ট্রেড লাইসেন্স সার্ভার অচল দেড় মাস ধরে ভোগান্তি
ঠিকাদারি ব্যবসার জন্য নতুন ট্রেড লাইসেন্স করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) এসেছেন সাকেরুল আহমেদ। বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করলেও এখনো ট্রেড লাইসেন্স পাননি। তিনি জানান, ভাইয়ের নামে নতুন ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেছি। কর অফিস থেকে গত সপ্তাহে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এসে সার্ভার সমস্যার কারণে ট্রেড লাইসেন্স পাইনি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি এখনো সার্ভার সমস্যা কাটেনি। সাকেরুলের মতো অনেকেই ডিএসসিসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থা চলছে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে। এ সময়ে কেউ কেউ নতুন ট্রেড লাইসেন্স হাতে পেলেও বারকোড না থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্ভার ক্রাশ করার কারণে নতুন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাসহ সব ধরনের ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় বিকল্প সার্ভারের মাধ্যমে সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। চলতি মাসের শুরুতে নতুন সার্ভার চালু করেছে সংস্থাটি। তবে তাতেও সংকট কাটেনি। ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন এলাকায় যে কোনো ব্যবসা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। করপোরেশনের পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগ এবং নগর ভবনে রাজস্ব বিভাগাধীন দুটি বাজার শাখা থেকে ট্রেড লাইসেন্স করা যায়। বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ২৯৫টি ক্যাটাগরি রয়েছে। ব্যবসা অনুসারে ট্রেড লাইসেন্সের খরচ গুনতে হয়। দুর্নীতি ও ভোগান্তি রোধ এবং ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়াটি সহজ করতে ফি আদায়সহ প্রায় সব কার্যক্রম অনলাইনে হয়ে থাকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর মাধ্যমে আয় করে ৭৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। তবে ১ এপ্রিল থেকে ডিএসসিসির নতুন ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়নে সার্ভারে সমস্যা দেখা যায়। অনলাইনে নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। আর পুরোনো লাইসেন্স নবায়ন করলেও সেই ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেটে বারকোড স্ক্যান করলে কোনো তথ্য আসে না। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে আইটি সেলে জানানো হলে তারা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো সংকট কাটেনি। করপোরেশনের কয়েকজন কর কর্মকর্তা জানান, অনেক লোড হয়ে যাওয়ার কারণে সার্ভার ক্রাশ করেছে। তাই টাকা জমা হলেও আমরা ট্রেড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারছি না। জরিমানা এড়াতে অনেক ব্যবসায়ী টাকা জমা দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। বছরের জুন-জুলাই মাসে নতুন ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন এবং নবায়নের চাপ বেশি থাকে। কিন্তু বছরের বাকি সময় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি নতুন ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন পড়ে। বর্তমানে নতুন যে আবেদনগুলো জমা পড়ছে, সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজ করছি। তারা আরও জানান, সার্ভার মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য পাওয়া যায়। তখন দু-একটি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সম্প্রতি ডিএসসিসির আঞ্চলিক অফিস অঞ্চল-৩ খিলগাঁওয়ে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ১০ থেকে ১২ জন ভিড় করছেন রাজস্ব কর দপ্তরে। তাদের মধ্যে কয়েকজন ট্রেড লাইসেন্সের কপি সংগ্রহ করতে এসেছেন। তাদের সার্ভার ডাউনের জন্য পরদিন আসতে বলা হয়েছে। আবার কয়েকজন নতুন ট্রেড লাইসেন্সের বারকোড সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে ভিড় করছেন। লক্ষ্মীবাজারের ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম বলেন, নতুন রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেছি। ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেছি এপ্রিলের শুরুতে। কয়েকদিন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে ঘোরার পর সপ্তাহ দুয়েক আগে নতুন ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছি। কিন্তু বিপত্তি বাধে ব্যাংক ঋণ আবেদন করতে গিয়ে। ট্রেড লাইসেন্সে থাকা বারকোড স্ক্যান করে ব্যাংক কর্মকর্তা কোনো তথ্য পাননি। পরে তিনি করপোরেশনের রাজস্ব শাখায় যোগাযোগ করলে তারা সার্ভার ডাউনের কথা জানান। এদিকে সার্ভার ডাউনের কারণে নতুন ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ থাকায় আঞ্চলিক দপ্তরগুলোতে দালালের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। তারা অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নতুন ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে মানুষকে। ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, নতুন ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সার্ভারে কিছু সমস্যা হচ্ছে। পুরোনো সার্ভারে কোনো কাজ হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে বিকল্প সার্ভার ব্যবহারের উপায় খুঁজছি। ডিএসসিসির আইটি শাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট আবু তৈয়ব রোকন বলেন, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কারণে কিছু সময় সার্ভার পাওয়া যায় না। তাই নতুন ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজস্ব শাখার কিছু নবীন কর্মী সার্ভার কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানে না।
৬ ঘণ্টা আগে

লাইসেন্স ও ফিটনেস নেই বেশিরভাগ গাড়ির
বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে কয়েকদিন ধরে বন্ধ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক। এতে প্রতিদিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে যাতায়াত করা লাখ লাখ মানুষ। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই সড়কে যেসব যানবাহন চলাচল করছে তাদের অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস ও লাইসেন্স। যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। এমন দাবির বাস্তবতা মিলেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিএ) অভিযানে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিনভর চালানো এই অভিযানে মামলা করা হয়েছে ২৬টি পরিবহনের বিরুদ্ধে। জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ৮৫ হাজার টাকা। ফিটনেস না থাকায় জব্দ করা হয়েছে দুটি লেগুনা ও হিউম্যান হলার। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ফৌজদারহাটে পৃথক অভিযানে করা হয়েছে এই জরিমানা। দুপুরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় অভিযান চালান রাঙ্গুনিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন। তিনি জানান, লাইসেন্স, ফিটনেন্স ও হেলমেট না থাকায় ৯টি যানবাহনকে ৫৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স না থাকায় ৩টি পরিবহনকে ১৫শ টাকা, ফিটনেস না থাকায় ৩টি গাড়িকে ২২শ টাকা ও হেলমেট না থাকায় ৩টি পরিবহনকে ১৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিনসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়ার বাইপাস এলাকায় অভিযান চালান পটিয়া ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেন না থাকায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা জরিমানা। জব্দ করা হয়েছে ফিটনেসবিহীন ২টি লেগুনা ও পাবলিক হিউম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. ফাহাদ শিকদার। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ফোজদারহাটে আরেকটি পৃথক অভিযান চালান বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। তিনি বলেন, লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকাসহ নানা অভিযোগে ১৫টি পরিবহনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে লাইসেন্স না থাকায় ৭টি যানবাহনকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা, ফিটনেস না থাকায় ৭টি গাড়িকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া নানা অভিযোগে আরও একটি গাড়িকে করা হয়েছে ৪ হাজার টাকা জরিমানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক তীর্থ প্রতিম বড়ুয়া প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভারী যানের লাইসেন্স ছিল না রাইদার চালকের
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী মইদুল ইসলাম সিদ্দিক নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক হাসান মাহমুদ হিমেলের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। তিনি বাসটির ফিটনেস সনদও দেখাতে পারেননি। গতকাল শনিবার সকালে বরিশালের হিজলা থেকে হিমেলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে র‌্যাব-১-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, প্রকৌশলী মইদুলকে গাড়িচাপা দেওয়ার পর চালক হিমেল পালিয়ে বরিশালে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ ও ৮ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, এ ধরনের বাস চালানোর জন্য চালকের লাইসেন্স ছিল না। এ ছাড়া গাড়ির ফিটনেস-সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল না। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মইদুল ইসলামের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় রাইদা পরিবহনের বেপরোয়া গতির একটি যাত্রীবাহী বাস। পরে গাড়িটি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের টিনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সিভিল এভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী মইদুলকে চাপা দেয় বাসটি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও চালানো যাবে গাড়ি!
এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও গাড়ি চালাতে পারবেন চালকরা। স্মার্টফোনে ই-লাইসেন্স দেখিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন তারা। ইতোমধ্যে এর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। রোববার (২৪ মার্চ) বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এতে থাকা কিউআর কোড দ্বারা সরাসরি ডাটাবেইজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কি তথ্যাদি যাচাই করা যাবে। এ বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো-২ সার্কেলের উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশে ই-লাইসেন্স যুক্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েও চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য কাজেও স্মার্টফোনের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিদেশ ভ্রমণ ও ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে প্রমাণিত হলে বিদেশ ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। পাশাপাশি তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরকেএসসি) নিকট কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকা প্রেরণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসাথে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকা গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবে সংস্থাটি। এসব সংস্থা তাদের আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাওয়ারও যোগ্য হবেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম আসলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যাহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে।
১২ মার্চ, ২০২৪

একীভূত লাইসেন্স পেল ৩ মোবাইল অপারেটর
দেশের তিন মোবাইল অপারেটরের অনুকূলে প্রযুক্তি নির্বিশেষে একক (ইউনিফায়েড) লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এই তিন অপারেটর হলো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক এবং বেসরকারি খাতের গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা। তবে বকেয়া থাকায় দেশের তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংককে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগের টুজি, থ্রিজি, ফোরজি এবং তরঙ্গ ফির জন্য আলাদা লাইসেন্স এবং নির্দেশিকা পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। একীভূত লাইসেন্সে ফাইভ জির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ‘একসেস’ তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল’ ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক অবকাঠামো ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রভৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ বছরের জন্য ১৯৯৬ সালে টুজির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। থ্রিজির জন্য আবার আরেক সময় আরেকটা মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এভাবে ফোরজি। এই সবগুলোকে একীভূত করে এ লাইসেন্স দেওয়া হলো। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দিতে এই লাইসেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে টুজি, থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি, এমনকি এর পরও যে প্রযুক্তি আসবে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যথাযথ নিয়মে নিলামের মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
১২ মার্চ, ২০২৪

ইউনিফায়েড লাইসেন্স পেল ৩ মোবাইল অপারেটর
দেশের তিন মোবাইল অপারেটরের অনুকূলে প্রযুক্তি নির্বিশেষে একক (ইউবুফায়েড) লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এই তিন অপারেটর হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক এবং বেসরকারি খাতের গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ গাইডলাইনের আলোকে অপারেটরদের অনুকূলে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স এপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ শীর্ষক একীভূত লাইসেন্স প্রদান করা হলো। এর ফলে পূর্বের টুজি, থ্রি জি, ফোর জি এবং তরঙ্গ ফি এর জন্য আলাদা লাইসেন্স এবং নির্দেশিকা পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। একীভূত লাইসেন্সে ফাইভ জি’র ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ‘একসেস’ তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল’ ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক অবকাঠামো ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রভৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ বছরের জন্য ১৯৯৬ সালে টুজি-এর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। থ্রি জি-এর জন্য আবার আরেক সময় আরেকটা মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এভাবে ফোর জি। এই সবগুলোকে একীভূত করে এই লাইসেন্স দেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আরও দুই বছর আগে লাইসেন্স একীভূতকরণ এর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, প্রযুক্তি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত করতেই তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন। লাইসেন্স একীভূত করার সিদ্ধান্ত আমাদের ইতিবাচক রিটার্ন দেবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দিতে এই লাইসেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে টুজি, থ্রি জি, ফোর জি এবং ফাইভ জি এমনকি এরপরেও যে প্রযুক্তি আসবে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যথাযথ নিয়মে নিলামের মাধ্যমে এই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌ. শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা, কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
১১ মার্চ, ২০২৪

পুরান ঢাকার বাইরে রাসায়নিক গুদামের প্রথম লাইসেন্স
পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় রাসায়নিক গুদাম হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য অনুমতি পেল। শিল্প মন্ত্রণালয় রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ায় ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামের রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়ন করে ডিএসসিসি। শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়নের আবেদন করা হলে গত বুধবার ডিএসসিসি প্রতিষ্ঠানটিকে নবায়নকৃত এই বাণিজ্য অনুমতি দেয়। ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরান ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।’ যারা স্থানান্তরিত হবে না পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ হওয়ার সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম।’ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ৩১০ একর জায়গার ওপর যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয় তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।’ গত বছরের ৪ জুন শ্যামপুরে ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্প চালু করা হয়। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এটির উদ্বোধন করেন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের মৃত্যু হয়।
০৪ মার্চ, ২০২৪

বিনোদনে হাতি ব্যবহারে লাইসেন্স প্রদান স্থগিত
সার্কাসে হাতির ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়েবাড়িতে শোভাবর্ধন, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহারে ব্যক্তি মালিকানায় লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাতির ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানা নতুন করে লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। অভিনেত্রী জয়া আহসানের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে গত রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়। অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল এ রিট করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X