মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ বান্দরবানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারি কোভিড-১৯ এর কারণে গত ৩ বছর যথাসময়ে এবং পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছরের পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের জন্যই গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ অত্যন্ত সন্তোষজনক। সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা সফলভাবে অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এসময় তিনি অভিভাবকদের কেন্দ্রে ভিড় না করার আহ্বান জানান।
মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিমার্জন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মরণশক্তির মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আমরা শিক্ষার্থীর প্রায়োগিক দক্ষতা যাচাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছি। মূল্যায়ন পদ্ধতি যাতে অভিভাবকদের কাছে সহজে বোধগম্য হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে। সে লক্ষ্যে ফলাফলটা সংখ্যা বা শতাংশের ভিত্তিতে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছেন। নতুন কারিকুলামে চলতি বছরের প্রথম থেকেই মূল্যায়ন চালু রয়েছে। প্রথম তিন মাসের মূল্যায়ন যাচাই করে আগামী মার্চে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
মন্তব্য করুন