অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ শিক্ষার্থী চায় সরকার : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, এসডিজি অনুসারে মাধ্যমিক পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তো আছেই, পরীক্ষার নামে কোচিং, প্রাইভেট, টিউশন, গাইড বইয়ের চাপের কারণে যে শিক্ষার্থীরা বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে, তার ওপর অতিরিক্ত বেতন-ভাতার চ্যালেঞ্জ আমাদের নিরসন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাথমিক একটি বৈঠক হয়েছে। দুই মন্ত্রণালয়ের ৩টি বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা দেখছি শিক্ষার্থী সংখ্যা যত ওপরে ওঠে তত কমতে থাকে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বেতনকে। শহরাঞ্চলে অনেক প্রতিষ্ঠান ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে অনেক বেশি বেতন নেয়। এটাকে কত কমিয়ে আনা যায় সেটিই চেষ্টা করা হচ্ছে। বিনা বেতনে একই ধাপে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি করা যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কর্মসূচি হলো প্রাথমিককে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করা। আমরা তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই পর্যায়ে যেসব প্রতিষ্ঠান মাত্রাতিরিক্ত বেতন নিচ্ছে, সেগুলো নামমাত্র বা কম আরও নেওয়ার জন্য জরিপ করে সেটি আমরা কমাব। যাতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের ধাপ উত্তীর্ণ হওয়া শতভাগ শিক্ষার্থী পাই। এটি আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। তিনি বলেন, এর প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কর্মসূচির মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এটি অন্তর্ভুক্ত করবেন। তাদের ৬৫ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমপক্ষে ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নেওয়া যায়, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানের চাপও কমবে। সরকারের সরাসরি অর্থায়নে পরিচালিত হলে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী সেখানে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কমে আসবে। এর মাধ্যমে মানসম্পন্ন নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা আমরা দিতে পারব। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকার সরাসরি পরিচালনা করছে না, এমপিও দিয়ে সহযোগিতা করছে। স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ণ করব। যদি এমপিও সরকারের থেকে পেয়ে থাকে, সেখানে শিক্ষার্থীদের থেকে অতি মাত্রায় ফি কেন নেওয়া হয়, তার যুক্তিগুলো কী আমরা সেটি অবশ্যই দেখব। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে সেটি যথেষ্ট নয় বলে সেটি কিভাবে কমানো যায়। যেখানে যুক্তিযুক্ত নয়, সেখানে কিভাবে অবৈতনিক করা যায় সেটি আমরা দেখব। কারণ একই প্রতিষ্ঠান তো দুই জায়গা থেকে আয় করতে পারে না।  সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যারা প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে তারা ১০ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ পায়। তাই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব হবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা পিরিয়ডলিকালি রুটিন প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। সবার বিএড নেই। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যাদের আছে, এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে এখন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা বিশেষ প্রশিক্ষণ কিন্তু দিচ্ছি না। সেটা যদি চলতে পারে, আমাদের তো যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষক আছে। অবকাঠামোও তারা পরিকল্পনার মধ্যে নিচ্ছেন। কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো যাতে বাড়ানো যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানেই সেটি সম্ভব। একশর বেশি প্রতিষ্ঠানে এখনই সম্ভব- আমাদের এমনটিই বলা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, শহরাঞ্চলে যেসব মডেল প্রাথমিক করা হয়েছে, সেগুলোতে শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ। অর্থ্যাৎ চাহিদা আছে। সরকারের দেওয়া শিক্ষার মানের প্রতি আস্থা আছে। প্রাথমিকে শতভাগ এনরোলমেন্ট নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের ফলেই সম্ভব হয়েছে। নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষার্থী যদি আমরা পাই সেটি হবে আরেকটি অর্জন। মাধ্যমিকে শতভাগ করতে পারলে এসডিজির লক্ষ্য মাধ্যমিক পর্যন্ত শতভাগ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়া অনুযায়ী এগোচ্ছি। পিইডিপি-৫ প্রকল্পে যাতে সেটি সংযুক্ত হয়। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখান স্বল্প খরচে শিক্ষার্থীরা পড়ছে। তবে আমরা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষভাবে দেখতে চাই সেখানে এমপিও নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ফি নেওয়া হচ্ছে কি না। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে কিনা। নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবার নতুন করে ফি না দেওয়া লাগে সেটি যদি সুনির্দিষ্টভাবে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিকভাবে পরিচালনা করার সুযোগ থাকবে।
১৬ মে, ২০২৪

চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই : শিক্ষামন্ত্রী
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে সুপারিশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করায় সেই সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এ বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটি তিনি বলে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেই সুপারিশপত্রকে পুঁজি করে একটি পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে। মন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটি নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৪

প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার জন্য স্নাতকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।  শনিবার (১১ মে) রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সেন্টারে সিটি ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় না কাটিয়ে, গেমিং না করে, গেইমের উদ্ভাবক হতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব কর্ম জগতে এখন একাডেমিক সার্টিফিকেটের চেয়ে অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সমগ্র পৃথিবীতে এখন এপ্রেন্টিশিপ, আর্টিকেলশিপ ও ওয়ার্ক এক্সপেরিন্স এই বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রায়োগিক দক্ষতা তৈরি হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হওয়ার জন্য অসাম্প্রদায়িকতা ও নারী পুরুষ সমতা প্রভৃতি মূল্যবোধগু নিজেদের মাঝে প্রতিপালনেরও আহ্বান জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যায় এখন ব্যাপক তারতম্য নেই। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়কেই গবেষণার সুযোগ দিতে হবে। জ্ঞান সৃষ্টিতে গবেষণা খুবই জরুরি। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচিত যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে তাদের গবেষণার সুযোগ দেওয়া। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, ইউজিসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর লুৎফুর রহমান। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। শ্রম ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মসংস্থান সরকারের প্রধানতম ম্যানিফেস্টো। আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত থেকে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 
১১ মে, ২০২৪

শিক্ষকের মর্যাদা-বেতন বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শনিবার (৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পোস্টে শিক্ষক ও অভিভাবকরা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই করেছেন। আসাদুজ্জামান আসাদ নামে এক শিক্ষক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, দয়া করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়ে একটু কাজ করুন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পরিবার খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমজাদ হোসেন ভুইয়া নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাবাদী অতি দ্রুত বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানাচ্ছি। শরিফুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, শিক্ষকদের নিয়ে আগে ভাবতে হবে, তবেই শিক্ষার মান আপনা আপনি ভালোর দিকে চলে যাবে, শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার কমবে। বিজয় রহমান নামে এক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, পঞ্চম শ্রেণির পরে কেউ ঝরে পড়ে না, ঝরে পড়ে স্কুল থেকে কলেজে ওঠার সময়। আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়। মো. মুশফিকুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষকদের মর্যাদা এবং বেতনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় এবং মন্ত্রণালয় কাজ করছেন। আশা করা যায়, এ কাজ অনন্ত কালব্যাপী চলতে থাকবে। মো. মশিউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আর কত গবেষণা করতে হবে মন্ত্রণালয়কে?
০৪ মে, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথায় কখন বন্ধ থাকবে জানালেন মন্ত্রী
তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, যে জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে যাবে সে জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই।   তিনি বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে, পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।  এর আগে তাপদাহের মধ্যেই রোববার বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলেছে। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানা হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো : শিক্ষামন্ত্রী
শান্তিতে নোবেল পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার ইউনেস্কো দেয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। একই সঙ্গে ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত না থাকলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।  বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে  তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কো পুরস্কার সম্পর্কে যে তথ্য প্রচার করছে তা প্রতারণামূলক। এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে এর আগে জানা যায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
২৭ মার্চ, ২০২৪

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি সফট স্কিলে দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ শিক্ষামন্ত্রীর
উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলে দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা-যোগ্যতা না থাকলে শুধু গ্র্যাজুয়েশন দিয়ে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে অংশ নেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেসব ভাষা বহুল প্রচলিত সেসব ভাষায় শিক্ষার্থীরা যাতে দক্ষ হয়ে ওঠে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রচলিত এসব ভাষায় শিক্ষার্থীরা দক্ষ না হলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে পিছিয়ে যাওয়া হবে স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ভাষা ছাড়াও অনেক সফট স্কিল রয়েছে। এসব স্কিলের দিক থেকেও যদি পিছিয়ে থাকি তাহলে শুধু গ্র্যাজুয়েট হয়ে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭ম সমাবর্তনে ৩ হাজার ৯৫৪ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য আরও চারজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্বে এখন দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মীর চাহিদা বেড়েছে। সমগ্র বিশ্বের শ্রমবাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে যদি দেখি, সেসব দেশে আরবি-ফরাসি ভাষা শিখে বিশ্ব নাগরিক হওয়ার জন্য তাদের তরুণ প্রজন্ম সারা বিশ্বে জড়িয়ে পড়েছে। আমাদেরও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এ জন্য যেভাবে দক্ষ ও যোগ্য হওয়া যায়, শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’ এ সময় মানসম্পন্ন-দক্ষ কর্মীর অভাবে বিদেশি পেশাজীবীরা এদেশে এসে শ্রমবাজার দখল করছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, পৃথিবীর নানা দেশ থেকে প্রশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ পেশাজীবীরা আমাদের দেশে এসে কাজ করছেন। আপনারা কেন বিদেশি পেশাজীবীদের এ জায়গা দখল করতে পারবেন না? যারা ইতোমধ্যেই গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত নিবেদন থাকবে—ক্যারিয়ার প্ল্যানিংটা আপনারা অবশ্যই করবেন। তিনি বলেন, যেসব খাতে বিদেশি পেশাজীবীরা কর্মরত আছেন—সে সবখাতগুলোতে আপনারা দেখবেন, এসব পেশাজীবীরা সুনির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার কারণে এদেশে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। যারা কর্মদাতা, তারা কিন্তু শুধু গ্র্যাজুয়েট বলে কাউকে চাকরি দেন না। ‘তারা দেখতে চান—তাদের যে ধরনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, সেটা প্রার্থীর আছে কিনা। চাকরিদাতাদের এখানে বক্তব্য হচ্ছে, আমাদের সন্তানদের অনেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলেও প্রয়োজনীয় দক্ষতায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আমরা অনুরোধ করব, আপনারা সেসব ঘাটতিগুলো পূরণে কাজ করবেন।’ ইউআইইউর সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভাসিটির অধ্যাপক ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা এবং ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় উপাচার্যকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘাত ও সংঘর্ষের বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপাচার্যকে ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।  ইতোপূর্বে যারা এ ধরনের সহিংসতায় জড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে কোনো দায়ী ব্যক্তি যেন নিষ্কৃতি না পায় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলেছেন মন্ত্রী। এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর এমন আহ্বানের পর রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা ডেকেছেন চবি উপাচার্য শিরীণ আখতার। বেলা ১১টার দিকে ওই সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সীমান্তের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী 
মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ বান্দরবানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারি কোভিড-১৯ এর কারণে গত ৩ বছর যথাসময়ে এবং পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছরের পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের জন্যই গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ অত্যন্ত সন্তোষজনক। সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা সফলভাবে অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এসময় তিনি অভিভাবকদের কেন্দ্রে ভিড় না করার আহ্বান জানান। মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিমার্জন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মরণশক্তির মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আমরা শিক্ষার্থীর প্রায়োগিক দক্ষতা যাচাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছি। মূল্যায়ন পদ্ধতি যাতে অভিভাবকদের কাছে সহজে বোধগম্য হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে। সে লক্ষ্যে ফলাফলটা সংখ্যা বা শতাংশের ভিত্তিতে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছেন। নতুন কারিকুলামে চলতি বছরের প্রথম থেকেই মূল্যায়ন চালু রয়েছে। প্রথম তিন মাসের মূল্যায়ন যাচাই করে আগামী মার্চে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মূল্যায়ন পদ্ধতি ও শিক্ষাক্রমসংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও নতুন শিক্ষাক্রমসংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়নসংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনসিটিবির প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বোর্ডসমূহের প্রতিনিধিরা এ কমিটির সদস্য হবেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X