আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। যাতে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে সেগুলো পূরণ হয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের উদ্যোগে এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার এটি। আজ ছিল প্রথম দিন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কথা বলেন। এ দিকে সম্মেলনের উদ্বোধনও করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল হাসান, মাভাবিপ্রবির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের গবেষণাকাজ উপস্থাপন করেন।
০৫ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ ৩ বিভাগের ২২ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২০ মার্চ ২০২৩ এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৪নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হয়েছে। অডিও রেকর্ডে ওই মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলমের মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্যের ১৩ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথোপকথন রয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের পর ধূরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া পদে মোট তিনটি নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যদিও সংসদীয় নির্বাচন তপশিলের পর কোনো নিয়োগ কার্যক্রম বা নিয়োগ পরীক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তথাপিও অসৎ উদ্দেশে তড়িঘড়ি করে অত্র মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকার উৎকোচের মাধ্যমে তিনটি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে।  ভাইরাল হওয়া অডিও কথোপকথনে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির উক্ত নিয়োগ বাণিজ্যের টাকার ভাগ হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে ৩ লাখ টাকার প্রস্তাব দেয়। তবে ওই প্রস্তাবে সদস্যরা রাজি না হওয়ায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। একপর্যায়ে বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলম মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের সাথে বাগতিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এখানে আলমকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সভাপতি আব্দুল কাদির জানিয়েছেন।  ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলম বলেন, অডিও রেকর্ডে যা আছে তা সবই সত্য। আমি বিদ্যোৎসাহী সদস্য। আমাদের স্বাক্ষর ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর সুপার ও সভাপতি মিলে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। সুপার তার আপন ভাগ্নীকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়েছে।  মাদ্রাসার সুপার উক্ত কথোপকথনে উৎকোচের টাকার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন- এগুলো আমি নেইনি, মাদ্রাসার সভাপতি নিয়েছে। উনার সাথে সমঝোতা করেন।  এ বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, এসব টাকা-পয়সা আমি নেইনি, সুপার নিয়েছে। অডিও রেকর্ডে তো সবই আছে। আমি আর কিছু বলতে চাই না।  অপরদিকে মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম বলেন, সভাপতির নির্দেশক্রমে সবকিছু হইছে। এসব লেখালেখি করে কি অইবো? যা হবার তো হইছেই।  নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।  এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, অডিও রেকর্ডটি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখব।   
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X