কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদক মামলায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি : কালবেলা

মাদক কারবার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় টেকনাফ-উখিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই বদির ভাই আবদুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মালিবাগ সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূলহোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা হাতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এ সকল মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদকসংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কক্সবাজারের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের গদফাদার হিসেবে বারবার উঠে এসেছে। তিনিসহ তার পরিবার, ভাই স্বজনদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে। আপনারা ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বদি বা বদির ভাইয়ের মাদকে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিংসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সকল গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক সব মানুষের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

বনশ্রীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর

ধরা দেওয়া শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর যা বললেন আকবর

মানুষ ইসলামের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে : চরমোনাই পীর

লা লিগায় আবারও হোঁচট খেল রিয়াল

হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

এসির রিমোটে লুকানো ‘গোপন’ সুইচে বিদ্যুৎ বিল হবে অর্ধেক

১২ হাজার কোটি টাকার তিস্তা প্রকল্প, সমাধান নাকি নির্বাচনী কৌশল?

যুবদল নেতার উদ্যোগে বেহাল সেতু মেরামত

১০

খালি পেটে পানি খেলে শরীরে আসলে কী ঘটে, বিজ্ঞান যা বলছে

১১

ভারত মাতিয়ে গেলেন জেনিফার লোপেজ

১২

প্রসূতির চিকিৎসায় নার্স, নবজাতকের মৃত্যু

১৩

পদ্মা নদীতে অভিযান

১৪

প্রেম গুঞ্জনে রাম-ভাগ্যশ্রী

১৫

মেসির জাদুতে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে মায়ামি

১৬

পেশোয়ারে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা, নিহত ৬

১৭

সৌদিতে মৃদু ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল ইরাকও

১৮

জবির বাসে জায়গা হয়নি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১৯

কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

২০
X