মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: সিআইডি প্রধান
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।   শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন। তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন। সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : সিআইডি প্রধান
সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলছেন, মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিআইডি সদরদপ্তরে ‘কম্ব্যাটিং ম্যাকানিজম অ্যাগেনেস্ট ডিজিটাল এক্সপ্লোয়শন ফর ফিন্যান্সিয়াল গেইন’-বিষয়ক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সিআইডি প্রধান বলেন, মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, একাডেমিয়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে সিআইডি তদন্তকারী অফিসারদের সক্ষমতা এবং পেশাদারী দক্ষতা উন্নত করতে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ সেশন ও কর্মশালার ব্যবস্থা করছে। সেখানে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে মার্কিন দূতাবাস ও এফবিআইকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। সেমিনারে ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমবিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলসিট ফিন্যান্স ট্যাকনিকেল এডভাইজর ডেরেক ওডনি এবং সাইবার ক্রাইমবিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের রবার্ট জে. ক্যামেরন। এ ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলইএএর মাইকেল হিন্টজ এবং ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আইএনটিআই ইন্ট্যারনেশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সারাফাজ আলী ও ফিলিপাইন কেপিজ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান জ্যাসন বি. ক্যাপানডান। সেমিনারে ডেরেক ওডনি তার বক্তব্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্লকচেইন এবং ব্লকচেইন ট্রান্সপারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের জন্য ডেটা স্ট্রাকচারিং এবং হ্যাশ জেনারেটর অ্যাক্সেস করাসহ বর্তমান বিশ্বে বিটকয়েনের মূল্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা দেন  রবার্ট জে. ক্যামেরন সাইবার ও মানিলন্ডারিং অপরাধ দমনে ডোমেইন টেকডাউনের গুরুত্ব এবং ডোমেইন টেকডাউনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওপেন সোর্স ফ্রি টুলস সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় মাইকেল হিন্টজ তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থপাচার ও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করবে। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জ্যাসন বি. ক্যাপানডান ফিলিপাইনের প্রেক্ষাপট থেকে অর্থপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা এবং অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। পরে প্রফেসর ড. খান সারাফাজ আলী মানিলন্ডারিং মোকাবিলায় সিআইডির সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি মানিলন্ডারিং মামলা তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সম্মুখীন হওয়া কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব করেন। সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপনকারী ও অন্য বক্তাদের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সাইবার ও মানিলন্ডারিং অপরাধ দমনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। সেমিনারে সিআইডির তদন্ত তদারকি ও তদন্তকারীসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ববিতে মাদক, সন্ত্রাস, র‍্যাগিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদক, সন্ত্রাস, র‍্যাগিং ও গুজবসহ নানাবিধ সাইবার অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধবিষয়ক একটি আলোচনা সভা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রু.দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।  এ সময় উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ক্যাম্পাসে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস ও র‍্যাগিং এর মতো অপরাধগুলো একটি ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করে। এগুলো যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির (বিপিএম-সেবা, পিপিএম)। এ সময় প্রধান আলোচক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আপনাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম-সুখ্যাতি নির্ভর করে আপনাদের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর। আপনারা এমন কোনোকিছুতে জড়াবেন না যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন  হয়। মাদক, সন্ত্রাস, র‍্যাগিং ও গুজবসহ নানাবিধ সাইবার অপরাধের মতো সামাজিক ব্যাধিগুলোর বিষয়ে আপনাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আব্দুল কাইউমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট (ভারপ্রাপ্ত) ড. হেনা রানী বিশ্বাস। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X