লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টায় ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯০ বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়াফেরত অভিবাসীদের খোঁজ-খবর নেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন তিনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তারা দেশে ফেরেন।  জানা যায়, ভোর চারটায় বোরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি হতে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করেন তারা। এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯০ বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।  ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।  বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন মোস্তফা জামিল খান।  উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে লিবিয়া রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ ই আব্দুল মুতালিব এস এম সুলায়মানের সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত সেদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নতুন সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। বর্তমান সরকারকে শুভকামনা জানিয়ে দুদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকে তারা দেশ দুটিতে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সুষ্ঠু-সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল অভিবাসন, মানব পাচারের প্রতিরোধ, অনিয়মিত অভিবাসনকে নিরুৎসাহিতকরণসহ লিবিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

৪৫ লাখ টাকা খুইয়ে লিবিয়া থেকে পালিয়ে এলেন মামুনুর
পরিবারের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া গিয়েছিলেন মামুনুর রহমান। উদ্দেশ্য ছিল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া। কিন্তু লিবিয়ায় দালাল চক্রের জালে ফেঁসে ৪৫ লাখ টাকা খুইয়ে প্রায় আড়াই বছর বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। এরপর নিঃস্ব অবস্থায় পালিয়ে গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি দেশে ফেরেন তিনি। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইকড়ছই গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান। নির্যাতন ও প্রতারণার শিকার হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে মামুনুর রহমান বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে জগন্নাথপুর উপজেলার আলাগদি গ্রামের মানব পাচারকারী মুজিবুর রহমানের প্ররোচনায় সাড়ে ৮ লাখ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়ায় পৌঁছান। লিবিয়ায় পৌঁছে দালালকে আরও ৪ লাখ টাকা দেন। সেখানে দুই মাস পার হলে জাহেদ নামে এক দালালের ক্যাম্পে পাঠানো হয় তাকে। কিছুদিন পরে আমিনুল ও রাজ্জাক দালালের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ রকম কয়েকটি ক্যাম্পে তাকে রাখা হয়। এসব ক্যাম্পে জিম্মি করে গেমের (নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার প্রক্রিয়া) কথা বলে মুজিবুর আরও ৬ লাখ টাকা নেন। ৫ মাস পর এক রাতে গেমের কথা বলে নৌকায় তোলা হয়। কিছুক্ষণ সাগরে ঘোরাঘুরির পর তুলে দেওয়া হয় লিবিয়ার পুলিশের হাতে। মামুনুর রহমান আরও বলেন, পুলিশ ধরে নিয়ে ছোট একটি ঘরে বন্দি করে রাখে। সেই ঘরে আমরা ২০০ জন বন্দি ছিলাম। ওই ঘরে পয়ঃনিষ্কাশনের ময়লা-আবর্জনার পানি হাঁটুসমান জমে ছিল। দুর্গন্ধে বেঁচে থাকা দায় হয়। এক দিন এক রাত থাকার পর বাড়িতে যোগাযোগ করে কদ্দুস নামে আরেক দালালের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্ত হই। লিখিত অভিযোগে মামুনুর বলেন, পুলিশের বন্দিখানা থেকে বের হওয়ার পর আবার ইতালি পাঠানোর কথা বলে জগন্নাথপুরের বালিকান্দি গ্রামের দালাল রাসেল ৯ লাখ টাকা নিয়ে এনাম দালালের মাধ্যমে লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। চক্রটি একটি কক্ষে ১২০ জনকে রাখে। সেখানে টাকার জন্য রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করতে থাকে আমাকে। মারধরের অডিও এবং ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে আমার ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে ১১ লাখ টাকা দাবি করে। দাবি করা টাকা না দিলে আমাকে হত্যা করা হবে বলে জানায়। আমাকে বাঁচাতে জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সেখানে ৭ মাস থাকার পর আরেক মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে ৩ মাস আটকে রাখা হয়। চক্রটিকে ৩ লাখ টাকা দিয়েও ছাড়া পাইনি। একদিন গেমের কথা বলে বন্দিদের একটি মাইক্রোবাসে ওঠানো হচ্ছিল। আমাকেও নেওয়া হবে। আমাদের যে ভবনে আটকে রাখা হয়েছিল, হঠাৎ দেখলাম, ভবনের ছাদে লোকজন কেউ নেই। এই সুযোগে আমরা ৩ জন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচের একটি বাগানে পড়ে দৌড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকি। অনাহারে সারা রাত জঙ্গলে থাকার পর ভোরে একটি মসজিদে আশ্রয় নিই। পরে মসজিদের ইমামের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছি।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়ায় দালাল চক্রের জাল থেকে বেঁচে ফিরলেন মামুনুর
পরিবারের ভাগ্য বদলানোর জন্য দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া গিয়েছিলেন যুবক মামুনুর রহমান। গন্তব্য ছিল ইতালি। কিন্তু লিবিয়ায় দালাল চক্রের জালে ফেঁসে ৪৫ লাখ টাকা খুইয়ে ২২ মাস বন্দিজীবন কাটিয়েছেন তিনি। এরপর নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফেরেন তিনি। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইকড়ছই গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান। নির্যাতন ও প্রতারণার শিকার হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে মামুনুর রহমান বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে জগন্নাথপুর উপজেলার আলাগদি গ্রামের মানব পাচারকারী মুজিবুর রহমানের প্ররোচনায় সাড়ে আট লাখ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়াতে পৌঁছান। লিবিয়ায় পৌঁছে দালালকে আরও চার লাখ টাকা দেন। সেখানে দুই মাস পার হলে জাহেদ নামের এক দালালের ক্যাম্পে পাঠানো হয় তাকে। কিছুদিন পরে আমিনুল ও রাজ্জাক দালালের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ রকম কয়েকটি ক্যাম্পে তাকে রাখা হয়। এসব ক্যাম্পে জিম্মি করে গেমের (নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার প্রক্রিয়া) কথা বলে মুজিবুর আরও ছয় লাখ টাকা নেন। পাঁচ মাস পর এক রাতে গেমের কথা বলে নৌকায় তোলা হয়। কিছুক্ষণ সাগরে ঘোরাঘুরির পর তুলে দেওয়া হয় লিবিয়ার পুলিশের হাতে। মামুনুর রহমান আরও বলেন, ‘পুলিশ ধরে নিয়ে ছোট একটি ঘরে বন্দি করে রাখে। সেই ঘরে আমরা ২০০ জন বন্দি ছিলাম। ওই ঘরের সঙ্গে থাকা শৌচাগারের পয়োনিষ্কাশনের ময়লা-আবর্জনার পানি ঘরে হাঁটুসমান জমে ছিল। দুর্গন্ধে শ্বাস-নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মরতে মরতে কোনো রকমে বেঁচে যাই। এক দিন এক রাত থাকার পর বাড়িতে যোগাযোগ করে কুদ্দুস নামের আরেক দালালের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্ত হই।’ লিখিত অভিযোগে মামুনুর বলেন, ‘পুলিশের বন্দিখানা থেকে বের হওয়ার পর আবার ইতালি পাঠানোর কথা বলে জগন্নাথপুরের বালিকান্দি গ্রামের দালাল রাসেল ৯ লাখ টাকা নিয়ে এনাম দালালের মাধ্যমে লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেন। চক্রটি একটি কক্ষে ১২০ জনকে রাখে। সেখানে টাকার জন্য রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করতে থাকে আমাকে। মারধরের অডিও এবং ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে আমার ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে ১১ লাখ টাকা দাবি করে। দাবি করা টাকা না দিলে আমাকে হত্যা করা হবে বলে জানায়। আমাকে বাঁচাতে জায়গা-জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সেখানে ৭ মাস থাকার পর আরেক মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে তিন মাস আটকে রাখা হয়। চক্রটিকে ৩ লাখ টাকা দিয়েও ছাড়া পাইনি। একদিন গেমের কথা বলে বন্দিদের একটি মাইক্রোবাসে ওঠানো হচ্ছিল। আমাকেও নেওয়া হবে। আমাদের যে ভবনে আটকে রাখা হয়েছিল, হঠাৎ দেখলাম, ছাদে লোকজন কেউ নেই। এই সুযোগে আমরা তিনজন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচের একটি বাগানে পড়ে দৌড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকি। অনাহারে সারা রাত জঙ্গলে থাকার পর ভোরে একটি মসজিদে আশ্রয় নেই। পরে মসজিদের ইমামের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছি।’ মামুনুর রহমানের ছোট ভাই হিমেল বলেন, ‘ইতালি না পাঠিয়ে একাধিকবার মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় আমার ভাইকে। তাকে বাঁচাতে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মানব পাচারকারী চক্র। ধারকর্জ করে এসব টাকা জোগাড় করতে হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে ফিরল আরও ১৩৬ জন
লিবিয়ার ত্রিপোলির বেনগাজি ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ১৩৬ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা দেশে ফিরে এসেছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫৩৪ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা সহযোগিতা করেছে। গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ খবর নেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায়, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ফিরে আসা প্রত্যেককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজি ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে ২৬৩ বাংলাদেশি ফিরবেন কাল
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া ২৬৩ বাংলাদেশি আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গতকাল রোববার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তারা আগামীকাল ঢাকা পৌঁছবেন। এরই মধ্যে ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটকা ১৪৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে গত ২৮ নভেম্বর এবং ১১০ জনকে ৩০ নভেম্বর ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করি।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে ২৬৩ বাংলাদেশি ফিরবেন কাল
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া ২৬৩ বাংলাদেশি আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গতকাল রোববার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তারা আগামীকাল ঢাকা পৌঁছবেন। এরই মধ্যে ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটকা ১৪৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে গত ২৮ নভেম্বর এবং ১১০ জনকে ৩০ নভেম্বর ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করি।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে ফিরবে আরও ২৬৩ বাংলাদেশি
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ২৬৩ জন অনথিভুক্ত বাংলাদেশি অভিবাসীকে ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খবর বাসসের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলিতে এর মিশন এবং আইওএম-এর আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলছে।’ এর আগে ২৮ ও ৩০ নভেম্বর যথাক্রমে ১৪৩ ও ১১০ জন বাংলাদেশি বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে একই প্রক্রিয়ায় লিবিয়া থেকে এখানে ফিরে আসেন। এসব বাংলাদেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক করা হয়েছে। আইওএম-এর পক্ষ থেকে প্রত্যেককে পকেট মানি ও খাদ্যসামগ্রী হিসেবে ৫,৮৯৬ টাকা দেওয়া হয়েছে। রফিকুল আলম লিবিয়া থেকে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৪৩ বাংলাদেশি
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ার ত্রিপোলির ডিটেনশন সেন্টার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪৩ বাংলাদেশি। ত্রিপোলির বাংলাদেশ মিশন গতকাল মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে আরও জানানো হয়, আজ বুধবার এবং আগামী ৫ ডিসেম্বর দুটি ফ্লাইটে ত্রিপোলি ও বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ৩২০ বাংলাদেশিকে পাঠানো হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও ত্রিপোলির প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে গত সোমবার লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি চাটার্ড ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হয় ১৪৩ বাংলাদেশিকে। তারা গতকাল সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান। লিবিয়া ফেরত প্রতিটি আইওএমের পক্ষ থেকে পকেট মানি ও খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩
X