শনিবার ছুটিতে ফিরতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শনিবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সাময়িক। আগামী ঈদুল আজহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে। রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৯ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সে জন্য শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। ঈদুল আজহার পরে শনিবার খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে এর আগে এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় গণভবনে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন তিনি। চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে। পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। বোর্ডের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
১২ মে, ২০২৪

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না
যানজটের শহর রাজধানী ঢাকা। কেনাকাটা করতে আমরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গিয়ে থাকি। অনেক ভোগান্তি শেষে কোথাও গিয়ে দেখলেন, সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন কাজ তো হলোই না বরং সময় নষ্ট। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন শনিবার (১১ মে) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট, দোকান ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ। বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চানখাঁরপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার। বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, আজিমপুর সুপার মার্কেট, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন। যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে শিশু একাডেমি ও জাদুঘর শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
১১ মে, ২০২৪

শনিবার কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত শিক্ষকদের
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শনিবার খোলা রাখার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির আহ্বানে আগামীকাল শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা ‘কর্মবিরতি’ পালনের কথা ছিল। তবে হঠাৎ করেই তা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচি স্থগিতের পেছনে ‘যথোপযুক্ত’ কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে সমিতির নেতারা। বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির এ সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লবের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সোবহান, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী আক্কাছ, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক নিরঞ্জন সরকার, কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা অর্থ সম্পাদক ফয়েজুল হক ফয়েজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সেমিনার সম্পাদক ও বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি জবাইদুর রহমান, বগুড়া জেলা নেতা ও কেন্দ্রীয় সদস্য মো. বাশার আল হামিদ। সভায় সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার বাতিল করে শুধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হয়েছে। কতদিন পর্যন্ত কিংবা কতটি শনিবার বিদ্যালয় খোলা থাকবে তা মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর স্পষ্ট করেননি। এতে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। বছরের শুরুতেই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে কর্মদিবসসহ যাবতীয় ছুটি উল্লেখ করা আছে। আর এদিকে পাঠদান কার্যক্রমে কর্মঘণ্টাও বাড়ানো আছে। উপরন্তু রমজান মাসের নির্ধারিত ছুটি ১৫ দিন বাতিল করে ক্লাস কার্যক্রমের নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের চাপা ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশনা মেনে নেন শিক্ষকরা। এতদসত্ত্বেও সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি শনিবার কেবল মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পাঠদানের নির্দেশনা দিলে শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় প্রয়োজনে শুক্রবার ক্লাস নেওয়ারও ঘোষণা দেন। এসব কারণে ১১ মে শনিবার ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। গত ৮ মে গণমাধ্যমগুলোতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিগণের পক্ষ থেকে শনিবার ক্লাস নেওয়াটা সাময়িক বলে বক্তব্য দেন এবং ওই দিন প্রকাশিত জুলাই মাসের ষান্মাসিক পরীক্ষার রুটিনে পরীক্ষাকালীন সময়ে যত শনিবার রয়েছে তাতে কোনো পরীক্ষা না রাখার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। সে বিবেচনায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে  ১১ মে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। নেতারা বলেন, শিখন ঘাটতির বিষয়টি শুধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা যথাযথ মনে হয়নি। এতে শিক্ষকরা হতাশ হন। যাই হোক, যে কোনো নির্দেশনা মৌখিক না দিয়ে পরিপত্র তথা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়াটাই সমীচীন। নেতারা, ‘কর্মবিরতি’ পালনের কর্মসূচিকে শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী-অভিভাবক নীতিগত সমর্থন করায় ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা পোষণ করেন। পাশাপাশি ১১ মে শনিবার ১ ঘণ্টা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণাটি মেনে নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি উদাত্তভাবে আহ্বান জানান।
১০ মে, ২০২৪

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শনিবার ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশ
সরকারি চাক‌রিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ ও মু‌ক্তি‌যোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য ৩৭ বছর করতে চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১১ মে)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বৃহৎ সমাবেশ আহ্বান করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যমবিষয়ক সংগঠক খাদিজা খাতুন মুক্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা। সে ধারাবাহিকতায় দাবি বাস্তবায়নে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এ ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের (নাটোর-নওগাঁ) সংসদ সদস্য অ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর শরীফ ও মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাত অরচি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ কালবেলাকে বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর চাই। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আমরা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর। তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। এর আগে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করতে অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনকে গত ২৯ এপ্রিল চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেন, ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত যুবসমাজকে মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে সেটি হবে যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কয়েক ধাপ অগ্রসর হওয়া যাবে।
১০ মে, ২০২৪

শনিবার আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ 
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
১০ মে, ২০২৪

শনিবার ঢাকায় অঞ্জন দত্তের কনসার্ট
শীতকে কনসার্টের মৌসুম ধরা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বছরজুড়েই দেশ-বিদেশের শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্ট। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা এরিনায় ‘অঞ্জন দত্ত মেট্রোপলিস ভলিউম-২.০’ নামে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। অ্যাসেন, জির্কুনিয়ামি এবং আর্কলাইট ইভেন্টসের আয়োজনে এ কনসার্টে অঞ্জন দত্তের সঙ্গে আরও গান গাইবে ব্যান্ড কাকতাল ও আহমেদ হাসান সানি। ইতোমধ্যে কনসার্টের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কনসার্টে বিবিধ ব্র্যান্ড ও পণ্যের স্টলের পাশাপাশি থাকবে স্পন্সর বুথ ও নানা কর্মসূচি। এ অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট ও আউটরিচ পার্টনার হিসেবে কনসার্টের সঙ্গে থাকবে জুনিয়র চেম্বারস্ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এ ছাড়াও বিশেষ কিছু আয়োজনে পার্টনার হিসেবে থাকবে এশিয়ান পেইন্টস্, পোলার আইসক্রিম, ডেন কেক, প্রাণ আপ, ভিশন স্মার্ট টিভি, গোযায়ান, স্পার্ক, আমা কফি, মেরন, ফটোগ্রাফার পার্টনার র এক্সপোজ, মিডিয়া পার্টনার ৯৬.৪ স্পাইস এফএম, আরবাব গ্রুপ এবং কডিক্সেল থাকছে।  কনসার্টিতে রেগুলার ও ভিআইপি টিকিট সরবরাহ করছে গেট সেট রক্।  এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশে গান করতে এসেছেন অঞ্জন দত্ত। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ‘অঞ্জন ইন ঢাকা মেট্রোপলিস উইথ আহমেদ হাসান সানি’ কনসার্টে গান গাইতে আসেন তিনি। উক্ত কনসার্টে আরও ছিলেন আহমেদ হাসান সানি। আশির দশকের শুরুর দিকে বিনোদন জগতে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন দত্ত। বহু সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। নির্মাতা হিসেবেও মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। আর সংগীতশিল্পী হিসেবেও তিনি এপার-ওপার দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। এ বিষয়ে অ্যাসেনের ফাউন্ডার ও সিইও আনন্দ চৌধুরী বলেন, দর্শকদের জন্য স্মরণীয় একটি সন্ধ্যা উপহার দিতে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, চমৎকার একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন ঢাকার শ্রোতারা।
০৯ মে, ২০২৪

শনিবার স্কুল খোলার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ঘোষণা
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। এর আগে গত ৪ মে রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির এ সংক্রান্ত এক সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জানান, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে এরই মধ্যে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। নেতারা এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার তারা পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী-সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এক দিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে। নেতারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে। অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
০৭ মে, ২০২৪

শনিবার স্কুল খোলার প্রতিবাদে ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের আহ্বান
শনিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। এর আগে গত ৪ মে রাতে এ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জানান, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে ইতোমধ্যে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। শিখন ঘাটতি কী শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ে হয়েছে? নেতারা এমন একটি প্রশ্ন রাখেন সরকারের কাছে। নেতারা এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন বলে নেতারা বিবৃতিতে বলেন। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর নজির বিগত সরকার আমলেও দেখি নাই। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। এক দিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে করে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে। নেতারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে। অথচ সে দিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
০৬ মে, ২০২৪

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না
যানজটের শহর রাজধানী ঢাকা। কেনাকাটা করতে আমরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গিয়ে থাকি। অনেক ভোগান্তি শেষে কোথাও গিয়ে দেখলেন, সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন কাজ তো হলোই না বরং সময় নষ্ট। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট, দোকান ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ। বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চানখাঁরপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার। বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, আজিমপুর সুপার মার্কেট, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন। যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে শিশু একাডেমি ও জাদুঘর শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
০৪ মে, ২০২৪

শনিবার বন্ধ থাকবে যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 
তীব্র দাবদাহের ছুটি শেষে আগামীকাল শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৩ মে) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার ও রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তীব্র দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের তালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারা বলেন, কোনো দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণ চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। ছুটি নিয়ে আচমকা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে।  নেতারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ। নেতারা অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেওয়া নির্ধারিত ছুটিগুলো সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।  এদিকে, শুক্রবার (৩ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। 
০৩ মে, ২০২৪
X