Sat, 18 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কালের সাক্ষী ‘অভিশপ্ত নীলকুঠি’
৪৮ মিনিট আগে
বাঁশ-দড়ি বেয়ে মসজিদে যান ১১৫ বছর বয়সী অন্ধ মোয়াজ্জিন
১ ঘণ্টা আগে
রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার
১ ঘণ্টা আগে
১৮ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি
২ ঘণ্টা আগে
হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধীর নামে থাকা স্কুলের নাম বহাল
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মিছিলে গিয়ে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের মিছিলে গিয়ে তীব্র গরমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মন্টু খান নামে এক ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, মন্টু খান সদর উপজেলার তুলাশার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি ছিলেন। মিছিল শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি অসুস্থবোধ করলে, হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পরিবারের স্বজন ও সহকর্মী রাজনৈতিক কর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শেহেরিয়ার ইয়াসিন কালবেলাকে এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মন্টু খান সদর উপজেলার তুলাশার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকার কুটি মিয়া খানের ছেলে। যারা তাকে হাসপাতালে এনেছিলেন, তাদের কাছে জানতে পেরেছি তিনি নাকি আজকে মিছিলে গিয়েছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ বোধ করলে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। মন্টু খানকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন তার দেহে রক্তের কোনো পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি তার হৃদযন্ত্র কাজ করছিল না। মূলত তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে আমরা তার ইসিজি করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তিনি সম্ভবত হৃদযন্ত্র ক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ জেলা শহরে শোভাযাত্রার আয়োজন করে। স্থানীয় সংসদ সদস্য (শরীয়তপুর -১ আসন) ইকবাল হোসেন অপু ওই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা শহরের শহীদ মিনারের সামনে জরো হন। তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের নেতৃত্বে আড়িগাঁও বাজার থেকে একটি মিছিল জেলা শহরে আসে। ওই মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে আসেন মন্টু খান। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে আড়িগাঁও বাজার থেকে মিছিলটি শুরু করা হয়। ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে মিছিলটি শহরের শহীদ মিনার চত্বরে পৌঁছায়। এরপর সাড়ে ৫টার দিকে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে মিছিলটি পুনরায় শহীদ মিনার চত্বর হতে চৌরঙ্গি মোড়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে যায়। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাড়ে ৬টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিক লীগ নেতা মন্টু খান। খবর পেয়ে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও ঘোড়া মার্কা প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সদর হাসপাতালে ছুটে যান। পরে তারা মন্টু খানের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল সরদার বলেন, আমরা তুলাসার ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে মিছিল নিয়ে বের হয়েছিলাম। মিছিলে যাওয়ার পরে অনেক গরমে মন্টু ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে একটি দোকানে নিয়ে পানি খাওয়াই। এর একটু পরেই সে মাটিতে পড়ে যায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন তিনি মারা গেছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার তুলাশার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, জাহিদ ফকির কালবেলাকে বলেন, আজকে আমি আমার কর্মীকে হারায়নি আমার ভাইকে হারিয়েছি। এই গরমের মধ্যে মিছিল করলে কোনো কর্মী মারা যাবে তা ভাবতে পারিনি। মন্টু আমার রক্তের কেউ না হলেও তার সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক ছিল। আমার বিপদ আপদে সব সময় ঝাঁপিয়ে পড়ত। তাকেই আমি নিজের হাতে তুলাশার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি বানিয়েছিলাম। আজকে সব শেষ। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আমরা প্রতিবছরই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। এ বছরও শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করেছি। ওই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মন্টু মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, মন্টু আড়িগাও বাজারের চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। শুনেছি তার স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান রয়েছে। ওই দোকানের আয় দিয়েই তিন সন্তানের পড়ালেখা ও ভরনপোষণ চলত। মন্টু আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল। আমরা জেলা আওয়ামী লীগ মন্টুর পরিবারের পাশে থাকব।
৭ ঘণ্টা আগে
গাব গাছে ঝুলছিল শ্রমিক লীগ নেতার মরদেহ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গাব গাছে ঝুলছিল নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস (৫৪) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতার মরদেহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের একটি গাব গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। নরেশ বিশ্বাস বালিয়াকান্দি উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বালিয়াকান্দি কলেজ এলাকায় নিজ দোকানে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নিরুপম বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনের মতো ভোর ৫টার দিকে আমার বাবা হাঁটতে বের হন। সকাল পৌনে ৬টার দিকে আমার মা ডলি রানী বিশ্বাস বাড়ি থেকে পাকা রাস্তার দিকে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী নিহার রঞ্চনের জমির ওপর গাব গাছের ডালের সঙ্গে পুরাতন শাড়ির কিছু অংশ দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত আমার বাবাকে দেখতে পান। মায়ের চিৎকার শুনে আমিসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবার লাশ উদ্ধার করি। তিনি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ি যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে প্রতিবেশীরা রাস্তার জন্য জমি দিতে রাজি হচ্ছিল না। বাবা এ বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিলেন। আমাদের ধারণা, রাস্তা করতে না পারার কষ্টে বাবা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বালিয়াকান্দি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাড়ির পাশের একটি দাগে নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ ৪-৫ জন প্রতিবেশীর জমি রয়েছে। তবে জমিটি বণ্টননামা করা নেই। ওই জমির ওপর দিয়ে নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ি যাতায়াতের হাঁটার রাস্তা ছিল। তিনি হাঁটার রাস্তায় মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। গতকাল তিনি ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে অন্য জমির মালিকরা বাধা দেন। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। নিজের স্ত্রীর কাছেও তিনি রাস্তা না করতে পারার হতাশার কথা ব্যক্ত করেন। অবশেষে হতাশা থেকে ভোরে বাড়ির পাশে গাব গাছের সঙ্গে ঝুলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বলেন, নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নিরুপম বিশ্বাস বালিয়াকান্দি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
হত্যা নয়, দুর্ঘটনায় মৃত্যু শ্রমিক লীগ নেতার
ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক অপু ইসলাম। ৯ মাস আগে সাততলা ভবন থেকে তাকে ফেলে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অপুকে হত্যা নয় বরং দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ জুন অপুর বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক গোলাম পারভেজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে ছয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। আসামিরা হলেন সাঁতারকুল স্কুলের শিক্ষক সাদাৎ হোসেন ওরফে শাহাদাত হোসেন ব্যাপারী, মোর্শেদ হোসেন পাটোয়ারী, হামিদুল ইসলাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সনেট সরকার, মেহেদী হাসান ও শাহজাহান কবির। মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ মামলার ঘটনায় ভিকটিম অপু দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ঘটনার সময় তার পরিবার বা অভিভাবক কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ঘটনার পর রাগ ও ক্ষোভে বিস্তারিত না জেনে মামলা করেন। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নাঈমের জবানবন্দি ও সার্বিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা বাড্ডা থানাধীন সাঁতারকুলের শান্তিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন। স্থায়ী বাসিন্দা অপু ইসলাম ছিলেন তাদের প্রতিবেশী। ঘটনার দিন ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাঁতারকুলের সমিতি বিল্ডিয়ের সামনে দিয়ে অপু ইসলাম, আসামি সনেট, মেহেদী ও শাহজাহান হেঁটে যাচ্ছিলেন। অতিক্রম করলে আসামিদের পায়ের ছিটায় রাস্তায় থাকা ময়লা পানি অপুর গায়ে লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত পৌনে ৯টার দিকে অপু ও তার প্রতিবেশী নাঈম প্রতিশোধ নিতে আসামিদের ভবনের সপ্তম তলায় যান। তখন সনেট, মেহেদী ও শাহজাহান ভয়ে তাদের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। অপু উত্তেজিত হয়ে দরজা খোলার উদ্দেশ্যে বারবার দরজায় স্বজোরে লাথি মারতে থাকেন। ও সময় অপু অধিক শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাটের সামনের ফাঁকা অংশে পেছনে গিয়ে দৌড়ে এসে দরজায় লাথি মারছিল। এক পর্যায়ে অপু দরজায় লাথি মারতে আবার পেছনে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভবনের সপ্তম তলার লিফট স্থাপনের ফাঁকা অংশ থেকে নিচে পড়ে গেলে অপুর মৃত্যু হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক গোলাম পারভেজ এড়িয়ে যান। আদালতের বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল বাদীকে উপস্থিত হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাদী খোরশেদ আলম কালবেলাকে বলেন, আমার ভাইকে মারধর করে সাততলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করা হয়। পুলিশের তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
২৩ মার্চ, ২০২৪
শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় ইমরান হোসেন নামের এক শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নলছিটি পৌরসভার নান্দিকাঠি এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইমরান হোসেন (৩২) নলছিটি পৌর এলাকার খাজুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদারের পুত্র। এ ছাড়াও সে শ্রমিক লীগের নলছিটি উপজেলা শাখার কর্মী এবং নলছিটির ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ইমরানকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের বড় ভাই রাসেল হাওলাদার বলেন, ইমরানের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার ইদ্রিস হাওলাদার ও তার ছেলে আল আমিনের বিরোধ ছিল। আল আমিনসহ ৬-৭ জন শনিবার রাতে রামদা নিয়ে তাকে (ইমরানকে) ধাওয়া করে কুপিয়েছে। ইমরান মৃত্যুর আগে শুধু এতটুকুই বলেছে, ‘আলামিন আমারে কোপাইছে’। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল সমিতির সভাপতি ও শ্রমিক লীগ কর্মী ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ইমরান হাওলাদার নলছিটি পৌর এলাকার খাজুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই শহীদুল ইসলাম ইমরানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাত ৮টার দিকে নলছিটি পৌরসভার নান্দিকাঠি এলাকায় দুর্বৃত্তরা ইমরানকে এলোপাথারি কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা ইমরানকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমরানের বড় ভাই রাসেল হাওলাদার জানান, ‘আমার চাচতো ভাই আলামিন হাওলাদারসহ ৬-৭ জন রামদা নিয়ে ওরে ধাওয়া করেছে। আমার ভাইরে এমন কোপান কোপাইছে হাসপাতাল পর্যন্ত আনতে পারিনি। ও (ইমরান) শুধু এতটুকু বলেছে আলামিন আমারে কোপাইছে।’ নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুরাদ আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এখন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বাড়িতে নারী এনে দেহ ব্যবসা করাতেন শ্রমিক লীগ নেতা
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড়িতে নারী এনে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তাকেসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার শ্রমিক লীগ নেতার নাম মনির আহম্মদ মহিন। তিনি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক এবং চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যরা হলেন- চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. জামাল, চাঁদপুর সদর উপজেলার গুণরাজদী গ্রামের সোনিয়া মানহা, মাগুরা জেলার শালিখা থানার পাচকাহুনিয়া গ্রামের সাথী খাতুন ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ওয়াবদাকুল এলাকার বৃষ্টি। পুলিশ জানায়, মনির তার বাড়িতে নারী রেখে দেহ ব্যবসা (পতিতাবৃত্তি) করিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কবির মৃধা ফোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় মনিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ছাড়া অন্য আসামিদের তার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকালে এসআই সুমন বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, অসামাজিক কার্যকলাপ করে তারা মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২-এর ১১/১২(১)/১৩ ধারার অপরাধ করেছেন। ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন জানান, মনির দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে নারী এনে পতিতার ব্যবসা করে আসছেন। এলাকার যুবসমাজকে তিনি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানার উপ-পরিদর্শক কেশব চন্দ্র চৌধুরী বলেন, তারা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এ ব্যাপারে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
ধর্ষণ মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অন্তঃসত্ত্বাকে (২০) ধর্ষণের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকাটিয়া কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস আগে পার্শ্ববর্তী চর সেকান্দর গ্রামের এক রিকশাচালকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। এখন তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে ২০ জানুয়ারি দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চর সেকান্দর গ্রামের মৌলভীবাজারের সামনে সুফিরহাট-বাংলাবাজার পাকা রাস্তায় পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পেছনের কক্ষে জোরপূর্বক তাকে (গৃহবধূ) নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত শাহাদাত বাইরে পাহাররত ছিল। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের ও শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাহাদাত একই চরসেকান্দর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পরপরই আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করা হয়। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাদাত নামে আরেক যুবক ওই নেতাকে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে ওই গৃহবধূ। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানিয়েছেন, উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামের এ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বলেন, ২০ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে শাহাদাত আমার মেয়ের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে মেয়ের সর্বনাশ করে। এ সময় শাহাদাত পাহারারত অবস্থায় ছিল। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। তার মেয়ের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে বলেও জানান তিনি। অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। শাহাদাত একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে। ওই গৃহবধুর মা আরও বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা জানান, উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে শাহাদাত আমার মেয়ের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় শাহাদাত পাহাররত অবস্থায় ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত না। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
নোয়াখালীতে ট্রাক্টরচাপায় শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হ্যান্ড ট্রাক্টর (ট্রলি) চাপায় আহত এক শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবু সায়েম মো. শাহাদাত ওরফে টিটু সুলতান (৪২) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সফি উল্যার ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের বড় ভাই মো. টিপু সুলতান জানান, তাদের নিজস্ব হ্যান্ড ট্রাক্টর (ট্রলি) রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সে ওই ট্রাক্টর চালাতে গেলে উল্টে গিয়ে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়। এতে সে পেটে গুরুত্বর আঘাত পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সে ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. মোজাফর আলী বলেন, নিহতের পরিবার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেননি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
আরও
X