যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান আটকে দিল কুমির, ভিডিও ভাইরাল
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে একটি কুমিরের দেখা মিলল। সেটি মার্কিন বাহিনীর একটি সামরিক বিমানের উড্ডয়ন আটকে দিয়ে আলোচনায় এসেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোরিডার ম্যাকডিল বিমানবাহিনীর ঘাঁটির রানওয়েতে কুমিরটি দেখা যায়। জ্বালানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা একটি বিমানের সামনে এটি অবস্থান নেয়। সেখান থেকে সরতে নারাজ ছিল কুমিরটি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসেন। Gator Trouble ! MacDill Air Force Base said : “Our newest toothy Airman has been relocated to a more suitable environment off base,” “Special thanks to FWC for the assist.” An alligator caused some trouble after it decided to wander onto the Apron area at MacDill Air Force Base… pic.twitter.com/dRNTXqZbTs — FL360aero (@fl360aero) April 22, 2024 এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এক্সে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, কুমিরটি রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা জ্বালানিবাহী বিমানটির চাকার সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে সেটি আরাম করছিল। কর্মকর্তারা হাঁকডাক করলেও সেটি সরছিল না। এরপর তিন নিরাপত্তাকর্মী কুমিরটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে আটক করে নিয়ে যান। আটক করতেও তাদের বেগ পেতে হয়। পরে সেটিকে নিরাপদে পাশের হিলসবরো নদিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।  ম্যাকডিল এয়ার ফোর্স এক্সে জানায়, আমাদের নতুন এয়ারম্যানকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তারা প্রাণীটিকে সরিয়ে নিয়ে বিপদমুক্ত করেছে। এদিকে কুমিরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘যুদ্ধবিরোধী কুমিরের’ তকমা পাচ্ছে। নেটিজেনরা কুমিরকে বাহবা দিয়ে পোস্টটি শেয়ার করছেন। তারা বলছেন, যুদ্ধবাজ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান আটকে দিয়ে চমৎকার কাজ করেছে কুমিরটি। প্রাণীরাও যুদ্ধ চায় না। বনাঞ্চল ঘেরা ফ্লোরিডায় বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে আসা নতুন নয়। এবিসি নিউজের তথ্যমতে, এপ্রিল মাসে কুমির প্রজননের জন্য সঙ্গী খোঁজে। তাই তারা পরিচিত অঞ্চল ছেড়ে অন্যান্য এলাকায় যায়। এ সময় পথেঘাটে তাদের দেখা মেলে। উদ্ধার হওয়া কুমিরটিরও সঙ্গী খোঁজা উদ্দেশ্য ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, যা বলছে ইউক্রেন
ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে করে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় থাকা ৬৫ বন্দি নিহত হয়েছেন। এবার এ বিমান হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, তাদের সেনারা ইলিউশিন ইল-৭৬ সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে। বুধবার সকালে এটি বেলগ্রুদে ভূপাতিত করা হয়। এতে বিমানে থাকা ৬৩ জন নিহত হয়েছেন।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেনেস্কা প্রাভদা প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিমানটি এস-৩০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছিল। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে গতকাল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে হামলা চালানো হয়েছে। এতে করে আটজন নিহত হয়েছেন।  অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, বিমানটিতে বন্দি বিনিময়ের আওতায় থাকা ৬৫ ইউক্রেনীয় বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হামলার কারণে তারাসহ ছয় রুশ ক্রু ও তিনজন লোক নিহত হয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   এর আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বন্দি বিনিময়ের আওতায় বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আরআইএ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ৬৫ জন বন্দি ছিলেন। এছাড়া বিমানে ছয়জন ক্রু ও তিনজন লোক ছিলেন। এটি রাশিয়ান ইলিউশিন ইল-৭৬ বিমান ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ৬৫ বন্দির সবাই নিহত হয়েছেন।  রাশিয়ার নিরাপত্তা সেবা সংশ্লিষ্ট চ্যানেল বাজা টেলিগ্রামে ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, একটি বিশাল বিমান মাটিতে পতিত হয়েছে। এ সময় এটি বিশাল ফায়ারবল আকারে এটি বিস্ফোরিত হয়।  ইল-৭৬ একটি সামরিক বিমান। এটি সেনা, কার্গো, সামরিক রসদ ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ ধরনের বিমানে সাধারণত পাঁচজন ক্রু ও ৯০ যাত্রী পরিবহন করা যায়।  স্থানীয় গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেন, বেলগ্রুদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কোরোচানস্কি জেলায় একটি অনির্দিষ্ট ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। এছাড়া তদন্তকারী এবং জরুরি কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

৬৫ বন্দি নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বন্দি বিনিময়ের আওতায় বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।  আরআইএ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ৬৫ জন বন্দি ছিলেন। এছাড়া বিমানে ছয়জন ক্রু ও তিনজন লোক ছিলেন। এটি রাশিয়ান ইলিউশিন ইল-৭৬ বিমান ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ৬৫ বন্দিরা সবাই নিহত হয়েছেন।  রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটিতে কারা ছিল তা যাচাই করতে পারেনি।  রাশিয়ার নিরাপত্তা সেবা সংশ্লিষ্ট চ্যানেল বাজা টেলিগ্রামে ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, একটি বিশাল বিমান মাটিতে পতিত হয়েছে। এ সময় এটি বিশাল ফায়ারবল আকারে বিস্ফোরিত হয়।  The moment the plane crashed was caught on video. It seems the plane already occurred severe damage before going down to the ground. https://t.co/XE4r9dJ3Ff pic.twitter.com/op4RNR4m4R — NOELREPORTS (@NOELreports) January 24, 2024 ইল-৭৬ একটি সামরিক বিমান। এটি সেনা, কার্গো, সামরিক রসদ ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ ধরনের বিমানে সাধারণত পাঁচজন ক্রু ও ৯০ যাত্রী পরিবহন করা যায়।  স্থানীয় গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেন, বেলগ্রুদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কোরোচানস্কি জেলায় একটি অনির্দিষ্ট ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। এছাড়া তদন্তকারী এবং জরুরি কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।   
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারতে অবতরণকালে মিয়ানমারের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
ভারতে অবতরণের সময় মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মূলত অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফেরানোর জন্য বিমানটি মিজোরামে এসেছিল। চ্যালেঞ্জিং প্রকৃতির জন্য পরিচিত লেংপুইয়ের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। মিজোরামের ডিজিপির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিমানটি ছোট ছিল এবং পাইলটসহ ১৪ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের লেংপুই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে সামরিক বাহিনীর এই সংঘাত। আর সংঘর্ষের মধ্যেই গত সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে যান মিয়ানমারের ২৭৬ জন সেনা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের পর তারা ভারতে ঢুকে আশ্রয় নেন। ভারত সোমবার অন্তত ১৮৪ মিয়ানমারের সেনাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

মিয়ানমারের সামরিক বিমান ভারতে বিধ্বস্ত
ভারতের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে বিমানটি ছিটকে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির নাম শানসি ওয়াই-৮। বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ভারতে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাদের দেশে ফেরত নিতে মিজোরামে এসেছিল বিমানটি। লেংপুই বিমানবন্দরটি প্রতিকূল পরিবেশের জন্য পরিচিত। এই বন্দরে অবতরণ করতে গেলেই মঙ্গলবার রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি। এতে বিমানের প্রধান অংশ ফুসেলেজ দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। মিজোরামের ডিজিপির বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমানে ১৪ জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। বাকি আটজন নিরাপদ আছেন। আহতদের লেংপুই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তাদের। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তা সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে গত কয়েক দিনে মিজোরামে ঢুকে মিয়ানমারের অন্তত ৬০০ সেনা। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ সেনাকে সোমবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান জাপানের ইয়াকুশিমা আইল্যান্ডে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৮ জন যাত্রী ছিলেন। জাপানের কোস্ট গার্ড বিবিসিকে জানিয়েছে, জেলেরা একজন ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছে। তবে তাদের অবস্থা কেমন তা জানানো সম্ভব হয়নি।  স্থানীয় গণমাধ্যমকে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়াকুসিমায় বিমানের ভগ্নস্তূপ পাওয়া গেছে। জাপানের  এনএইচকে  সংবাদ মাধ্যম জানায় CV-22 ওস্প্রে  মডেলের বিমানটি ইয়াকুশিমা বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি ইয়ামাগুচির আইওয়াকোনি বেইজ থেকে ওকিনাওয়ার কাদেনা বেইজে যাচ্ছিল।   রয়টার্স জানায়, জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু বলেন, স্থানীয় সময়  দুইটা চল্লিশ মিনিটে রাডার থেকে হারিয়ে যায়। 
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

ভূমধ্যসাগরে মার্কিন সামরিক বিমান কেন?
ভূমধ্যসাগরের পূর্বদিকে আমেরিকার একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল (শনিবার)  যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান যৌথ কমান্ড এ ঘোষণা দিয়েছে। সাইপ্রাস এবং লেবাননের মধ্যে অবস্থিত সমুদ্রে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি কোনো সামরিক কাজে নিয়োজিত ছিল কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। এয়ার ফোর্স সেখানে অতিরিক্ত স্কোয়াড্রন পাঠিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে তা তদন্তাধীন। তবে শত্রুপক্ষের কারণে এমন হয়েছে এর কোনো ইঙ্গিত নেই বলেও দাবি করেছে কমান্ড। তারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে তবে জড়িত কর্মীদের সম্পর্কে অন্য কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। এদিকে আমেরিকা ও ইউরোপের যৌথ কমান্ড এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছিল কিন্তু হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় পড়ে এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানটি কোন ধরনের ছিল এবং তাতে কতজন আরোহী ছিল অথবা বিমানটি ভূমিতে না কি সাগরে পড়েছে এসব নিয়ে কিছুই জানায়নি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। কেন ভূমধ্যসাগরে মার্কিন সামরিক বিমান? ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে আমেরিকা। এগুলো হলো- ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার। এগুলোতে অনেক যুদ্ধবিমান রয়েছে। ইসরায়েলের সমর্থনে এসব রণতরীতে তারা এফ-১৫, এফ ১৬ এবং এ-১০ যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে।  গাজা-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধের শুরুর দিকে আমেরিকা এসব বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করে। এগুলো পাঠানোর মধ্য দিয়ে আমেরিকা মূলত ইসরায়েলকে নৈতিক সমর্থন জুগিয়েছে। গাজা যুদ্ধের প্রসারণ হলে সেখানে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা ৮ অক্টোবর ভূমধ্যসাগরে রণতরী পাঠানোর বিষয়ে বলেন, এ অঞ্চলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসব যুদ্ধবিমান প্রতিরোধ গড়ে তোলার একটি শক্তিশালী সংকেত। ইসরাইলের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে কেউ যদি পরিস্থিতি থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে বাধার সৃষ্টি করা হবে। ৮ অক্টোবর এক  বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, ইউএসএস আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পশ্চিম-পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বহরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বাহিনীর বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আর ফোর্ড ক্যারিয়ার, টাইকোনদেরোগা ধরনের গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ইউএসএস নরম্যান্ডি, ‍আর্লরে-বুর্ক গ্রেডের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ইউএসএস থমাস, হান্ডার, ইউএসএস রামেজ, ইউএসএস কার্নি ইউএসএস রুসভেল্ট।  
১২ নভেম্বর, ২০২৩

ভূমধ্যসাগরে মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) প্রশিক্ষণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় কমান্ড (ইইউকম)। খবর এএফপির। বিমান দুর্ঘটনার খবর জানালেও এটা কোন ধরনের বিমান বা কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানায়নি ইইউকম। তবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে ইইউকম জানিয়েছে, প্রশিক্ষণের সময় গত শুক্রবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানে থাকা ক্রু সদস্যদের পরিণতি কী হয়েছে তা জানায়নি ইইউকম। কী কারণে এই বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে তা তদন্ত করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামালার পরপর ইসরায়েলের সহায়তায় বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি জোরদার করেছে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ও অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।
১২ নভেম্বর, ২০২৩

তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ৪০ সামরিক বিমান
চীন-তাইওয়ানের মধ্যকার উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তাইওয়ানের ভাইস প্রেডিডেন্ট  উইলিয়াম লাই যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর থেকে চীন এ অঞ্চলের উপকূলে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানকে চাপে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।  বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের বিমানবাহিনীর ৪০টি বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় চলে এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগ তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল অতিক্রম করেছে।  প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের মানচিত্র অনুযায়ী এসব বিমানের মধ্যে অন্তত চারটি বিমান তাইওয়ানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।  এদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। তবে তার সফরকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। এজন্য স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। নিউইয়র্কে লাইয়ের অবতরণের পরপরই এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের’ যে কোনো ধরনের সফরের বিরোধিতা করে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ান চীনের অন্যতম প্রধান বিষয়। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে দেখা যায়, স্বাধীনতার বিষয়ে তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরের চেষ্টা করায় তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা বাড়ছে। তবে এসব বিষয় চীন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নেবে বেইজিং। অবশ্য চীন এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে সে কথা আগেই জানিয়েছিল তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আগামী সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছাকাছি সামরিক মহড়া চালাতে পারে চীন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ও লি’র যুক্তরাষ্ট্রে সফরের জন্য জনগণকে ভয় দেখাতে এ মহড়া চালানো হতে পারে।  
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X