এবার সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইসরায়েল। এরপরই সিরিয়া ও ইরাকেও বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর আসতে শুরু করেছে।  ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ সিরিয়ার আদ্রা শহর ও কারফা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত একটি রাডার ব্যাটালিয়নে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া আদ্রা এবং আল-থালা সামরিক বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ইরাকের আল-ইমাম এলাকায়ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে এসবের জন্য দায়ীদের নিশ্চিত করতে পারেনি আলজাজিরা। সিরিয়ার সরকারবিরোধী একটি ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী রায়ান মারুফ বলেন, ‘সিরিয়ার সেনাবাহিনীর রাডার অবস্থানে হামলা হয়েছে। তবে কারা এটি করেছে জানি না।’ মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ জানায়, ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরাইলের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে এ হামলা চালানো হয়। গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সিনেটরের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেওয়া হয়।  এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরান, ইস্ফাহান, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সিরিয়া থেকে নিজেদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইরান
ফিলিস্তিনে-ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য। এ অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় হামলা পাল্টা হামলা চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সিরিয়া থেকে নিজেদের শীর্ষ কর্তকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইরান। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট ৫টি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের রেভুলেশনারি গার্ড বাহিনী সিরিয়ায় নিয়োজিত তাদের সিনিয়র কর্মকতাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর ফলে অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে তারা মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  সিরিয়া যুদ্ধের সময় থেকে দশকজুড়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পাশে রয়েছে ইরান। তবে গত ডিসেম্বরেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে দেশটির অর্ধডজন সেনা নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গার্ড বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।  সংশ্লিষ্ট ৩টি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, তেহরানের কট্টরপন্থিরা এ হামলার জবাব দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে ইরানের সিন্ধান্ত হলো তাদের কর্মকর্তাদের সরিয়ে আনা। যদিও তাদের এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। কেননা তেহরানের প্রভাব বলয়েরই একটি অংশ এটি।  এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সিরিয়ায় বিমান হামলায় ইরানের চার শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হন। দেশটির রাজধানী দামেস্কে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী এ বিমান হামলা চালায়। এরপর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে আলজাজিরা জানায়, আইআরজিসির গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার ভবনটিতে আইআরজিসির এক সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার সহকারী ছিলেন। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় বেশ কয়েকজন সিরিয়ান সেনা ও চার সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন। নিহতদের চারজনের নাম হাজ্জাতুল্লাহ ওমিদভার, আলী আহজাদেহ, সাইয়্যেদ কারিমি এবং হুসেইন মুহাম্মদ। তবে এসব কর্মকর্তাদের র‌্যাংক উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর ইরানের সংবাদমাধ্যম ইরনা জানায়, সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজি) এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একাধিক সূত্রের বরাতে জানায়, নিহত ওই কমান্ডারের নাম সাইয়্যেদ রাজি মোসাভি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উপদেষ্টা এবং ইরান ও সিরিয়ার সামরিক জোটের সমন্বয়ক ছিলেন। দামেস্ক উপকণ্ঠে হামলায় তিনি নিহত হন। মোসাভি ইরানের অন্যতম নেতা কাসেম সোলাইমানির একান্ত কাছের সঙ্গী ছিলেন। আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক এ কমান্ডার ২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানায়, মোসাভি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। এ ছাড়া শহীদ কাসেম সোলাইমানিরও একান্ত শিষ্য ছিলেন তিনি। সিরিয়ায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য রসদ সহায়তার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।  
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X