কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শনিবার স্কুল খোলার প্রতিবাদে ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের আহ্বান

বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা

শনিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। এর আগে গত ৪ মে রাতে এ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জানান, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে ইতোমধ্যে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ।

শিখন ঘাটতি কী শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ে হয়েছে? নেতারা এমন একটি প্রশ্ন রাখেন সরকারের কাছে।

নেতারা এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন বলে নেতারা বিবৃতিতে বলেন।

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর নজির বিগত সরকার আমলেও দেখি নাই। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। এক দিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে করে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।

নেতারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে। অথচ সে দিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিআরটিএর নতুন নির্দেশনা

রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

আখাউড়া আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন

এভারেস্ট জয় করলেন আরেক বাংলাদেশি

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী?

সৌদিতে আরও ১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

হজ পালনে সৌদি গেছেন ২৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

জামালপুরে ধর্মঘট পালন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা

কী আছে আজ আপনার ভাগ্যে?

১০

‘আমরা নিরাপদে নেই, দুই দিন ধরে না খেয়ে আছি’

১১

ইরানে দুই নারীসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২

পাঁচ প্রার্থীই আ.লীগের শীর্ষ নেতা, বিভক্ত কর্মীরা

১৩

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা, ১০ অঞ্চলে সতর্কসংকেত

১৪

প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও সবুজায়ন হয়নি পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস

১৫

ব্রিটেনে শিশুর নাম মোহাম্মদ রাখার হিড়িক

১৬

ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা

১৭

সকালের মধ্যে তীব্র ঝড় হতে পারে যেসব জেলায়

১৮

১৯ মে : নামাজের সময়সূচি

১৯

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

২০
X