যাব মহাপরিচালক। এ ছাড়াও তিনি আভিযানিক কার্যক্রমে শহীদ র‍্যাব সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
০৭ মার্চ, ২০২৪

র‌্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, র‌্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে। স্যাংশন কখনো এক তরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। রমজানে র‌্যাবের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান সংযমের মাস, কিন্তু এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।  শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব। এ ছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। এ ছাড়াও কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তাররোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
০৬ মার্চ, ২০২৪

মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত র‌্যাব
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনো হুমকি নেই। তবে সব ধরনের হুমকির বিষয়ে চিন্তা করেই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। র‌্যাব ডিজি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে আমরা সার্বক্ষণিক যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র‌্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে বলেও জানান তিনি। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র‌্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে। র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে সতর্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভার্চুয়াল জগতে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। র‍্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারা দেশের ব্যাটালিয়নগুলোতে মনিটরিং করা হবে। সিসি ক্যামেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে। নিরাপত্তার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে র‍্যাবের। এ সময় র‌্যাব ফোর্সেস মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চাই- উল্লেখ করে খুরশীদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ হচ্ছে মাদকের একটি ট্রানজিট রোড। এর থেকে যদি বাঁচতে হয়, তবে আমাদের সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে, আইন অনুসারে সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ দেশ আমাদের, দেশের মানুষ আমাদের, বাংলাদেশ আমাদের অহংকার। এই ভেবেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে বসবাস করব, এ দেশের শান্তি ও সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থার জন্য মাদক ও কিশোর গ্যাংসহ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে নির্মূল করতে হবে। নির্মূল আমি ওই অর্থে বলব না, কারণ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই যারা মাদককে নির্মূল করতে পেরেছে। আমি মনে করি, যারা অনেক বড় কথা বলে সেই সমস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে, জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, এলাকায় বসবাস করতে পারে, পাশাপাশি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যাতে সুন্দরভাবে পরিচালনা হতে পারে, সমাজের মানুষ যাতে কোনো প্রকার হুমকির মধ্যে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করা। এ অনুষ্ঠানে মাদক ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলায় আসছে র‌্যাব মুখপাত্রের দুই বই
অমর একুশে বইমেলায় আসছে র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা দুটি বই। মাদকের সাতসতেরো ও কিশোর গ্যাং- এই নামে দুটি বই প্রকাশিত হবে কবি প্রকাশনী থেকে।  খন্দকার মঈন জানান, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বই দুটি মেলার ৬৩ ও ৬৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।   মাদকের সাতসতেরো বইটি সম্পর্কে জানা গেছে, র‌্যাবের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদক সেবনকারী ও মাদককারবারিদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাচাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার যে অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার লেখায়। বইটিতে তিনি মাদক সেবনের ভরাবহ ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদককারবারিদের ভরানক ও অন্ধকার রূপের কথা তুলে ধরেছেন। দিয়েছেন সমাজ থেকে মাদককে সমূলে উৎপাটিত করবার রূপরেখা।  খন্দকার মঈন তার দায়িত্ব পালনের সময় একজন কিশোর কীভাবে অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে তা তিনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও তন্নিষ্ঠ পাঠের ফসল কিশোর গ্যাং বইটি। তিনি র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণালব্ধ বাস্তব অজ্ঞিতারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার এই লেখায়।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভোটের মাঠে র‌্যাব
সফলভাবে আইন প্রয়োগের স্বার্থে উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও সরকারি বিভিন্ন জাতীয় ডাটাবেজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাৎক্ষণিক প্রবেশাধিকার জরুরি হয়ে পড়ে। এসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমাধানকল্পে র‌্যাব ফোর্সেস কর্তৃক প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডাটাবেজের সমন্বয়ে ২০২১ সালে Onsite Identification & Verification System (OIVS)-এর প্রবর্তন করা হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নিশ্চিত করতে এবারই প্রথমবারের মতো র‌্যাব ওআইভিএস ব্যবহার করছে। ওআইভিএস ডিভাইসটি দিয়ে কার্যক্রম শুরুর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব। মোবাইলসদৃশ এই ডিভাইসটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে পরিচালনা করা যায়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে এই ডিভাইসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডিভাইসটির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র, অপরাধীদের ডাটাবেজ ও কারাভোগের ডাটাবেজের তথ্য পাওয়া যায়। এতে কোনো ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রবেশ করালে ওই ব্যক্তির তথ্য অতি সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। এতে নিমিষেই জানা সম্ভব হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার কিংবা হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা অপরাধমূলক যে কোনো কাজের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না। এই ডিভাইসের মাধ্যমে শুধু অপরাধী শনাক্তই নয়, বিভিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহের পরিচয়ও শনাক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে এই ডিভাইসের মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ডিভাইসটি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্মতারিখ ব্যবহার করে জানা যাচ্ছে ব্যক্তির পরিচয়সহ অন্যান্য তথ্য। এতে অপরাধ তদন্তে আরও গতিশীলতা পেয়েছে। অপরাধীদের শনাক্তে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে ওআইভিএস নতুন ধারা উন্মোচন করেছে। ওআইভিএস ডিভাইসটি র‌্যাব ফোর্সেস-এর অফিসারগণ পরিচালনা করে থাকেন। অপতৎপরতামূলক কাজে কেউ যাতে ডিভাইসটি ব্যবহারের সুযোগ না পায়, সেক্ষেত্রে এটির সুরক্ষা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে র‌্যাব কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিষয়েও তথ্য থাকবে ডিভাইসটিতে। এ ছাড়া পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং পুলিশের ডাটাবেজের তথ্য সহায়তা ওআইভিএস ডিভাইসটির মাধ্যমে পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ডাটাবেজগুলোর তথ্য এই ডিভাইসের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিভাইসটি ব্যবহারের শুরু থেকেই অপরাধী শনাক্তসহ অজ্ঞাতপরিচয় ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিতে র্যাবের অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। আধুনিক এ ডিভাইসটি ব্যবহার করে এরই মধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা ২০০৫ সালে বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর মনু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হেমায়েত কবিরাজ, কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যাসহ চারটি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জালাল গাজি, ক্লুলেস গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের অজ্ঞাতপরিচয় লাশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের খণ্ডিত লাশসহ অসংখ্য অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির খণ্ডিত অথবা অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর এ ডিভাইসটি ব্যবহার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি সংসদীয় আসনে মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া স্থাপন করা হয়েছে ৩০টির বেশি অস্থায়ী ক্যাম্প। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র‌্যাব ফোর্সেস পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোরো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতা প্রতিরোধে দেশব্যাপী সর্বমোট ৭০০টির বেশি টহল দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থেকে দায়িত্বপালন করবে এবং টহলসমূহ ওআইভিএসের ডিভাইসটি ব্যবহার করবে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে নির্বাচনী প্রচার এবং ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাঘুরি না করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশ এলাকায় অনুপ্রবেশকারী বহিরাগতদের পরিচয় শনাক্ত করতে র্যাবের মোবাইল টহল কর্তৃক এ ডিভাইসটি ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া এই ডিভাইসের মাধ্যমে এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় প্রবেশ করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে কি না তা শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক/আত্মগোপনে থাকা অপরাধীরা যারা আত্মগোপনে রয়েছে, তারা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের আগের ও পরের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এরূপ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওআইভিএস ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আগের অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করবে, তৎক্ষণাৎ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করাসহ ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশে ঘোরাঘুরি করা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শনাক্তসহ ডিভাইসটির মাধ্যমে খুব সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে সহিংসতাকারীদের শনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নিশ্চিত করতে এবারই প্রথমবারের মতো র‌্যাব ব্যবহার করছে ওআইভিএস। লেখক: পরিচালক, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার ১৮টি হাতবোমা নিষ্ক্রিয় করল র‌্যাব
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের কালিকাপুর এলাকার একটি মসজিদের পাশ থেকে ১৮টি হাতবোমা উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা মোড় এলাকায় একে একে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর শেখপাড়া জামে মসজিদের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই হাতবোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। বোমা নিষ্ক্রিয় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ এর খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবির জানান, রাতে সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন কালিকাপুর শেখপাড়া মসজিদের পাশে পাকা রাস্তার ধার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশে র‌্যাব-৬ খুলনার বোমা ডিসপোজাল টিম উদ্ধার ১৮টি বোমা নিষ্ক্রিয় করেন। তিনি আরও জানান, বোমাগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী গোলাবারুদ দ্বারা তৈরি। নাশকতার কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশে বোমাগুলো আনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, র‌্যার-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক। বোমা ডিসপোজাল টিম লিডার ডিএডি শামসুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X