‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করবে সরকার’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সঙ্গত সমাধান প্রচারে তরুণদের বিশেষ করে নারীদের সম্পৃক্ত করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের শক্তিশালী এজেন্ট হিসেবে তরুণদের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু ন্যায়বিচারের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা নিতে এবং নেতাদের জবাবদিহি করতে আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে ‘জলবায়ু ন্যায়বিচারের উন্নয়ন: আদালত ও যুবকের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রয়াত প্রখ্যাত জলবায়ু বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিচারের আইনজীবী অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। তিনি বলেন, অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য এবং সবার জন্য একটি ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে তরুণদের আবেগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করা এবং সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত। একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি। তরুণ প্রজন্মকে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি তরুণদের ইনপুট শোনার পাশাপাশি ভুল এড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। লক্ষ্য হলো তাদের প্রক্রিয়ার অংশীদার করা এবং তাদের জলবায়ু কর্মের নিরীক্ষণ করা। অনুষ্ঠানে মামলার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রচারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল’ এর অধ্যাপক ড. সিজার রদ্রিগেজ-গারভিটো। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রফেসর ড. তানভীর হাসান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইসিসিএডির পরিচালক সাদিক হক এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের ছেলে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নীতিনির্ধারক এবং জলবায়ু কর্মীরা।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাঘ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাঘ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ধরনের প্রাণী সংরক্ষণে সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অঙ্গীকারের প্রতীক।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মাদানী এভিনিউয়ে আন্তর্জাতিক আরবীয় চিতাবাঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে, আমরা আমাদের প্রাকৃতিক বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি। পরিবেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি বিশ্বজনীন।  পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখা উচিত যে বিপন্ন সব প্রজাতিকে বাঁচানোর লড়াই, বিশ্ব সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন। এটি আমাদের আগ্রহের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য কাজ করার জন্য ইচ্ছার পরিমাপক। আসুন আমরা ক্যাটওয়াকের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাই মানবতা ও প্রকৃতির মধ্যে সংরক্ষণ এবং সম্প্রীতির জন্য একটি অবিচ্ছিন্ন, স্থায়ী অঙ্গীকার হিসেবে। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবের ‘ক্যাটওয়াক’ আয়োজনের উদ্যোগ জীবনের উদযাপন, কর্মের আহ্বান।  আন্তর্জাতিক আরবীয় চিতাবাঘ দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস প্রাণীটিকে রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ হাটা প্রোগ্রামের আয়োজন করে। যেখানে কূটনীতিক, মন্ত্রী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ৭০০ মিটার থেকে ৭ কিলোমিটার হেঁটে যান। পরে পরিবেশমন্ত্রী ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য টেকসই অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের অবকাঠামোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইউআইইউ সেন্টার ফর স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে আমাদের উদ্ভাবন অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নকশা এবং টেকসই অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট উপকরণ এবং প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণায় জোর দিতে হবে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী। স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে টেকসই অবকাঠামো সমাধানে গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মন্ত্রী সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এলজিডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।   অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান, প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পলিথিন ব্যবহারে ৫ বছরে ৪ হাজার ২০৭টি মামলা : সংসদে পরিবেশমন্ত্রী 
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ৫ বছরে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ২ হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২০৭টি মামলায় এ টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও জানান, ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে রাস্তা, উন্নয়ন প্রকল্প, বিদ্যুৎ লাইন বনের জমির ওপর দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে কোনো প্রকল্পে এ ধরনের বিষয় থাকলে তা প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করতে হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নরডিক দেশগুলো সহযোগিতা জোরদার করবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কসহ নরডিক দেশগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা জোরদার করবে। মন্ত্রী জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্যারিস চুক্তির অধীনে গৃহীত বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশমন্ত্রীর দপ্তরে সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত- যথাক্রমে অ্যালেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড, এস্পেন রিকটার-সভেন্ডসেন এবং ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার তার সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বনাঞ্চল হ্রাসের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বায়ু, পানি এবং মাটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানে বিশেষজ্ঞতা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। নরডিক রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের পরিবেশগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমর্থন ও সহযোগিতা জোরদারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সহযোগিতার নতুন পথ অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা আগামী মাসে নরডিক দিবসে পরিবেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতির সাথে সভাটি সমাপ্ত হয়। পরে জাতিসংঘ প্রকল্প সেবা কার্যালয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুধীর মুরালিধরনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে চলমান জাতিসংঘ প্রকল্প এবং তারা কীভাবে মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন।   
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট সাবের হোসেন চৌধুরী
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের যে কোনো সংকট ও সমস্যা সমাধানে সব সময়ই সচেষ্ট থাকেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক এই নেতা ঢাকা-৯ আসনের সব ধর্ম, শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তিনি। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা কালবেলাকে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের যে কোনো সংকটে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর পাশে থাকেন। তাদের সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। যে কোনো বিষয়ে তার শরণাপন্ন হলে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি কালবেলায় প্রকাশিত ‘ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখল: মেরাদিয়া হিন্দুপাড়ার শ্মশান হাউজিং প্রকল্পে বিলীন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের একটি অংশে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। হিন্দুপাড়া শ্মশানের সমস্যা নিয়ে কেউ কখনো সাবের হোসেন চৌধুরীর শরণাপন্ন হননি বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে। ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকের বৈঠকটি আমাদের অংশীদারত্বকে সুদৃঢ় করতে এবং সহযোগিতার জন্য নতুন উপায় অন্বেষণে একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সচিবালয়ের পরিবেশমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। পিটার হাস বলেন, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ অন্যান্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে। আমরা বাংলাদেশের জলবায়ু লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করার জন্য আমাদের অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের উভয় দেশের জন্য আরও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করে যাব। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পরিবেশমন্ত্রী দুজনেই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। সব শ্রেণিপেশার মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী। মানুষের সকল প্রকার চাহিদার আলোকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে শীতের উষ্ণ উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।    পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দুস্থ মানুষের পাশে থাকে। শীতকাল মানেই অভাবী মানুষের জন্য কষ্টের সময়। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের উষ্ণ কাপড়ের প্রয়োজন হয়। আমরা শুধু কম্বল বিতরণ করছি না, বরং তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি, সমর্থনও প্রকাশ করছি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, ৭৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় নারী কাউন্সিলর নাসরিন আক্তারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘বিসিসিটির অর্থায়নে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটি) ফান্ডের অর্থায়নের ক্ষেত্রে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দেশে গবেষণা বাড়াতে হবে। অন্য দেশের গবেষণার ওপর নির্ভর করলে চলবে না। এজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  সম্প্রতি রসায়ন শাস্ত্রে সম্মানজনক ‘আইকেমই গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অর্জন করেন ড. মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ড. মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের এ অর্জন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদানের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রমাণ। তিনি বলেন, ড. মাজহারুল ইসলামের গবেষণা কাজ রসায়ন শাস্ত্রের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আমাদের দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী এ সময় দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।  ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির পেট্রন ডক্টর কাজী খলিকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন ইউসেটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর সাবেক গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. এম আসাদুজ্জামান এবং বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ড. মোনায়েম সরকার প্রমুখ। 
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বর্জ্যমুক্ত করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী 
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পানির বোতলসহ সকল প্রকার প্লাস্টিকমুক্ত করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা দূষণ মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করতে চাই। শুধু, প্লাস্টিক নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সকল প্রকার বর্জ্যমুক্ত হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৃক্ষরোপণ করতে হবে।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলস্থ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার পরিবারও প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দূষণ সম্পর্কে জানতে পারবে। প্লাস্টিকের ভয়াবহ দূষণ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজের সিলেবাসে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে চাই। মন্ত্রী এ সময় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানাগারসহ সকল প্রকারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমাম হোসাইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি শাহেলী পারভীনসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।  মন্ত্রী মশাল প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কুচকাওয়াজ এবং দেশাত্মবোধক ডিসপ্লে উপভোগ করেন। পরে তিনি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।  
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X