কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক অভিযান অব্যাহত, নিহত ২৭
দ্বিতীয় দিনের মতো বিরোধপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে আজারবাইজানের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর্মেনীয়রা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি। আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হলেও সেটি আর্মেনীয় অধ্যুষ্যিত এলাকা। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বসবাস করেন। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। প্রথমটি ১৯৯০-এর দশকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে কারাবাখের বেশকিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আজারবাইজান। সম্প্রতি এ অঞ্চল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য আরেকটি ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সামরিক অভিযানের এ ঘোষণা দেয় দেশটি। বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সরঞ্জাম নির্মূল করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সামরিক যান, আর্টিলারি ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে নাগোর্নো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযান শুরুর পর থেকে দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছে। আজারবাইজান বলছে, তারা এ সংঘাত অবসানে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে আলোচনা শুরুর আগে ‘অবৈধ’ আর্মেনীয় সেনাদের সাদা পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং তাদের অবৈধ সরকার ভেঙে দিতে হবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় আর্মেনীয়রা। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভকে অবিলম্বে এ সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।  
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কারাবাখে সামরিক অভিযান শুরু করল আজারবাইজান
বিরোধপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে আজারবাইজান। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি। আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হলেও সেটি আর্মেনীয় অধ্যুষ্যিত এলাকা। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বসবাস করেন। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। প্রথমটি ১৯৯০-এর দশকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে কারাবাখের বেশকিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আজারবাইজান। সম্প্রতি এ অঞ্চল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য আরেকটি ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সামরিক অভিযানের এ ঘোষণা দেয় দেশটি। কারাবাখের প্রধান শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ফলে এ থেকে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন কারাবাখের অন্য প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনীয় সেনারা তাদের সামরিক স্থাপনায় পরিকল্পিত গুলিবর্ষণ করছে। এ জন্য তাদের এলাকা থেকে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যাহার এবং তাদের নিরস্ত্র করতে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এ অভিযানে তারা বেসামরিক নাগরিক বা বেসামরিক স্থাপনায় কোনো হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে। এদিকে গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আজারবাইজানের দাবি বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আজ দুপুর নাগাদ সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি তুলনামূলক স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা।  
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X