কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাবাখে সামরিক অভিযান শুরু করল আজারবাইজান

কারাবাখ নিয়ে দুবার যুদ্ধে  জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। ছবি : সংগৃহীত
কারাবাখ নিয়ে দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। ছবি : সংগৃহীত

বিরোধপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে আজারবাইজান। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি।

আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হলেও সেটি আর্মেনীয় অধ্যুষ্যিত এলাকা। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বসবাস করেন। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। প্রথমটি ১৯৯০-এর দশকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে কারাবাখের বেশকিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আজারবাইজান।

সম্প্রতি এ অঞ্চল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য আরেকটি ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সামরিক অভিযানের এ ঘোষণা দেয় দেশটি।

কারাবাখের প্রধান শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ফলে এ থেকে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন কারাবাখের অন্য প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনীয় সেনারা তাদের সামরিক স্থাপনায় পরিকল্পিত গুলিবর্ষণ করছে। এ জন্য তাদের এলাকা থেকে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যাহার এবং তাদের নিরস্ত্র করতে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এ অভিযানে তারা বেসামরিক নাগরিক বা বেসামরিক স্থাপনায় কোনো হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে।

এদিকে গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আজারবাইজানের দাবি বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আজ দুপুর নাগাদ সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি তুলনামূলক স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো ইউরোপ

অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার

ইয়েমেন ও বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য-সৌদির যৌথ মানবিক প্রকল্প

গুমের দুই মামলায় হাসিনার পক্ষের আইনজীবী আমীর হোসেন

এভারকেয়ারের পাশে খোলা মাঠে হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলক ওঠানামা করবে

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা 

ফ্লাইওভারের সিঁড়ির নিচে বৃদ্ধের মরদেহ

হঠাৎ মেট্রো চলাচল বন্ধ, কারণ জানাল ডিএমটিসিএল

সমালোচনার মুখে সুর পাল্টালেন টুইঙ্কল

৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু 

১০

আইপিএল মিনি অকশনে কে এই মালয়েশিয়ান ক্রিকেটার

১১

ঘরে ঢুকে নৃশংস হামলায় ফুফু নিহত, মুমূর্ষু ভাতিজি

১২

একাই ৪৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

১৩

ফুসফুসের ক্যানসার নিয়ে যে ভুল ধারণাগুলো আমাদের বেশি ক্ষতি করছে

১৪

২৫ বছর আগের চেয়ে বেশি ‘চাঙ্গা’ বলে বৈঠকেই ঘুম

১৫

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না 

১৬

শীত আরও বাড়বে কি না জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১৭

নওগাঁয় শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে 

১৮

জুলাই আন্দোলনে আহত না হয়েও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন যুবক

১৯

চিড়িয়াখানায় সিংহের কাছে গিয়ে প্রাণ হারাল কিশোর

২০
X