মেট্রোরেল সাভার পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন
সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি/ নবীনগর পর্যন্ত মেট্রোরল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাভার পৌর এলাকার বাসিন্দারা।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সাভার উপজেলা পরিষদের আমতলায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে স্থানীয় কয়েকশ নাগরিক যোগ দেন। এতে সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মো. কামরুজামান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা এমআরটি-৫ প্রকল্প সাভার হেমায়েতপুর থেকে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি/নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানান। এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান বক্তারা।  কর্মসূচিতে সড়কের ওপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পে সাভার অংশ যুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। ক্র্যাব সভাপতি মো. কামরুজামান খান জানান, মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেওয়া হয়েছে।  সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বক্তারা।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাদ্দাম, সম্পাদক ইমন
সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে এসএ টিভির সাভার প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময়ের আলো ও এশিয়ান টিভির সাভার প্রতিনিধি দেওয়ান ইমন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন নিরব (বাংলা টিভি), যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (গণকন্ঠ), সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিন সিংহ (আলোকিত বাংলাদেশ), কোষাধ্যক্ষ সুজন হাসান (দৈনিক ফুলকি), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ইমরান হাসান নিলয় (নয়া দিগন্ত)। এ ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কাজী সাইফ উদ্দিন (এশিয়া বানী), সুফিয়ান ফারাবী (আরটিভি) নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন উপলক্ষে দিনব্যাপী মুখরিত ছিল অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়। দুপুরে সংগঠনের সদস্যরা ও আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের জন্য ছিল বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। দুপুরের পর নির্বাচন শেষে বিকেলে ঘোষণা করা হয় ৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। পরে নির্বাচিত নতুন নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।  এ সময় আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি তোফায়েল হোসেন তোফাসানী, সাভার টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক এখন টিভি ও দৈনিক কালবেলার সাভার প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি আহমাদ সোহান সিরাজী, দৈনিক সংবাদের সাভার প্রতিনিধি লোটন আচার্য্য ও দৈনিক জনকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি অঙ্গন সাহাসহ সাভার উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজীব-সমরের দাপটে অসহায় সাভার
আপন দুই ভাই। একজন সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, আরেকজন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। দুজনই নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এক দশক ধরে তারা হয়ে উঠেছেন সাভার এলাকার নিয়ন্ত্রক। নগরায়ণের প্রভাবে সাভারের প্রায় সবকিছুই বদলে গেছে। সেইসঙ্গে রাজীব-সমরের প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং সম্পদও বেড়েছে অঢেল। রাজনীতির ছোঁয়ায় ক্ষমতাধর হয়ে ওঠা দুই ভাইয়ের ইশারা ছাড়া কিছুই নড়ে না রাজধানীর এই উপকণ্ঠে। শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় সব রকম অপরাধের নেপথ্যে নাম আসে তাদের। সাংবাদিক নির্যাতনেও সিদ্ধহস্ত তারা। স্থানীয় অন্য জনপ্রতিনিধিরাও যেন দুই ভাইয়ের আজ্ঞাবহ, চলেন তাদের নির্দেশনায়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও রাজীব-সমর সাম্রাজ্যে কোণঠাসা বলে জানা গেছে। রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার মূল সংসদীয় আসন ঢাকা-১৯। এ ছাড়া ঢাকা-২ ও ঢাকা-১৪ আসনে রয়েছে চারটি ইউনিয়ন। তিনজন সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন ১২ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন পৌর মেয়র। তবে তাদের সবাইকে ছাপিয়ে সাভারজুড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য রাজীব ও সমরের। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দুই ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেন। এতে ভরাডুবি হয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের। জানা গেছে, গত এক দশকে রাজীব ও সমর ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। তাকে কেন্দ্র করেই গড়ে তুলেছেন নিজেদের বলয়। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে মালিক বনে গেছেন অঢেল সম্পদের। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ রাজীব ও সমরের। জাতীয় নির্বাচনে মুরাদ জংকে ঠেকানোই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। এ কারণেই নানা হিসাবনিকাশ করে ডা. এনামের পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুলের পক্ষ নেন দুই ভাই। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব নিজেই সাইফুল ইসলামকে সঙ্গে করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে হাজির হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তৌহিদ জং মুরাদ এমপি নির্বাচিত হলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন রাজীব ও সমর। সে সময় রাজীবদের সাভারে প্রবেশ করাও ছিল কঠিন। তাদের সাভারের ব্যাংক কলোনি ব্রিজ অতিক্রম করতেও দেখা যায়নি দীর্ঘদিন। তাদের বিচরণ তখন হেমায়েতপুর এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। সাভারের বয়োজ্যেষ্ঠ বেশ কয়েকজন জানান, রাজীবের বাবা ওয়াসিল উদ্দিন ১৯৭৯ সালে ছিলেন হেমায়েতপুর এলাকায় গ্রাম সরকার। এরপর একটি সংবাদপত্র অফিসে ‘অফিস সহকারী’ হিসেবে কাজ করতেন। তবে বাবাকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের অনেক অপকর্ম আড়াল করতেন রাজিব-সমর। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, সাভারে রাজীব রীতিমতো পরিণত হয়েছে আরেক এরশাদ শিকদারে। একাধিক হত্যাকাণ্ডে নাম আসা এই রাজীবের রয়েছে এরশাদ শিকদারের স্বর্ণকমলের মতো প্রাসাদ, যার না ‘রাজ প্যালেস’। যেখানে প্রবেশ করা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ওই প্রাসাদে প্যালেসে প্রবেশের জন্য অতিক্রম করতে হয় বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা জোন। কেউ রাজীবের কথার বাইরে গেলেই তাকে রাজ প্যালেসে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। স্থানীয়রা বলছেন, পোশাকের মতোই রাজীব গাড়ি পরিবর্তন করেন। বর্তমানে ব্যবহার করছেন মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের কালো জিপ। তবে বাসার সামনে সবসময় পার্কিং থাকে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়াও অফিস কিংবা রাজীবের চলাফেরার সময় পাহারায় থাকে গাড়িবহর। পরিবারের সদস্যরাও আলাদা আলাদা গাড়ি ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলেও পটু এই রাজীব। সাধারণ মানুষের জমি থেকে শুরু করে সরকারি জমি যেখানে নজর পড়ে সেখানেই থাবা বসান তিনি। বাদ যায়নি অধর চন্দ্র স্কুলের হোস্টেলের জমিও। অভিযোগ রয়েছে সাভার পৌর এলাকার সনাতন বৌনাপাড়ায় হিন্দুদের ৩০ বিঘায় জমি দখল করেছে রাজীব বাহিনী। সেখানে বাড়িও তৈরি করেছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১২ সালে অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া হলমার্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে রাতের আঁধারে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছে রাজীব বাহিনী। হলমার্কের ভেতরে থাকা ব্যক্তি মালিকানার জমি দখল করে রাজীব গড়ে তুলেছেন বিশাল গরুর ফার্ম। পুরো হলমার্ক এখন রাজীবের দখলে। কিছুদিন আগে ২০ লাখ টাকা জামানত নিয়ে সিংগাইর ব্রিজের পূর্বপাশে হলমার্কের একটি ভবন রেস্টুরেন্ট হিসেবে ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। পরে সমালোচনার মুখে হলমার্ক কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গার ভাড়া বুঝিয়ে দেন। এ ছাড়া বংশী নদীর জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন রাজ রিয়েল এস্টেট। বিভিন্ন সময় নদী রক্ষা কমিশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আপত্তি জানালেও প্রকল্পের নামে জমি দখল বাড়িয়েই চলেছেন রাজীব। শুধু জমি দখল বা আর্থিক অনিয়মই নয়, বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীদের জিম্মি করে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও রয়েছে রাজীবের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর আগে এ ধরনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ছাড়া গরু চুরি করে আলোচিত নেত্রী বাবলির সঙ্গেও বেশ সখ্য রয়েছে রাজীবের। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, আশির দশকে ছাত্রদল নেতা চঞ্চল হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটে রাজীবের। এরপর ১৯৯৬ সালে দিনদুপুরে সাভার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা মজনুকে। ১৯৯৮ সালে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় খন্দকার জেনারেল স্টোরের সামনে হত্যা করা হয় তেল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানকে। ২০০২ সালে সাভারের ঘোষপাড়া এলাকায় হানিফ হত্যাকাণ্ড, এরপর পৌরসভার আড়াপাড়া মহল্লায় ছাত্রদল কর্মী বাবুকে হত্যা করেন রাজীব। সর্বশেষ ২০১১ সালে হেমায়েতপুরের দক্ষিণ শ্যামপুর গোলাপখালী পুকুরপাড়ে রাজীব ও তার ছোট ভাই সমর প্রকাশ্যে গুলি হত্যা করেন কুয়েতপ্রবাসী এখলাসকে। এসব ঘটনায় অনেকেই রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করতে পর্যন্ত সাহস পাননি। দু-একজন মামলা করলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক মামলা দেখিয়ে সবগুলো থেকে খালাস পেয়ে যান রাজীব ও তার লোকজন। এর আগে ১৯৯৫ সালে আড়াপাড়া এলাকায় টং দোকানে অস্ত্র রাখার দায়ে রাজীবকে গাড়ির পেছনে বেঁধে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় রাজীবের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হলেও পরবর্তী সময়ে ওই মামলাটিও রাজনৈতিক মামলা হিসেবে দেখানো হয়। পুলিশকে নাজেহাল ও তাদের সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সাভার থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর পর দুই বছর কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও ফের উত্থান ঘটে ২০১৩ সালে। ওই বছরে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে বেকায়দায় পড়েন সাভারের তৎকালীন সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিক ডা. এনামুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই তার ঘনিষ্ঠজন বনে যান রাজীব ও সমর। এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের নানামুখী নৈতিক কর্মকাণ্ড। জোর করে অসহায় মানুষের জমি দখল, সরকারি জমি দখল, ঝুট ব্যবসা, বংশী নদীর পাড় দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যায় রাজীব পরিবার। ২০১৫ সালে বাগিয়ে নেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দারকে হটিয়ে এই পদে আসীন হন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। একই বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান। জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার কালবেলাকে বলেন, ‘অপকর্ম দেখতে দেখতে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। বয়স হয়েছে, এখন দূরেই থাকতে চাই। এসব বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত মাহবুবা পারভীন বলেন, ‘সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমাকে পদ দিতে চেয়ে পদ দেয়নি। মোটা অঙ্কের টাকায় পদ-পদবি বিক্রি করে দিয়েছে। গত ১০ বছরে দলীয় কর্মসূচিতে মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়নি। দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী নেতাকর্মী, আজ তারা অবহেলিত।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, আবার তারই আপন ছোট ভাই ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরকে করা হয়েছে একই কমিটির ২নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রাজীব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেনকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিটির সহসভাপতি রেহেনা রহমানের পরিবারেরই ৬ জন রয়েছেন এ কমিটিতে। দলীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় এ কমিটিকে সাজানো হয়েছে।’ স্থানীয়রা জানান, সাভারে একচ্ছত্র সাম্রাজ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন পর্যায়ে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন রাজীব ও সমর। তাদের মধ্যে রয়েছেন তাদের কথিত ভাগনে জাকির হোসেন ওরফে মামা জাকির। তিনি রাজীবের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন। এ ছাড়াও সাভার এলাকায় নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়তে চাইলে মামা জাকিরের মধ্যস্থতায় অনুমতি দেন রাজীব। অবৈধ সবকিছুই থাকে জাকিরের হেফাজতে। তিনি সাভারে ‘জাতীয় মামা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। রাজীব-সমরের মামা নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাভার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বানানো হয়েছে। তিনি পৌরসভার প্যানেল মেয়র। আগামীতে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। সাভারের ঐতিহ্যবাহী হিন্দু জমিদার বাড়ি দখল করে নিজের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করছেন এই মানিক। রাজীবের ‘মাইম্যান’ খ্যাত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক শত কোটিরও বেশি টাকার মালিক। বছর দশেক আগেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন। নানা ধরনের ছোট ছোট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে সেই আতিক রাজীবের সংস্পর্শে এসে যেন পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ। ২০১৫ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বদলে যায় তার জীবনাচার। ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ডিশ ব্যবসার দখল নেওয়ার মধ্য দিয়ে আতিকের অপকর্মের যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে টেন্ডারবাজি, পরিবহন খাতের চাঁদার নিয়ন্ত্রণ, সরকারি-ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল, ঝুট ও বালুর ব্যবসায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ আতিকের। বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে প্রকাশ্যে মারামারি ও হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ে। এসব অপকর্ম করে আতিক বর্তমানে বাড়ি-গাড়িসহ কোটি কোটি টাকার মালিক। নিরাপত্তার স্বার্থে আতিক আগ্নেয়াস্ত্রের আবেদন করলে বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আলোড়ন সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে । সাভারের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছেন বেশ কয়েকটি বাড়ি। রয়েছে দামি গাড়ির সংগ্রহশালা। রাজীবের শ্যালক সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল। তার দায়িত্ব ঝুট ব্যবসা এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে কমিশন আদায়। সাভার পৌর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মাসুম দেওয়ানের দায়িত্ব ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি। এর বাইরেও একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে রাজীব তার আধিপত্য বিরাজমান রেখেছেন। সাভারের এক যুবলীগ নেতা জানান, রাজীবের ইশারায় সিনিয়র অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে ডিঙিয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেওয়ার পর অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে বহিষ্কৃত নেতা মাসুম দেওয়ান। তার বিরুদ্ধে নিজ নামে পৌরসভার একাধিক কুলিবিট ও বাজারের টেন্ডার জোরপূর্বক বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব টেন্ডার পাওয়ার পর পুরো সাভার পৌর এলাকার মহাসড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে হকার বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো সে। সাভারের আনন্দপুরে চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় একটি কারখানার মালিকসহ প্রায় পাঁচজনকে বেধড়ক মারধর করে মারাত্মক আহত করেন মাসুম দেওয়ান ও তার বাহিনী। পরে কারখানার ক্যাশ বাক্স থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নেয় তারা। সাভারের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দুবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফখরুল আলম সমর। জমি দখলে তার রয়েছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। জমি দখল করতে গিয়ে মানুষ হত্যার উদাহরণও রয়েছে। নিজেকে আড়ালে রাখতে বিভিন্ন সময়ে অসুস্থতা দেখিয়ে শ্যামপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজলকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে নানা অপকর্ম করান সমর। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে সমরের বিরুদ্ধে যারাই প্রার্থী হন, তাদের পড়তে হয় নানা হুমকির মুখে। রাজীব-সমর দুই ভাই উপস্থিত থেকে তাদের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে সমর বাহিনীর লোকজন। বাদ যান না ফুটপাতের হকাররাও। তাদের কাছ থেকেও নিয়মিত নেওয়া হয় চাঁদা। তবে নিজে উপস্থিত না থেকে তার বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু লোকজনের মাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ড চালান সমর। এতসব অপকর্মের পরও রাজীবের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের কথা ভাবতে পর্যন্ত পারেন না স্থানীয় সাংবাদিকরা। ২০২২ সালের মে মাসে তিন সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেন রাজীব। তারা হলেন যুগান্তরের সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারী, এনটিভির সাভার বিশেষ প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান ও বাংলা ট্রিবিউনের সাভার প্রতিনিধি নাদিম হোসেন। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদে বসে প্রকাশ্যে যুগান্তরের সাংবাদিকের হাতুড়িপেটা করার হুমকি দেন রাজীব। গত বছরের জানুয়ারিতে একাত্তর টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি আশরাফ সিজেলের ওপর হামলা ও তাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় রাজীবসহ চারজনের নামে থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। এ ছাড়া সংবাদ প্রকাশের জেরে উপজেলা চত্বরে সোহেল রানা নামে দৈনিক দ্বিতীয়বার পত্রিকার এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করেছে রাজীব বাহিনী। সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় থানায় মামলা—এমনকি বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার মেলে না। সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে এনে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে রাজীবের ভাই সমরের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা কালবেলাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। সাভারে অন্য যারা আছে, সবাই একই কাজ করে। এই জমি দখল, ঝুটের ব্যবসা এগুলো তো করেই। আমার কারও বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। সাভারে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কোনো ফুটপাত দখল, চাঁদাবাজি করতে দেবেন না। কোনো জমি দখলবাজ রাখবেন না। এমপির এ ঘোষণায় খুশি হয়েছি। তিনি কী করেন তা দেখতে হবে।’ যোগাযোগ করা হলে সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি গার্মেন্টেসের কোনো ঝুট ব্যবসা করি না।’ জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন।’ তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঢাকা-১৯ আসনে দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামনে আবার উপজেলা নির্বাচন। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য না করাই ভালো।’ আরেক সাবেক সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) ওরফে মুরাদ জং বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করলে তারা মনে করতে পারেন, আমি রাগ-ক্ষোভের বশে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। এ বিষয়টা আমার সঙ্গে যায় না। সাভার, আশুলিয়া আওয়ামী লীগের দুর্গ ছিল। ২০০৮ সালে আমি ২ লাখ ৮২ হাজার ভোট পেয়েছিলাম, নৌকার সেই ভোট এখন কোথায়? এদের কারণেই শেষ।’ জানতে চাইলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ বলেন, ‘এসব বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। গত সপ্তাহেও আমরা জেলা কমিটির সভা করেছি, সেখানেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি।’
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নবনির্বাচিতদের নিয়ে কাল সাভার যাবেন শেখ হাসিনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সকল সংসদ সদস্যকে নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।  এবারের নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন গতকাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকালই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আজ বিকালেই জানা যাবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রপরিষদের সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপ্রধান। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন। ইতোমেধ্যই দ্বাদশ সংসদে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পরে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

সাভার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতের দাবি
প্রতিদিন বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা থাকলেও শয্যার অভাবে সব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে ‘৯৫ বন্ধু আড্ডা’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্থানীয় জনগণ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সাভারে ৭০ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। এখানে চিকিৎসার জন্য রয়েছে ৫০ শয্যার একটি সরকারি হাসপাতাল, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। প্রতিদিন শত শত রোগী আসে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে তাদের চলে যেতে হয় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে। দেশের প্রতিটি জনগণের সরকারি চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সাভারবাসীর এই অধিকার রয়েছে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেন এই হাসপাতালের বেড সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়া এবং শতভাগ আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় অনেক রোগী অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার সাহা বলেন, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে বেড না পেয়ে গরিব-অসহায় অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয় বিনা চিকিৎসায়। তাই এ হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নতি করার দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়মুল হুদার কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সায়মুল হুদা কালবেলাকে বলেন, স্থানীয়দের এ দাবিটি শতভাগ যৌক্তিক। মানববন্ধনকারীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানাব।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আটক
ঢাকার সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে র‍্যাব-৪।  বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল আনুমানিক পাঁচটার দিকে সাভারের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সেনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব-৪ এর একটি চৌকশ দল। পরে সন্ধ্যার পর তাকে সাভার মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর কালবেলাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা কালবেলাকে বলেন, র‍্যাবের পক্ষ থেকে আটক গোলাম মোস্তফাকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। এদিকে সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসাইন ডালিম গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ব্যাহত করতে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা, গায়েবি মামলা দিয়ে আটক করে হয়রানি করা হচ্ছে। যেসব অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
১০ নভেম্বর, ২০২৩

সাভার ও গাজীপুরে বাসে আগুন
রাজধানী ঢাকার পর এবার গাজীপুর ও সাভারে দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।  রাত ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী দেওলিয়াবাড়ী এলাকায় আঞ্জুমান তেলের পাম্পের কাছে আজমেরী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুরের বলিয়ারপুর এলাকায় আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।  গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, রাত ৯টার দিকে দেওলিয়াবাড়ী আঞ্জুমান তেলের পাম্পের কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা আজমেরি পরিবহনের বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারা বাসটিতে আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরের বলিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসটি পার্কিং অবস্থায় থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

লাঠি হাতে ঢাকার প্রবেশমুখে যুবলীগ
ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ সাভারে যুবলীগের বিরুদ্ধে লাঠি হাতে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, প্রতিটি মুহূর্ত গ্রেপ্তার আতঙ্কে কাটছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কেবল তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    এদিকে যুবলীগের দাবি, বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো অপশক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্যই তাদের অবস্থান। তবে কাউকে সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকায় ২৮ অক্টোবর শনিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয় দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আগামীকালের মহাসমাবেশে যেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দিতে লাঠি হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কালবেলাকে বলেন, প্রত্যেকটি সময় কাটছে গ্রেপ্তার আতঙ্কে। আটক-গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা বাসায়ই থাকতে পারছেন না। পুলিশ আজগুবি মামলা দিচ্ছে। কোনো ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও সেসব ঘটনায় জড়িয়ে মামলার আসামি বানানো হচ্ছে। গত এক মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন লোককে বিনা কারণে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আগামীকালের কর্মসূচিতে যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা না যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ লাঠি হাতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলছেন, মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি আটকে দেওয়াসহ নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। এ ছাড়া রাতের বেলা বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়াসহ কর্মসূচির প্যান্ডেল ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নেতাকর্মীরা সবসময়ই থাকছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। এদিকে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানাস্ট্যান্ড এলাকায় সাভার থানা, আশুলিয়া থানা ও সাভার পৌর যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। পরে তারা একই এলাকায় মহাসড়কের আরিচাগামী লেনের পাশে ছোট আকৃতির প্যান্ডেলে লাঠি হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত।   লাঠির বিষয়ে জানতে চাইলে কালবেলাকে তিনি বলেন, লাঠিগুলো মূলত আমাদের দলীয় ও জাতীয় পতাকার জন্য বানানো হয়েছে। আমরা মূলত লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছি বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো অপশক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। কাউকে কোনো প্রোগ্রামে যেতে আমরা বাধা প্রদান করছি না। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা কালবেলাকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাঠি হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের বিষয়টি আমার জানা নেই। তেমন কোনো কিছুই আমাদের চোখে পড়েনি।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপি করায় স্বামীকে তালাক দিলেন স্ত্রী 
বৃহস্পতিবার হঠাৎই রাজধানীর সাভার মডেল থানায় হাজির হন রহিমা বেগম নামে এক নারী। সঙ্গে নিয়ে যান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের সুপারিশপত্র। অভিযোগ তার স্বামী ফরহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে। যেখানে বলা হয়, নেশার টাকা না পেয়ে প্রায়ই তার স্বামী তাকে মারধর করেন। তবে এই নারীর মতে তার স্বামীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ, তিনি সমর্থন করেন বিএনপি।    এই বিএনপি করাই যেন কাল হলো স্বামী ফরহাদ মিয়ার। ফলে স্বামীকে তিনি দিয়েছেন তালাকের উকিল নোটিশ। পুলিশের কাছেও তিনি চান তার জীবনের নিরাপত্তা।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার সিকদার হারুন অর রশিদ জানান, রহিমা বেগম তার বিএনপি সমর্থিত, মাদকাশক্ত স্বামীকে নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এলাকাটি সাভার-ট্যানারি এলাকায় হওয়ায় সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী রহিমা বেগম সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বসবাস করেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে সাভারের আড়াপাড়ায় বসবাস করতেন তিনি। তখন তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় আড়াপাড়া থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ধল্লা এলাকার খাসিরচর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। সেখানেও তিনি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 
২৬ আগস্ট, ২০২৩

খতমে নবুওয়ত সাভার থানার কমিটি গঠন
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ সাভার থানা কমিটি গঠন উপলক্ষে সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে সাভারস্থ কর্ণপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসা মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা হয়। এতে ঢাকা ৭নং জোনের সভাপতি মাওলানা আলী আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।  তিনি বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিম সমাজের বিরোধ হানাফি-শাফেয়ী বা হানাফী-আহলে হাদিস অথবা সুন্নি-বেদাতিদের মতবিরোধের মতো নয়, বরং তাদের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খতমে নবুওয়ত অস্বীকারসহ এমন কিছু মৌলিক আকিদা নিয়ে, যা বিশ্বাস করা না করার ওপর মানুষের ঈমান থাকা না থাকা নির্ভর করে। কাদিয়ানিরা ইসলাম ধর্মের অনেক মৌলিক আকিদা অস্বীকার করার কারণে নিঃসন্দেহে অমুসলিম ও কাফের। এমনকি যে ব্যক্তি তাদের কাফের মনে করবে না বা এতে সন্দেহ পোষণ করবে, সেও নিঃসন্দেহে কাফের। আজকের এই সম্মেলন থেকে কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ৭নং জোনের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানি ও সেক্রেটারি মুফতি মাহফুজুর রহমান সংগঠনের বিভিন্ন অতীত কার্যক্রম ও অবদান উপস্থিত উলামায়ে কেরামের সামনে তুলে ধরেন। তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। সভায় উপস্থিত দায়িত্বশীলদের সর্বসম্মতক্রমে নিম্নোক্ত কমিটি গঠন করা হয়। মুফতি রফিকুল ইসলাম সরদারকে সভাপতি এবং মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমীকে সেক্রেটারি করে ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।  এ ছাড়াও কমিটিতে মাওলানা আলী আজম, মুফতি মাহফুজুর রহমান, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব, মুফতি সাঈদ আহমদ লাকসামি, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, হাফেজ ইব্রাহিম খলিল, হাফেজ হাবিবুর রহমান, মাওলানা ইব্রাহিম, মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ, মুফতি আব্দুল বারী, মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মাওলানা তাফাজ্জল হুসাইনকে উপদেষ্টা করা হয়। নবগঠিত কমিটির উত্তরোত্তর কল্যাণ কামনা করে সভাপতি মাওলানা আলী আজম বলেন, আমরা সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলনের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে তিনি সভায় উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
২১ আগস্ট, ২০২৩
X