উত্তাল চবি ক্যাম্পাস, বন্ধ শাটল ট্রেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের একাডেমিক সেশন জট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে (জিরো পয়েন্ট) তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাদা কাফন ও মাথায় কাপড় বেঁধে, হাতে ফেস্টুন, প্লে কার্ড নিয়ে আন্দোলন করছে তারা। এদিকে দাবি আদায়ের জন্য দুপুর আড়াইটার শাটলের চাবি নিজেদের কাছে নিয়ে নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের সেশনজট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে। তারা কী আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দেবে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের একটুও মাথাব্যথা নেই। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জন সাহা তন্ময় বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে ততক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও সকল পরিবহন বন্ধ থাকবে। এদিকে শাটল ট্রেন বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বলেন, আমরা তাদের নিবারণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে তারা দেড়টার শাটল বন্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা আমরা করতে দেইনি। ষোলশহর স্টেশনের মাস্টার জয়নাল আবেদীনের কাছে শাটল ট্রেন বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী শাটলটি আসতে পারেনি কারণ সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ট্রেনের চাবি কেড়ে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এটি একাডেমিক বিষয়। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে মূল ফটকে তালা দেওয়াটা সমীচীন হয়নি। বিভাগটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, নীতিমালার জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা ও ক্লাস নেওয়ার সম্ভব হয়নি। এর ফলে জট দেখা দিয়েছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগটি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে যাত্রা শুরু করলেও দীর্ঘ আট বছরে একটি ব্যাচও গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বের হতে পারেনি। এজন্য বিভাগের স্থায়ী ভবন না থাকাটাকে কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে স্থায়ী কোনো শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়াকে দোষারোপ করছেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারি বর্ষণে চবিতে পাহাড় ধস, শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানিতে সড়ক ও রেললাইন ডুবে যাওয়ার কারণে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার।  জানা গেছে, ভারি বর্ষণে একটি বসতঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়াসহ একজন আহত হয়েছেন। গাছ ভেঙে পড়ে মাথা ফেটে যাওয়া আহত ব্যক্তির নাম মো. হানিফ। তিনি চবির জীববিজ্ঞান অনুষদে দায়িত্বরত একজন কর্মচারী। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনিতে পাহাড় ধসে গাছ পড়ে একটি বসতঘর ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে নেমে আসা মাটিতে কাটাপাহাড় সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ একাধিক জায়গায় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ভোর রাতে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাহাড় ধসে গাছ পড়ে ঘরের দেয়াল ভেঙে একজনের মাথা ফেটে গেছে। তাদেরকে আগেও মাইকিংয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তাছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে বৃষ্টির পানিতে চট্টগ্রাম শহরের সব রাস্তাঘাট ডুবে থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাস ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি এবং শাটল ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এদিকে গত শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন, এ এফ রহমান হল, জীববিজ্ঞান অনুষদসহ বেশকিছু জায়গায় পানি উপরে উঠে যায়। এতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
০৭ আগস্ট, ২০২৩
X