পোল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদপুনর্মিলনী
পোল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ওয়ারশোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্যালেস অব কালচারের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পোল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়। বাল্টিক সাগরের পূর্ব পাড়ে অবস্থিত পোল্যান্ড উত্তর ইউরোপের একটি দেশ। এখানে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান এই পরিধির মাঝে বড় হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি নতুন প্রজন্ম। কিন্তু দেশীয় বিনোদনের সে রকম কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে বেড়ে উঠা প্রবাসী বাংলাদেশি নতুন প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে। এবারের ঈদ উপলক্ষে নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদপুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পোল্যান্ডে বেড়ে উঠা নতুন এই প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশীয় বিনোদনের স্বাদ দিতেই মূলত আয়োজন করা হয়েছিল। দেশীয় বিনোদনের স্বাদ নিতে পোল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে রাজধানী ওয়াশোর এই অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন ৫ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। আয়োজনের মধ্যে- বাচ্চাদের বল নিক্ষেপ এবং মহিলাদের বালিশ খেলা ছিল অন্যতম।  এছাড়া পোল্যান্ডের স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পী লিপি মজুমদার, আদ্রিজা, আমান্দা কাজীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা হলভর্তি সবাইকে দিয়েছিল দেশীয় বিনোদনের বাড়তি উন্মাদনা। শিল্পীদের সঙ্গে নেচে গেয়ে দর্শকরাও মাতিয়ে রেখেছিলেন হলভর্তি সবাইকে। পাশাপাশি স্থানীয় পোলিশ এভা ও কালিনার নৃত্যও মন কেড়েছে উপস্থিত সবার। অনুষ্ঠানে তাদের বাংলা ভাষায় কথা বলা প্রমাণ করেছে বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আপ্যায়নে ছিল সম্পূর্ণ বাঙ্গালিয়ানা। ছিল মুখরোচক দেশীয় খাবারের সমাহার। সম্পূর্ণ দেশীয় সংস্কৃতির এই ধরনের আয়োজনে খুশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা। পাশাপাশি আয়োজক কর্তৃপক্ষ মনে করেন তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে সফল এবং ভবিষ্যতেও তারা এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবে। মাসুদুর রহমান তুহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- অনারারি কনস্যুলার ইঞ্জিনিয়ার ড. ওমর ফারুক, ড. খলিলুল কাইয়ুম, কাজী সাইফুদ্দীন, শওকত হোসেন, ড. মুসাব্বির মুসা, মনসুর আহমেদ, শাহিন মন্ডল, মাহবুব রহমান, শেখ এরশাদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিদ্দিকুর রহমান, শরীফ আহমেদ, স্বপন আহমেদ, হামিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মৃনাল, হাসান ইকবাল, কাউসার আহমেদ, জাহিদ মুরাদ, ড. আরিফুর রহমান, শাফায়েত সোহেল, মো. হিমন, মহিউদ্দিন, আবিদ পারভেজ, রানা হক, মতিউর রহমান, জিয়াউল হক, মোক্তার হোসেন, আল-জাবির, রিয়াজুল ইসলাম, ওমরাহ ফারুক, শাওন আহমেদসহ আরও অনেকে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দেলোয়ার হোসেন অপু।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ণমালা উন্নয়ন সংসদের বইমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বর্ণমালা উন্নয়ন সংসদ নামের সংগঠন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে থানার তারানগর ইউনিয়নের সিরাজনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় বইমেলার। সেখানে স্টল দেয় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাইব্রেরি ও বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য দুটি স্থানীয় হাসপাতালের প্যাভিলিয়নও ছিল। দুপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। দুর্নীতি প্রতিরোধে নাগরিক কমিটির কেরানীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি বেদৌরা আলী শিমুল জানান, এ আয়োজনের মাধ্যমে বর্ণমালা উন্নয়ন সংসদ আমাদের সংস্কৃতিকে তৃণমূলে পৌঁছে দিতে অবদান রাখছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, এটি সিরাজনগর এলাকার শিক্ষিত তরুণদের সংগঠন। যারা প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। তাদের পাঠাভ্যাস বাড়াতে গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি। তারানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ফারুক বলেন, সংগঠনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদমুক্ত তারানগর গঠনে বর্ণমালা উন্নয়ন সংসদ অবদান রেখে চলছে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজয় দিবস উপলক্ষে একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘আমার দেশ সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  সংগঠনের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হকের সঞ্চালনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। ১৩ ডিসেম্বর বুধবার এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এ সময় সংগীত, আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন করেন বিভিন্ন সংগঠন। সভায় বক্তারা বলেন, নিরীহ লাখো বাঙালির ওপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শিক্ষা দিয়েছে সম্প্রীতির। সম্প্রীতির মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে  শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি হয় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।  এ সময় শিশু বক্তা পুষ্পিতা ব্যাপারী ও মাহাদিয়া রহমান মারিশা, লিয়াকত আলী লাকীর সুরে মাসুদ সালাউদ্দীনরে কথায় আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী গানের নৃত্য নির্মিতা মেহরাজ হক তুষার ও সহযোগী নৃত্য পরিচালনা এস কে জাহির পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদল, প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল। একক সংগীত ওয়াদুদুর রহমান রাহুল (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন)। উপস্থাপনা করে তাহফীম যুনাইরা আনশী, তামীম আহমেদ বৃন্ত।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাজ্যে জুয়াকের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (জুয়াক) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুয়াকের আয়োজনে লন্ডনের স্থানীয় একটি হলরুম পরিণত হয়েছিল মিনি জাহাঙ্গীরনগরে। জুয়াকের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  জুয়াকের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব পারভেজ মল্লিক ও মাহবুবা জেবিন। অনুষ্ঠানের প্রথমেই সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আলীম আল রাজীসহ নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি আব্দুর রহমান মিঠু। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. সাবের শাহ, ইজলাল সিদ্দিকি সোহেল, সৈয়দ শাহিন আহমেদ,জহিরুল ইসলাম, রানা ইসলাম, আহসান উল্লাহ্‌, রাকিব উদ্দিন শাহিন, মো. নজরুল ইসলাম, সিনা আকন্দ, নাসিমা সুলতানা চৌধুরী, ওয়াকারুল আমিন রনি, হাবিবে আলম, সিকান্দার আলী সিকো, নুর হাসান মামুন টুটুল, আশরাফুল আলম, মতিউর রহমান মতিন, আনিসুর রহমান, মুকিত শামস জয়। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন চৌধুরী নিয়াজ মাহমুদ, সাইদউদ্দিন আহমেদ, জুলফিকার আলি ভুট্টো, ফারহানা ইয়াসমিন চমন, মোরশেদ ঠাকুর, সৈয়দ ইফতিখার ইফতি, আনিকা হক, ফারহানা করিম একা, নিলিমা আহমেদ, মুশফিকুর রহমান ভূঁইয়া জেম, মো. সায়েম, বুলবুল আহমেদ, মুনতাসির আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, মাহমুদা রাজ্জাক, শফিকুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রায়হানুর রহমান, মুফাক্কারুল রহমান সৈকত, হুমাইরা সুলতানা মৌরী, ওমর ফারুক জাবেদ, মাহমুদুল হাসান অয়ন, জান্নাতুননেসা চয়ন, সিরাজুস সালেহিন জামিল। ডিনারের পর  মাহবুবা জেবিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে মহসিন। এরপর সম্মলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। শিশুশিল্পী আরওয়া রশিদের দেশের গান আবেগাপ্লুত করে সবাইকে। এরপর মঞ্চে আসেন সংগীত শিল্পী তামান্না প্রমি। তার গানের সঙ্গে এনি জামান, রুমানা তুলি, জাকিয়া তাসনিম, চমন জামান, একা, তাহমিনা পণ্ডিতের দলীয় নৃত্য ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। পরে ভবিষ্যতে আরও সুন্দর আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জুয়াকের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল ​মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ দুপুর ২টায় শুরু হবে। তার আগে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা নিয়ে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। লোকসংগীতশিল্পী প্রীতি সরকারের জয় বাংলা গান দিয়ে শুরু করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মীর্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস / গাইবান্ধায় সাঁওতালদের সমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন উপলক্ষে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সাঁওতালদের প্রতিবাদী সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদী গান ও নৃত্য পরিবেশনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার (১৩ আগস্ট) গাইবান্ধায় সাঁওতালরা এ কর্মসূচি পালন করে।  দিবসটি উপলক্ষে প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আদিবাসী তরুণরাই মূল শক্তি’।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাঁওতাল নারী-পুরুষরা তাদের অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাঁওতাল নারী-পুরুষরা প্রতিবাদী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ ও নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ, গাইবান্ধার যৌথ উদ্যোগ এ কর্মসূচির পালন করা হয়।  সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশে সাঁওতালসহ আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানবাধিকার এবং জীবনমানের সার্বিক দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত। সে কারণেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর থেকে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত সমতলের আদিবাসীরা বিলুপ্ত হওয়ার পথ। ‘শুধু আদিবাসীই বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাদের সংস্কৃতি, ভাষাও বিলুপ্ত হচ্ছে’। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগাষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন, তাদের হাতে ভূমি নেই।  তারা আরও বলেন, আদিবাসীরা জাতীয়তাবাদী ঘৃণার শিকার। ১৯৭১ সালের আগে আমরা যেমন পাকিস্তানিদের ঘৃণার শিকার হয়েছি, তেমনি আজও আমরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ও সরকারের ঘৃণার শিকার হচ্ছি। উনয়ন প্রকল্পের নাম ক্রমাগত সাঁওতালসহ আদিবাসীদর উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সাঁওতালরা তাদের অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযাগের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এমন একটি বীভৎস, অমানবিক ঘটনার আজও বিচার কাজ শুরু হয়নি। সাঁওতাল হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছন। তাদেরও কেউ গ্রেপ্তার করে না। এ নিয়ে সাঁওতালদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা সরকারের প্রতি সাঁওতাল হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার কর বিচার এবং জমি ফেরতের পাশাপাশি বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। শুধু তাই নয়, সাঁওতালদের রক্তভেজা জমিতে ইপিজেড করতে দেওয়া হবে না। আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠনেরও দাবি জানানো হয়।   সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক ভূমি অধিকার কর্মী শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাজহার-উল মান্নান, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেদ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মনীদ্রনাথ, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, জনউদ্যোগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হরেদ্র নাথ সিং, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, তৃষ্ণা মুরমু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী নেতা সুফল হমব্রম, থমাস হমব্রম, নিরঞ্জন পাহান, মানবাধিকার কর্মী গোলাম রবানী মুসা, কাজী আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, ভূমি উদ্ধার কমিটির নেতা ময়নুল ইসলাম, আগস্টিন  মিনজি, তুলিপ এক্কা, মাথিয়াস মার্ডি প্রমুখ। 
১৩ আগস্ট, ২০২৩
X