ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ সাভারে যুবলীগের বিরুদ্ধে লাঠি হাতে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, প্রতিটি মুহূর্ত গ্রেপ্তার আতঙ্কে কাটছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কেবল তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে যুবলীগের দাবি, বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো অপশক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্যই তাদের অবস্থান। তবে কাউকে সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর শনিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয় দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আগামীকালের মহাসমাবেশে যেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দিতে লাঠি হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কালবেলাকে বলেন, প্রত্যেকটি সময় কাটছে গ্রেপ্তার আতঙ্কে। আটক-গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা বাসায়ই থাকতে পারছেন না। পুলিশ আজগুবি মামলা দিচ্ছে। কোনো ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও সেসব ঘটনায় জড়িয়ে মামলার আসামি বানানো হচ্ছে। গত এক মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন লোককে বিনা কারণে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আগামীকালের কর্মসূচিতে যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা না যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ লাঠি হাতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিচ্ছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলছেন, মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি আটকে দেওয়াসহ নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। এ ছাড়া রাতের বেলা বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়াসহ কর্মসূচির প্যান্ডেল ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নেতাকর্মীরা সবসময়ই থাকছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে।
এদিকে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানাস্ট্যান্ড এলাকায় সাভার থানা, আশুলিয়া থানা ও সাভার পৌর যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। পরে তারা একই এলাকায় মহাসড়কের আরিচাগামী লেনের পাশে ছোট আকৃতির প্যান্ডেলে লাঠি হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত।
লাঠির বিষয়ে জানতে চাইলে কালবেলাকে তিনি বলেন, লাঠিগুলো মূলত আমাদের দলীয় ও জাতীয় পতাকার জন্য বানানো হয়েছে। আমরা মূলত লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছি বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো অপশক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। কাউকে কোনো প্রোগ্রামে যেতে আমরা বাধা প্রদান করছি না।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা কালবেলাকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাঠি হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের বিষয়টি আমার জানা নেই। তেমন কোনো কিছুই আমাদের চোখে পড়েনি।
মন্তব্য করুন