চীন-তাইওয়ানের মধ্যকার উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তাইওয়ানের ভাইস প্রেডিডেন্ট উইলিয়াম লাই যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর থেকে চীন এ অঞ্চলের উপকূলে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানকে চাপে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের বিমানবাহিনীর ৪০টি বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় চলে এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগ তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল অতিক্রম করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের মানচিত্র অনুযায়ী এসব বিমানের মধ্যে অন্তত চারটি বিমান তাইওয়ানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
এদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। তবে তার সফরকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। এজন্য স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি।
নিউইয়র্কে লাইয়ের অবতরণের পরপরই এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের’ যে কোনো ধরনের সফরের বিরোধিতা করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ান চীনের অন্যতম প্রধান বিষয়। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে দেখা যায়, স্বাধীনতার বিষয়ে তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরের চেষ্টা করায় তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা বাড়ছে।
তবে এসব বিষয় চীন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নেবে বেইজিং।
অবশ্য চীন এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে সে কথা আগেই জানিয়েছিল তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আগামী সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছাকাছি সামরিক মহড়া চালাতে পারে চীন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ও লি’র যুক্তরাষ্ট্রে সফরের জন্য জনগণকে ভয় দেখাতে এ মহড়া চালানো হতে পারে।
মন্তব্য করুন