চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উত্তাল চবি ক্যাম্পাস, বন্ধ শাটল ট্রেন

চবিতে শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
চবিতে শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের একাডেমিক সেশন জট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে (জিরো পয়েন্ট) তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাদা কাফন ও মাথায় কাপড় বেঁধে, হাতে ফেস্টুন, প্লে কার্ড নিয়ে আন্দোলন করছে তারা। এদিকে দাবি আদায়ের জন্য দুপুর আড়াইটার শাটলের চাবি নিজেদের কাছে নিয়ে নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।

আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের সেশনজট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে। তারা কী আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দেবে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের একটুও মাথাব্যথা নেই।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জন সাহা তন্ময় বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে ততক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও সকল পরিবহন বন্ধ থাকবে।

এদিকে শাটল ট্রেন বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বলেন, আমরা তাদের নিবারণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে তারা দেড়টার শাটল বন্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা আমরা করতে দেইনি।

ষোলশহর স্টেশনের মাস্টার জয়নাল আবেদীনের কাছে শাটল ট্রেন বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী শাটলটি আসতে পারেনি কারণ সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ট্রেনের চাবি কেড়ে নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এটি একাডেমিক বিষয়। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে মূল ফটকে তালা দেওয়াটা সমীচীন হয়নি।

বিভাগটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, নীতিমালার জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা ও ক্লাস নেওয়ার সম্ভব হয়নি। এর ফলে জট দেখা দিয়েছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগটি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে যাত্রা শুরু করলেও দীর্ঘ আট বছরে একটি ব্যাচও গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বের হতে পারেনি। এজন্য বিভাগের স্থায়ী ভবন না থাকাটাকে কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে স্থায়ী কোনো শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়াকে দোষারোপ করছেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মশালা স্থগিত 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা মদের আস্তানার সন্ধান

চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলেন ঢাকার অর্থঋণ আদালতের মুজাহিদুর

স্মিথের চোখের নিচে ‘কালো টেপ’, জানা গেল আসল কারণ

মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে খেঁজুরের রস আহরণের প্রস্তুতি

হুমকির পর মাঠে মিলল কৃষকের গলাকাটা মরদেহ

কেন নাতনিকে বিয়ে দিতে চান না জয়া বচ্চন?

নবজাতকের টিকা কার্ড করতে দিতে হয় টাকা

কবে শুরু হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, জানাল শ্রীলঙ্কা

খুব প্রেম করতে ইচ্ছা করছে: স্বস্তিকা দত্ত

১০

এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩

১১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর বার্তা

১২

উঠান থেকে শিয়ালে টেনে নিয়ে গেল শিশুটিকে

১৩

দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি : তারেক রহমান 

১৪

রাতের আঁধারে অর্ধশতাধিক বনজ গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

১৫

দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাবেন ডা. এ জেড এম জাহিদ 

১৬

পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না আ.লীগ নেত্রী শাহনাজের

১৭

ভয়ংকর এই যুদ্ধবিমান বিশ্বের মাত্র একটি দেশেই আছে

১৮

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে নয়াদিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত? 

১৯

স্ত্রীর জন্য নায়িকাদের সঙ্গে রোমান্স করতে ভয় পান কপিল

২০
X