১৫ লক্ষ টাকার ওষুধসহ তিয়ানশি কোম্পানির অফিস সিলগালা
সাতক্ষীরায় বিএসটিআই’র অনুমোদন বিহীন ওষুধ সামগ্রী রাখার অভিযোগে ১৫ লক্ষ টাকার ওষুধসহ তিয়ানশি কোম্পানির সাতক্ষীরা অফিস সীলগালা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া তিয়ানশির ডিস্ট্রিবিউটর শফিকুল ইসলাম ও তুহিনুজ্জামানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার (৩১ মার্চ) বিকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এ সাজা প্রদান করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)’র সাতক্ষীরা অফিসের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের ইসলাম টাওয়ারে তিয়ানশি কোম্পানির অফিসের অভিযান চালানো হয়। এসময় বিএসটিআই অনুমোদন বিহীন ওষুধ সামগ্রী রাখার অভিযোগে তিয়ানশি কোম্পানির সাতক্ষীরা অফিস ১৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন বিহীন ওষুধসহ সিলগালা করা হয়। শাহনেওয়াজ তানভীর বলেন, এছাড়া লেবেল বা সীল বিহীন ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুইজন ডিস্ট্রিবিউটর নলতা গ্রামের শেখ আমানুল্লাহর ছেলে তুহিনুজ্জামান (৪০)কে ১০ হাজার টাকা এবং শহরের মুনজিতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫)কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। অনাদায়ের তিন মাসের জেল প্রদান করা হয়েছে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লার হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেই লিফট সিলগালা
নানা অনিয়মের দায়ে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে রোগী নিয়ে বন্ধ হওয়া ভাইরাল সেই লিফটিও সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।  এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ মনজুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাহাত বিন কাশেম ও মেহেদী হাসান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা জানান, কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল কুমিল্লা টাওয়ার ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট লিফট দায়সারা মেরামতের কাজ করেই রোগীসহ তাদের আত্মীয়স্বজনদের ওঠানামা করাচ্ছিল বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে অভিযোগ আসে। এ রকম বারবার ঝুঁকি নিয়ে রোগী ওঠানামা করানোর সময় অতি সম্প্রতি দুবার লিফট বন্ধ হয়ে রোগী আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।   ‘আজ পর্যবেক্ষণে এসে দেখা গেছে, সেই লিফ্টটি স্থায়ীভাবে মেরামত না করেই আবার রোগী ওঠানামার কাজ চলছিল। একই লিফট ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় সেটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। তাদেরকে গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী দিয়ে এই লিফ্ট চলাচলের উপযোগী কিনা প্রত্যয়ন নিয়ে চালু করতে হবে।’ বলেন তিনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভবনটির বেজমেন্টে অন্তত ১৩টি ডাক্তারের চেম্বার চালু রেখেছিল, যা নিয়মবহির্ভূত। সেগুলোকেও বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নানান অনিয়মের দায়ে এই হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।   উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল যা কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতাল নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে রোগীসহ অন্তত তিনবার লিফট আটকে পড়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
২৯ মার্চ, ২০২৪

রমজান মাসকে অসম্মান / ইরানে শতাধিক দোকান সিলগালা
রমজানের পবিত্রতা লঙ্ঘন করায় বিভিন্ন শহরে শতাধিক দোকান সিলগালা করে দিয়েছে ইরান।  সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘনের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসকে অসম্মান করার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে ইরানিদের জনসম্মুখে খাওয়া, মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে, এমনকি তাদের গাড়ির ভেতরেও এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তাদের। আর তা না হলে ইরানের ইসলামিক দণ্ডবিধির ৬৩৮ ধারা অনুযায়ী রোজার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্তকে ১০ থেকে ৬০ দিনের কারাদণ্ড বা ৭৪টি পর্যন্ত বেত্রাঘাত শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। ইরানে এই আইন ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের প্রায় ১২ বছর পরে ইরানে এই আইন বাস্তবায়িত হয়। ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলছে, হামেদানের প্রসিকিউটর হাসান খানজানি গত শনিবার ‘রমজানের নিয়ম মেনে না চলার’ জন্য একটি ফুড কোর্টসহ ৬৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই ভাবে রে-এর পুলিশ কমান্ডার বলেছেন, ‘রমজানের সময় স্থাপনাগুলোতে তত্ত্বাবধানের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২৪টি নিয়ম অমান্যকারী এবং রমজানের নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিল করে দেওয়া হয়েছে।’ এই ঘটনায় আরও ৭৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি মার্চের মাঝামাঝিতে ইরানি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানের বাধ্যতামূলক নীতি পালন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আবহার, জাঞ্জান প্রদেশে চারটি রেস্তোরাঁ এবং খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুলে ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
২৫ মার্চ, ২০২৪

অবৈধ সিএনজি পাম্প ফিলিং স্টেশন সিলগালা
বগুড়ার শেরপুরে কাভার্ডভ্যানে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্থাপন করা ভ্রাম্যমাণ সিএনজি পাম্প ও অনুমোদনহীন ফিলিং স্টেশন সিলগালা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ সময় ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম ও আবু নাঈম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার ভবানীপুর বাজারে অবস্থিত ফাহিম সিএনজি পাম্প ও রানীরহাট এলাকার ফারজানা ফিলিং স্টেশনে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন-উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের কর্মকর্তা নাদের হোসেনসহ পুলিশ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও সদস্যরা। গতকাল রোববার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম বলেন, কোনো প্রকার অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়াই উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি পাম্প (ফাহিম সিএনজি পাম্প) বসিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছিল, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে প্রস্তাবিত ম্যাপ ও টেকনিক্যাল রিকয়ারমেন্টের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এমনকি কোনো টেকনিশিয়ানও নেই। একইভাবে রানীরহাট এলাকায় লাইসেন্স ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল ফারজানা ফিলিং স্টেশন। পাশাপাশি একই কক্ষে রয়েছে জেনারেটর, ১০টি সিএনজি সিলিন্ডার, পুরো অফিসের সব বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার।
১৮ মার্চ, ২০২৪

বগুড়ায় মুরগির পচা মাংস জব্দ, হোটেল সিলগালা
বগুড়ায় মরা মুরগির পচা মাংস সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে স্থানীয় একটি ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে রুচিতা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নামে ওই হোটেল সিলগালা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের নবাববাড়ি সড়কে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী। এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. রাসেল  উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অভিযানে পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী খান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী জানান, দুপুরে রুচিতা হোটেল থেকে মিলন চন্দ্র মোহন্ত নামে এক কর্মচারী ৩০ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়ে ফতেহ আলী বাজারে প্রক্রিয়াজাত করতে যায়। এ সময় বাজারের লোকজন মুরগিগুলো মরা ও পচা বলে অভিযোগ করে প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। মুরগিগুলো খাওয়ার অযোগ্য ছিল। তিনি জানান, এসব অপরাধে রুচিতা হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করা হয়।
১৬ মার্চ, ২০২৪

সিলগালা ক্লিনিকে খতনা আরেকটি প্রাণ ঝুঁকিতে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারিভাবে সিলগালা করা একটি ক্লিনিকে খতনা করাতে গিয়ে আরেক শিশুর জীবন সংকটাপন্ন। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় রক্তক্ষরণ হতে থাকলে শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। জানা যায়, নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক। গত বুধবার সন্ধ্যায় ১৩ বছর বয়সী ছেলে তামিম মিয়াকে খতনা করাতে সেখানে যান ওই উপজেলার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী পারভীন বেগম। ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে তামিমের খতনা করেন ডা. জহিরুল ইসলাম জয়। তবে খতনার সময় পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলায় রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তামিমকে সিলেট পাঠানো হয়। এ সময় তামিমের স্বজনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তামিমের চাচা হারুন মিয়া। হাসপাতাল মালিক সোহুল আমিন জানান, রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত রোগীকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। দুর্ব্যবহার নয়, মোবাইল ফোনে ভিডিওধারণকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তামিমের মা পারভীন বেগম জানান, আমার ছেলেকে ডাক্তাররা তাদের জিম্মায় সিলেট আল হারামাইন হসপিটালে ভর্তি করেছেন। তারা বলছেন, আমার ছেলে ভালো হয়ে যাবে, চিন্তা না করতে। চিকিৎসার সব খরচ তারা দেবেন। আমি আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই। নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করার পর মৃত্যু হয় শিশু আয়ানের। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়নের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে খতনার সময় চিকিৎসকদের ভুল করার বিষয় উঠে আসছে। এর মধ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় আয়হাম নামে আরেক শিশু।
০৮ মার্চ, ২০২৪

সিলগালা ডায়াগনস্টিক খুলে খতনা, মৃত্যু শঙ্কায় শিশু
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করানোর পর এক শিশুর জীবন এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকে সিলেটের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস। অথচ নিবন্ধন না থাকায় ১৫ দিন পূর্বে হাসপাতালটি সিলগালা করে মোবাইল কোর্ট। সরকারি আদেশ অমান্য করে মালিক পক্ষ সিলগালা খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তামিম মিয়াকে (১৩) খতনা করাতে সেখানে যান ওই উপজেলার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী পারভীন বেগম। ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তামিমের খতনা করেন ডা. জহিরুল ইসলাম জয়। কিন্তু খতনার সময় পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হলে তামিমকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট পাঠানো হয়। পরে এ ব্যাপারে তামিমের স্বজনরা ওই হাসপাতালে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বুধবার রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তামিমের চাচা হারুন মিয়া। এতে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। তবে হাসপাতাল মালিক সোহুল আমিন জানান, রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত রোগীকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। আর দুর্ব্যবহার নয়, মুঠোফোনে ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খুলা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এটা আমরা ১৫ দিন আগ সিলগালা করা হয়েছিল।   নবীগঞ্জ উপজেলা টিএইচও ডা. আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদনহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছে। আজকে কেন কে বা কারা খুলছে আমরা বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। আমাদের করণীয় যা করার তা করেছি। এখন পর্যন্ত মামলা রের্কড করা হয়নি, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। রোগী এখন চিকিৎসাধীন আছে।
০৭ মার্চ, ২০২৪

ডিএনসিসির অভিযান / দুটি রেস্তোরাঁ সিলগালা ও আটটিকে জরিমানা 
অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুটি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করায় ৮টি রেস্তোরাঁ থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা এলাকার বেশকিছু রেস্তোরাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর অন্তর্গত গুলশান ও ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন। অভিযান পরিচালনাকালে গুলশান-১ এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয় এবং আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় অন্য একটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার পাওয়ায় এবং দায় স্বীকার না করায় একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও অভিযানে মাদানি অ্যাভিনিউ ও ভাটারা এলাকায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। অঞ্চল-২ এর অন্তর্গত মিরপুরের রূপনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। অভিযানে একটি রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় আরও ৩টি রেস্তোরাঁকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অঞ্চল-৬ এর অন্তর্গত উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান। ৪টি রেস্তোরাঁয় যথাযথ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্ন ও বাসি খাবার বিক্রি করায় মোটি ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  অঞ্চল-১ এর অন্তর্গত উত্তরা সেক্টর-৭ এর ৫ নম্বর রোডে বিএনএস সেন্টার শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান। অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিবৃন্দ। শপিং মলটিতে ফায়ার সার্ভিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়েছে।  এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
০৫ মার্চ, ২০২৪

এবার সুলতান’স ডাইন সিলগালা
রাজধানীর বেইলি রোডের বিভিন্ন আবাসিক ভবনে গড়ে তোলা রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময় সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেয় সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন।  তিনি বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা অভিযানে এসেছেন। রেস্তোরাঁগুলোয় আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। রেস্তোরাঁয় আগুন জ্বালিয়ে খাবার রান্না করা হয়, গ্যাসের ব্যবহার হয়। সেজন্য আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না দেখছি। পাশাপাশি অন্যান্য নিয়ম মানা হচ্ছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে। রাজউকের কর্মকর্তারা জানান, রেস্তোরাঁটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে তারা দাবি করেছেন, তাদের সব কাগজপত্র আছে। তাই আপাতত রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এ ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ, ২০২৪

খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, সাততলা ভবন সিলগালা
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ করায় একটি সাততলা ভবন সিলগালা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় খিলগাঁওয়ে অভিযান শুরু করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভবনটি সিলগালা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম এই আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানের শুরুতে খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকী সড়কের সি ব্লকের ৫৬৬/এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দুপুর ১২টায় এই রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন আদালত অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা। এই রেস্তোরাঁয়ও মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনের সামনে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী ‘এই ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরেজমিনে এই ভবনের প্রতিটি তলায় একটি করে রেস্টুরেন্ট দেখা গেছে। নিচতলায় ছিল একটি গার্মেন্টসের শো-রুম। আর পার্কিংয়ের জায়গায় একটি রেস্টুরেন্টে নির্মাণকাজ চলতে দেখা গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার সকাল থেকে খিলগাঁওয়ের রেস্তেরাঁগুলায় অভিযান চালায় রাজউকের জোন ইন্সপেক্টররা। এ সময় ৩৬৮/বি খিলগাঁও, স্কাই ভিউ নাজমা টাওয়ারের ৯টি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে সটকে পারে রেস্টুরেন্ট মালিকরা। এ ছাড়া আল আকসা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ইজা রেস্টুরেন্ট, পপাইজ কফি অ্যান্ড ফাস্টফুড, কোকো ক্যাফে, বিএফসি, হারফি রেস্টুরেন্টসহ আরও কয়েকটিতে অভিযান চালায় রাজউক।  এসময় রেস্টুরেন্ট নির্মানের অনুমতিপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ারসার্ভিসের অনুমতিপত্র দেখাতে না তাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধে মৌখিক নির্দেশনা দেয় রাজউক। রাজউকের অঞ্চল-৬ এর ইন্সপেক্টর রকিব উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযানের সময় অধিকাংশ ভবনেরই নকশাসহ বাকি কাগজপত্র দেখতে পায়নি। কিছু ভবনের নকশা ও রেস্টুরেন্টের অনুমতি থাকলেও তাদের কিচেনের অনুমতি ছিল না। ফলে তাদের মৌখিকভাবে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বলেছি। এদিকে মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্টেটের অভিযানের আগাম খবর পেয়ে খিলগাঁও এলাকার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ এদিন সকাল থেকেই খোলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, খিলগাঁওয়ে গড়ে ৯০ শতাংশ রেস্তোরাঁ আবাসিক বাসা-বাড়িতে গড়ে উঠেছে। ফলে এলাকাটি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে, যা রাজউকের আইন অনুযায়ী অবৈধ। সি-ব্লকের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর সোমবার ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকার চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো হবে, ব্যবসায়ীরা তা আগে থেকেই জানতে পেরেছেন। ফলে সকাল থেকে তেমন কোনো রেস্তোরাঁই খোলেনি। অথচ এই শহীদ বাকী সড়কে শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। এদিন এ সড়কের অন্যান্য রেস্তোরাঁও বন্ধ দেখা যায়। এসব বন্ধ রেস্তোরাঁ যেসব ভবনে অবস্থিত সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
০৫ মার্চ, ২০২৪
X