বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয় : পাক প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এজন্য দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশের। এর আগে একই দেশের অংশ ছিল বাংলাদেশে ও পাকিস্তান। তখন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি ছিল দুই ভূখণ্ড। ওই সময়ে নানাভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ নির্যাতন করেছে পশ্চিম পাকিস্তান। শোষণ নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর বাঙালি জনতা। ৯ মাসের সংগ্রাম শেষে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। সেই শোষিত দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফাস্টপোস্টের এক প্রতিবেতদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শাহবাজ শরিফ বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের যখন অংশ ছিল তখন তাদের আমাদের জন্য বোঝা মনে করা হতো। বলা হতো এ অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা।’ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বোঝা এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে বাংলাদেশের দিকে তাকালে এখন আমাদের লজ্জা হয়। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বুধবার পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ একটি বোঝাস্বরূপ। কিন্ত আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। আমরা এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পায়।  এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি আরেকটি ‘ঢাকা ট্র্যাজেডি’র জন্ম দিতে পারে। একইসঙ্গে ইমরান খান দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া কোনো দেশ টিকে থাকতে পারে না। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে চলছে রাজনৈতিক সংকট। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেও সরকার গঠন করতে পারেনি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এদিকে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুধু অর্থনীতিই নয়, অনেক কিছুতেই বাংলাদেশের ধারের কাছেও নেই পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরে বহু এগিয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের দরবারে পরিণত হয়েছে উন্নয়নরে রোল মডেলে। এখন অনেক দেশটি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণ করে বলেও দাবি করা হয় সরকাররের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে বরাবরই উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পর্যন্ত পাক সেনাবাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের ওপর ১৯৭১ এর মতো নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।  ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়ায় পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।  তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। 
২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে লজ্জা
যৌন নিপীড়নের মতো চরম লজ্জার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে একের পর এক সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক কিংবা বহিরাগতদের বিচারের দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে আন্দোলন। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরাসরি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। অতীতেও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও আলোচনায় এসেছে এমন ঘটনা। এতে শুধু শিক্ষা কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে না, শিক্ষাঙ্গনের ইমেজও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, ২০০৯ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা ও সুপারিশ করার জন্য একটি অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে। ওই রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করা হয়। তবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনেকেই এই সেল বা কমিটি সম্পর্কে জানেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যরা নিজেরাই সচেতন নন বলে অভিযোগ রয়েছে। কমিটির কাছে অভিযোগ করলেও যথাযথ প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া নীতিমালায় না থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হলেও সমাধান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদ কালবেলাকে বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি নেই, তাদের কমিটি গঠনে প্রতিবছরই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল রয়েছে সেগুলো কার্যকর নয়। সেগুলো কার্যকর হলে এসব অভিযোগ কমে যেত। তাই এসব সেলকে কার্যকর করতে হবে।’ শিক্ষাবিদরা বলছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলেই যৌন হয়রানির মতো ঘটনা কমতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা ও নৈতিকতায় এখনো সমস্যা রয়ে গেছে। কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তের মাধ্যমে তা প্রমাণ হলেও কম শাস্তি দেওয়া হয়। ফলে কিছুদিন পরই সে ঘটনা সবাই ভুলে যায়। এসব ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাহলে এ ধরনের প্রবণতা বন্ধ হবে। তা না হলে এমন ঘটনা চলতেই থাকবে।’ ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ: গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রক্টর বরাবর লিখিত দেন ওই বিভাগেরই এক ছাত্রী। পরদিন এটি উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দেন প্রক্টর। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ওই বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী। অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ। তিনি জানান, বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার কথা রয়েছে তার। সে কারণেই জল ঘোলা হচ্ছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে তাকে ঘায়েল করতে চায় একটি পক্ষ। সেজন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল নাদির জুনাইদকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল মনসুরকে দেওয়া চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ওই অধ্যাপকের বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন। সেজন্য তো একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া ওই শিক্ষকও সময় চেয়েছেন। সে কারণে তাকে তিন মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই সময় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলবে।’ চবিতে ৫ বছরে চার কাণ্ড: যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী উপাচার্যের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ জানান, স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গেলে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিন তাকে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগেই একই বিভাগের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে টানা ১২ দিন ধরে চবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাহবুবুল মতিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল। চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো অভিযোগ পেলে তা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে।’ চবিতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই ছাত্রীকে পথ আটকে হেনস্তা করা হয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে। সেবার চবির বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির পর বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা হয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠলে চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। ২০২৩ সালে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী ও দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়ও উঠে আসে শাটলের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের দুটি উপ-পক্ষের নাম। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একের পর এক যৌন হয়রানি হলেও কঠোর শাস্তির নজির না থাকায়, বারবার এর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সুনির্দিষ্ট ঘটনা আলোচনায় এলেই কেবল তা নিয়ে কিছু ফাইল চালাচালি হয়। কিছুদিনের মধ্যেই আবার তা থেমেও যায়। জাবিতে রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ: স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলন চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ও হলসংলগ্ন এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ছাত্রলীগের কয়েক নেতা আটক হলেও আন্দোলন থামেনি। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করা; গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা; যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তিসহ ক্যাম্পাসে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে সরব বাকৃবি: গত শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজিচালক পেছন থেকে এসে অশালীনভাবে ওই নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়। শিক্ষার্থীরা ওই সিএনজিচালককে ধরার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে রোববার বিক্ষোভ করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দুদিনের মধ্যে অভিযুক্ত সিএনজিচালককে আটক করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা হয়। তার নাম মোশারফ হোসেন (২৩)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, ‘দ্রুতই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী সিএনজিচালককে আটক করা হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ সঠিক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ জিরো টলারেন্সে ইউজিসি: যৌন হয়রানি বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে ইউজিসি। জানা গেছে, ঢাবি, চবি ও বাকৃবিতে উঠা অভিযোগের বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—তা জানতে কমিশনের পক্ষ থেকে শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর কালবেলাকে বলেন, ‘নিপীড়ন প্রতিরোধে নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। অনেকক্ষেত্রেই তারা অযাচিত আচরণের শিকার হলেও অভিযোগ দেয় না। শিক্ষক কী ভাববে, মানুষ জেনে যাবে ভেবে চেপে যায়। তবে দু-একজন অভিযোগ করে। সব ক্ষেত্রে সচেতনতা দরকার। কোনো ধরনের ইঙ্গিত পেলে বা এমন কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত অভিযোগ জানানো উচিত।’
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

লজ্জা থাকলে বিএনপি আর কখনো হরতাল অবরোধ ডাকবে না : উপমন্ত্রী শামীম
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, লজ্জা থাকলে বিএনপি আর কখনো হরতাল বা অবরোধ ডাকবে না। তারা কর্মসূচি দিয়ে নিজেরাই গর্তে ঢুকে গেছে। তবে মাঝে মাঝে চোরাগোপ্তা হামলার মতো করে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস। মিথ্যাচারের জনক বিএনপি এবার অভিনব কায়দায় জো বাইডেনের উপদেষ্টা তৈরি করার মতো মার্কিন সরকারের সঙ্গেও জালিয়াতি করেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের কাঁচি কাটাকে সোনার বাংলা এভিনিউ, সখিপুর এ অন্তর্ভুক্তকরণ, বোরকাঠি উচ্চ বিদ্যালয়ে সুধী সমাবেশ ও জোহরা কাদের স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজয়-৭১ ভবন উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরকারের পতন করতে গিয়ে নিজেদের পতন ডেকে এনেছে। আন্দোলনের নামে আবারও মানুষ পুড়িয়ে মারার খেলায় মেতে উঠছে। ওরা জানে নির্বাচনে আসলে ওদের নিশ্চিত পরাজয়। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তাদের দল বিএনপিকে আর কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কথা ভুলে নাই। উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু বানায়, মেট্রোরেল করে, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে। বিএনপি যতই আন্দোলন করুক কাজে আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই তাদের নির্বাচন করতে হবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন।  এসময় উপস্থিত ছিলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম পাইক, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, কাঁচি কাটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ককন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বিপ্লব প্রমুখ। এসময় উপমন্ত্রী তার রত্নগর্ভা মায়ের প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনে পক্ষ থেকে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে ৫০ জনকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

এশিয়াডে ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হলো লজ্জা
এশিয়ান গেমসে চলছে বাংলাদেশের ব্যর্থতার ধারাবাহিক প্রদর্শনী। ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হলো লজ্জার অধ্যায়। নির্দিষ্ট সময় ভেন্যুতে পৌঁছাতে না পারায় ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি কারাতে খেলোয়াড় মোহাম্মদ হাসান খান। গেমস ভিলেজ থেকে কারাতে ভেন্যু লিন পিং স্পোর্টস সেন্টার ৪০ মিনিটের পথ। সকাল ৮টায় ছিল ইভেন্ট মোহাম্মদ হাসান খানের; কিন্তু বাংলাদেশ দলের সদস্যরা গিয়ে ভেন্যুতে পৌঁছান ইভেন্ট শুরুর পর! ইভেন্ট মিস করার ন্যক্কারজনক কাণ্ডের পর খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের মধ্যে দায় এড়ানোর প্রবণতা ছিল, একে অন্যকে দোষারোপ করেছেন। এ কারাতে খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছিলেন কোচ মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু ও ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। গেমসের কারাতে নারীদের ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টে অষ্টম হয়েছেন বাংলাদেশের নু মে মারমা। লিন পিং স্পোর্টস সেন্টার জিমনেশিয়ামে রাউন্ড ওয়ানের পুল টুতে নেমে ৩৬.৩০ স্কোর করেন এ কারাতে খেলোয়াড়। গেমসের হকি স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আজ বাংলাদেশ খেলবে ওমানের বিপক্ষে। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে জয়ী দল সপ্তম স্থান পাবে। ২০১৮ সালে ষষ্ঠ স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এবারের সে অবস্থান ধরে রাখার লক্ষ্য ছিল। এখন সপ্তম স্থান পেলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে লাল-সবুজরা। ফুইয়াং ইনহু স্পোর্টস সেন্টারে গেমসের আরচারি রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। হ্যাংজু কুই ইউয়ান চেস হলে দলগত ইভেন্টে আজ অষ্টম রাউন্ড খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু আজ গেমসে বাংলাদেশিদের দৃষ্টি থাকবে ঝেইঝ্যাং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্টেডিয়ামে। এ ভেন্যুতে ক্রিকেটের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতলে ২০১০ সালের পর স্বর্ণজয়ের হাতছানি থাকবে। ম্যাচ হারলে ২০১৪ সালের মতো ব্রোঞ্জ পদকেই সান্ত্বনা খুঁজতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মূল একাদশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার বিশ্রামে ছিলেন। সেমিফাইনালে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ভারতকে হারাতে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের কণ্ঠে ছিল আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে সেমিফাইনাল জয়ের প্রত্যয়।
০৬ অক্টোবর, ২০২৩

নিষেধাজ্ঞাকে লজ্জা বললেন ফখরুল
বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এককভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক ও লজ্জাজনক। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে তারা। গতকাল এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়। মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, এ জন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী। মির্জা ফখরুল বলেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বিএনপি এমনটি মনে করছে কি না—এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা নীতি দিয়েছে; কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জনগণের কাছে নতি স্বীকারে লজ্জা নেই : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, এ দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। তাই জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করলে সরকারের কোনো লজ্জা নেই। সরকারকে বলব- অবিলম্বে গণদাবি মেনে পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় জনগণই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করে নেবে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক রোডে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ুন, এতে লজ্জা নেই- মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের দাবি মেনে, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, এতে কোনো লজ্জা নেই। এই সরকার শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা ছেড়ে দিক—এটাই বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা, দেশবাসীর চাওয়া। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নাগরিক কণ্ঠ’র ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এ আহ্বান জানান। বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান সরকার বলে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করে এ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে; কিন্তু বিপজ্জনক হচ্ছে, তারা মুখে বলে একটা; কিন্তু কাজে করে সম্পূর্ণ উল্টোটা। তবে ভালো দিক হলো, গত ১৪ বছর ধরে তারা মিথ্যাচার করে সারা বিশ্বে প্রচার করে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রকামী দেশ হিসেবে একটি ফানুস তৈরি করেছিল; কিন্তু আজকে সেই ফানুসটি ফুটে গিয়েছে। আজকে শুধু বাংলাদেশের ভিতরে না বাংলাদেশের বাইরে, শুধু আমেরিকা-ইউরোপ নয়, পৃথিবীজুড়ে যেসব প্রতিষ্ঠান মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে, তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে, বাংলাদেশে আর যাই থাকুক না কেন, গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা যে আন্দোলন করছি, এটা শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা বাংলাদেশের মানুষ, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যারা সৎ রাজনীতিতে বিশ্বাসী—তাদের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এ সময় নাগরিক কণ্ঠের আহ্বায়ক সাংবাদিক রমিজ খানের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির আমিনুর রশিদ ইয়াছিনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
২৭ আগস্ট, ২০২৩

বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের লজ্জা নেই- তথ্যমন্ত্রী
পরপর পাঁচবার কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও তাদের লজ্জা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এবারও কানাডার আদালত বলেছে, বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে। তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। তাই তাদের দলের কাউকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর আর কে রোড এলাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অন্য দলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বোঝে না। আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার আছে বলেই আপ্যায়ন হয়, ডিভিশন দেওয়া হয়। গয়েশ্বর রায়কে খাবার দেওয়া আর আমান উল্লাহ আমানকে প্রধানমন্ত্রীর ফলমূল পাঠানো রাজনৈতিক শিষ্টাচার। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এই শিষ্টাচার মেনে চলেন। এখন তারা অন্য কথা বললেও দেশের জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেত্রী মতিয়া চৌধুরী ও মো. নাসিমকে কীভাবে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করা হয়েছে, সেটাও দেশের মানুষ দেখেছে। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি খেলা শুরুর আগেই বোল্ড আউট হয়েছে। তারা ঢাকা দখল নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নেতাকর্মী পালিয়ে গেছে। এ সময় রংপুর উপকেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ করেন মন্ত্রী। তার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X