সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: সিআইডি প্রধান
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।   শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন। তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন। সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নওগাঁয় সিআইডি পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অতঃপর...
নওগাঁ ধামুরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল (২৫) নামে এক ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার রুপনারায়ণপুর গ্রাম থেকে ভুয়া সিআইডি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘীর ছাতিয়ান গ্রাম ইউনিয়নের রিয়াজ আহমেদের ছেলে। ভুক্তভোগী মানুয়েল তপ্ন বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে ২৯,৫৩৮ টাকা গ্রহণ করে এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে এই প্রতারক। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে থানার এসআই পরিতোষ চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. ইকবাল হোসেন, মো. নুর ইসলাম ও মো. ফরহাদ হোসেন গিয়ে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।  রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়ালের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘিতে। তিনি এলাকায় এসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা প্রতারণা করে নেয়। তিনি বলেন, এ ছাড়াও  ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতেন। এদিনও প্রতারণা করতে লাগলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

মাদক মামলায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
মাদক কারবার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় টেকনাফ-উখিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই বদির ভাই আবদুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মালিবাগ সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূলহোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা হাতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এ সকল মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদকসংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কক্সবাজারের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের গদফাদার হিসেবে বারবার উঠে এসেছে। তিনিসহ তার পরিবার, ভাই স্বজনদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে। আপনারা ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বদি বা বদির ভাইয়ের মাদকে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিংসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সকল গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক সব মানুষের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

নাশকতা কি না তদন্ত করছে সিআইডি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় লন্ডন এক্সপ্রেসের গ্যারেজে ১৪ বাসে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা নাশকতা কি না, তার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে ১৪টি পোড়া বাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিস্তারিত জানা যাবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা। আগুনের ঘটনাটি নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখছে র্যাব ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটও। র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে বাসগুলো পুড়েছে, সেই কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো নাশকতার সন্দেহ করে আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তার পরও আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা নাকি নাশকতা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, তারা কোনো সন্দেহ করলে সেটাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। এটা নাশকতা কি না, সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ওহিদুল হক মামুন গতকাল কালবেলাকে বলেন, সোমবার রাত থেকেই আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করেছি। ঘটনাস্থল নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের তদন্ত চলছে। এ নিয়ে লন্ডন এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা হবে। তাদের আবেদন ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে লন্ডন এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ বলছে, কোম্পানির মালিক মো. নরুল ইসলাম বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করায় তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। ওই কোম্পানির পক্ষে সোমবার গভীর রাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কোম্পানির সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিটি বাসের মূল্য আড়াই কোটি টাকা। এক্ষেত্রে মোট ৩৫ কোটি টাকার বাস ভস্মীভূত হয়েছে। এ ছাড়া ২ কোটি টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি: সোমবার রাতে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাসে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। তিন সদস্যের কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে। কমিটির সদস্য সচিব ডিএডি মো. শামসুজ্জোহা এবং সদস্য ডেমরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওসমান গণি।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

মা ও স্ত্রীর জন্য দোয়া চেয়েছেন সিআইডি প্রধান
মা উম্মে সালেহা ও স্ত্রী সাবরিনা শারমিন জামানের জন্য দোয়া চেয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। গতকাল রোববার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোহাম্মদ আলী মিয়ার মা মোসাম্মৎ উম্মে সালেহা ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। আজ সোমবার তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। অন্যদিকে তার স্ত্রী সাবেক উপসচিব সাবরিনা শারমিন ২০১৯ সালের একই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০তম বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। আজ তার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। একই তারিখে দুই স্বজনকে হারিয়েছেন সিআইডি প্রধান। সবার কাছে মোহাম্মদ আলী ও তার সন্তানরা মরহুমদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন। অতিরিক্ত আইজির মা ও স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সিআইডির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে তাদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : সিআইডি প্রধান
সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলছেন, মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিআইডি সদরদপ্তরে ‘কম্ব্যাটিং ম্যাকানিজম অ্যাগেনেস্ট ডিজিটাল এক্সপ্লোয়শন ফর ফিন্যান্সিয়াল গেইন’-বিষয়ক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সিআইডি প্রধান বলেন, মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, একাডেমিয়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে সিআইডি তদন্তকারী অফিসারদের সক্ষমতা এবং পেশাদারী দক্ষতা উন্নত করতে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ সেশন ও কর্মশালার ব্যবস্থা করছে। সেখানে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে মার্কিন দূতাবাস ও এফবিআইকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। সেমিনারে ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমবিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলসিট ফিন্যান্স ট্যাকনিকেল এডভাইজর ডেরেক ওডনি এবং সাইবার ক্রাইমবিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের রবার্ট জে. ক্যামেরন। এ ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলইএএর মাইকেল হিন্টজ এবং ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আইএনটিআই ইন্ট্যারনেশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সারাফাজ আলী ও ফিলিপাইন কেপিজ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান জ্যাসন বি. ক্যাপানডান। সেমিনারে ডেরেক ওডনি তার বক্তব্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্লকচেইন এবং ব্লকচেইন ট্রান্সপারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের জন্য ডেটা স্ট্রাকচারিং এবং হ্যাশ জেনারেটর অ্যাক্সেস করাসহ বর্তমান বিশ্বে বিটকয়েনের মূল্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা দেন  রবার্ট জে. ক্যামেরন সাইবার ও মানিলন্ডারিং অপরাধ দমনে ডোমেইন টেকডাউনের গুরুত্ব এবং ডোমেইন টেকডাউনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওপেন সোর্স ফ্রি টুলস সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় মাইকেল হিন্টজ তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থপাচার ও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করবে। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জ্যাসন বি. ক্যাপানডান ফিলিপাইনের প্রেক্ষাপট থেকে অর্থপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা এবং অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। পরে প্রফেসর ড. খান সারাফাজ আলী মানিলন্ডারিং মোকাবিলায় সিআইডির সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি মানিলন্ডারিং মামলা তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সম্মুখীন হওয়া কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব করেন। সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপনকারী ও অন্য বক্তাদের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সাইবার ও মানিলন্ডারিং অপরাধ দমনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। সেমিনারে সিআইডির তদন্ত তদারকি ও তদন্তকারীসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিআইডি কর্মকর্তা ফজলুল হত্যা মামলার বিচার শুরু
এক দশক আগে সিআইডির অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম খান হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো। ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার নিজ বাড়িতে ফজলুল করিম খুন হন। পরদিন ৩০ আগস্ট তার মেয়ের জামাতা ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দিন খান জাহান আলী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ২৭ জুলাই ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান। কিন্তু এ চার্জশিটের ওপর নারাজি দেন বাদী। পরে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান আদালত। পুনরায় তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রতন কৃষ্ণ নাথ। বর্তমানে এ মামলার কোনো আসামি কারাগারে নেই। ১৩ আসামি জামিনে এবং ১২ জন পলাতক। চার্জশিটে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম সমাজসেবক, স্বাধীনচেতা ও সচেতন নাগরিক ছিলেন। যে কারণে এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস আগে আসামি শাহরিয়ার আসিফ রাসেলকে কয়েকশ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশে দেন। এতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে ফজলুল করিমের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিআইডি কর্মকর্তা হত্যা মামলার বিচার শুরু 
এক দশক আগে সিআইডির অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম খান হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার নিজ বাড়িতে ফজলুল করিম খান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরদিন ৩০ আগস্ট তার মেয়ের জামাতা ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দিন খান জাহান আলী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ২৭ জুলাই ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের এ চার্জশিটের ওপর নারাজি দেন বাদী ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দিন খান জাহান আলী। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠান আদালত। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রতন কৃষ্ণ নাথ তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করেন। বর্তমানে এ মামলার কোনো আসামি কারাগারে নেই। ১৩ আসামি জামিনে ও ১২ জন পলাতক আছে। মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম অত্যন্ত স্বাধীন চেতা, সমাজসেবক ও সচেতন নাগরিক ছিলেন। সমাজের যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধ অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। যে কারণে এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন ফজলুল করিম খান। মাদক প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস আগে আসামি শাহরিয়ার আসিফ রাসেলকে কয়েকশ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশকে ধরিয়ে দেন। এতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে ফজলুল করিমের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট আসামি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন তপুর রামপুরা মক্কি মসজিদ গলির ভাড়া বাসায় বসে পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।  পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরদিন আসামি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন তপুর নেতৃত্বে ওয়াসীম আহমেদ ওরফে রতন, শাহরিয়ার আসিফ ওরফে রাসেল, এনামুল হক পনির, মো. সেলিম ওরফে কলা সেলিম, মো. ইমাম হোসেন শাওন, অর্পন আহমেদ জাভেদ, শফিকুল ইসলাম ওরফে জনি, মো. শাহজালাল, মো. হাবেল, কাজী মাসুদ পারভেজ, মো. আল আমীন, হাসান আবদুল বাকী, আবু বকর ছিদ্দিক ওরফে রুবেল, মো হেমায়েত হোসেন হিমু ওরফে হিমেল খান, মো. রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম বাদশা, মো. দেলোয়ার হোসেন দেলু, মো. মুন্না, হাজী বাবু, মো. বিপ্লব হোসেন, নাসির শেখ ওরফে সীমান্ত, মামুন ওরফে পাঠা মামুন ও সুজন ওরফে মাস্টার সুজন ঘটনাস্থলে যায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

একই পরিবারে ট্রিপল মার্ডার : তদন্তে সিআইডি ও পিবিআই
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নিজ বাড়িতে একই পরিবারে তিনজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি ও পিবিআই। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নিহতের বাসায় তারা উৎসুক জনতার প্রবেশ সংরক্ষিত করে এ কার্যক্রম শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিউল আলম ঘটনাস্থলে থেকে সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন। নিহত বিকাশ সরকার (৪৫) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ও তাড়াশ গোপাল জিউ বিগ্রহেরও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। নিহতের বড়ভাই প্রকাশ চন্দ্র সরকার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তারা দুই ভাই পৃথকভাবে ওই বাসার তৃতীয় তলার আলাদা দুটি ফ্লাটের বসবাস করতেন। লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও তাদের মেয়ের (তিন জনের) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে গোপনে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হত্যার পর লাশ ফেলে, ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা দুদিন ধরে তাদের খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বর্ণ চোরাচালানের ১৪ মামলার তথ্য চেয়েছে সিআইডি
ঢাকা কাস্টম হাউসের করা স্বর্ণ চোরাচালানের ১৪ মামলার তথ্য চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব মামলা বর্তমানে সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগে তদন্তাধীন। এর বেশিরভাগই ২০২১ সালের মামলা। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কাস্টমস কর্মকর্তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে দেশে স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ছে। আর নির্বাচন সামনে রেখে কিছু অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলার তদন্তের ধীরগতির কারণে বেপরোয়া হয়ে ওঠে চক্রটি। এখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বর্ণ চোরাচালান মামলার তদন্তে গতি আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিআইডি বিভাগ ঢাকা কাস্টম হাউসে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত্র ১৪ মামলার তথ্য চেয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি এনবিআরেও দিয়েছে সংস্থাটি। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বর্ণের বার বা স্বর্ণালংকার পরীক্ষার বিশারদ মতামতের জন্য পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা ঢাকা কাস্টম হাউসে এ-সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তাদের চাওয়া তথ্য দিতে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ঢাকা কাস্টম হাউসের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সাধারণত সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসেই তথ্য চাইতে হয়। মূলত এসব মামলা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে সিআইডি প্রধানের নির্দেশনা রয়েছে। আর এনবিআরের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসে তথ্য চাইলেও অনুলিপি শুল্ক বিভাগের প্রধান বরাবর দিতে হয়। মূলত এনবিআরের কাছে এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার স্বর্ণ চোরাচালানের প্রায় সব মামলা বিমানবন্দর থানায় করা হয়ে থাকে। ঢাকা কাস্টম হাউসের কাছে তথ্য চাওয়া এই মামলাগুলোর মধ্যে ২০১৫ ও ২০২০ সালের দুটি মামলা রয়েছে। ৯টি মামলা ২০২১ সালে করা। আর তিনটি মামলা ২০২২ সালের। আর ঢাকা কাস্টম হাউসের কাছে তথ্য চাওয়া এই মামলাগুলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনে করা। এই ধরনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। মূলত ১৯৭৪ সালে দেশের চোরাচালান বন্ধ করতে এই আইন চালু করা হয়েছিল। ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে বিষয়টি উল্লেখ করে খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪
X