নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৪নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হয়েছে। অডিও রেকর্ডে ওই মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলমের মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্যের ১৩ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথোপকথন রয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের পর ধূরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া পদে মোট তিনটি নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যদিও সংসদীয় নির্বাচন তপশিলের পর কোনো নিয়োগ কার্যক্রম বা নিয়োগ পরীক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তথাপিও অসৎ উদ্দেশে তড়িঘড়ি করে অত্র মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকার উৎকোচের মাধ্যমে তিনটি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে।

ভাইরাল হওয়া অডিও কথোপকথনে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির উক্ত নিয়োগ বাণিজ্যের টাকার ভাগ হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে ৩ লাখ টাকার প্রস্তাব দেয়। তবে ওই প্রস্তাবে সদস্যরা রাজি না হওয়ায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। একপর্যায়ে বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলম মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের সাথে বাগতিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এখানে আলমকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সভাপতি আব্দুল কাদির জানিয়েছেন।

ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলম বলেন, অডিও রেকর্ডে যা আছে তা সবই সত্য। আমি বিদ্যোৎসাহী সদস্য। আমাদের স্বাক্ষর ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর সুপার ও সভাপতি মিলে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। সুপার তার আপন ভাগ্নীকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়েছে।

মাদ্রাসার সুপার উক্ত কথোপকথনে উৎকোচের টাকার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন- এগুলো আমি নেইনি, মাদ্রাসার সভাপতি নিয়েছে। উনার সাথে সমঝোতা করেন।

এ বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, এসব টাকা-পয়সা আমি নেইনি, সুপার নিয়েছে। অডিও রেকর্ডে তো সবই আছে। আমি আর কিছু বলতে চাই না।

অপরদিকে মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম বলেন, সভাপতির নির্দেশক্রমে সবকিছু হইছে। এসব লেখালেখি করে কি অইবো? যা হবার তো হইছেই।

নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, অডিও রেকর্ডটি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

যে কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টারে ছিলেন না মেসি

১০

এইচএসসি পাসেই প্রাণ গ্রুপে চাকরি, পদ ৫০

১১

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সেনাবহর

১২

কৃষককে কুপিয়ে জখম, আটক ২

১৩

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১৪

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বিশেষ সেবা চালু

১৫

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মরদেহ মিলল প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে

১৬

সুয়ারেজের দুই পেনাল্টিতে মেসিবিহীন মায়ামির রোমাঞ্চকর জয়

১৭

গাজায় নতুন ধাপে ‘গণহত্যা’ শুরু করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী

১৮

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  / ওষুধ-চিকিৎসকের সংকটে ভোগান্তিতে রোগীরা

১৯

পাকিস্তানের হুমকির পর ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত

২০
X