গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দগ্ধ হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন জহিরুল ইসলাম (৪০), মোতালেব (৪৫), শিশু সোলায়মান (৯) ও রাব্বি (১৩)। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১০ জন মারা গেলেন।  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোববার রাত ১২টার দিকে জহিরুল ইসলাম, আড়াইটার দিকে মোতালেব, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিশু মো. সোলায়মান ও পৌনে ৭টার দিকে রাব্বি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। চারজন মৃত ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার ভেড়াখোলা গ্রামের আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শিশু সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভালোকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। শিশু রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার তারতিয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে। তারা সবাই ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। জানা যায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা ৬৫-৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, গত ১৫ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইবা (৩), আরিফুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল (২৪), নার্গিস খাতুন (২২), মনসুর আলী ও সোলাইমান মোল্লা মারা যান। আরিফুল গার্মেন্টস কর্মী ও মইদুল কারখানায় কাজ করতেন। আগুনে নিহত মাইদুলের শরীরের ৯৫ ভাগ এবং আরিফুলের ৭০ ভাগ পড়ে গিয়েছিল। গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৬ জন দগ্ধ হন।
১৮ মার্চ, ২০২৪

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত বেড়ে পাঁচ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যেমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহরা হলেন আরিফুল ইসলাম (৪০) ও মহিদুল ইসলাম (২৫)। তারা দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান- দগ্ধ আরিফুল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) রোববার ভোর ৫টার দিকে এবং মহিদুল পৌনে ৭টার দিকে মারা যান।  এর আগে শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ শিশু তাইবা (৩) মারা যায়। উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন অন্তত ৩৫ জন।  
১৭ মার্চ, ২০২৪

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজন। নিহত রবি আলম (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের ৬নং কক্ষের বাসিন্দা ছিল। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা (৩) নামে আরও এক শিশু মারা যায়। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এ নিয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, জোবায়দা (২২), রশমিদা (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল (৪) নামে এক শিশুকে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা এবং সন্ধ্যার দিকে রবি আলম নামে আরও এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে রোসমিনার ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাচেষ্টা, আহত ১০
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাচেষ্টাকালে দেড় বছরের এক শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।  সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের কাওটাইল ঋষিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, সঞ্জয় চক্রবর্তীর ছোট ভাই দেবা তাদের নিজেদের চার তলা বিল্ডিংয়ের নিচে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বিস্ফোরণে হত্যাচেষ্টাকারী দেবাসহ ১০ জন অগ্নিদগ্ধ ও দেয়াল চাপা পড়ে আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সে নেশার টাকার জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুর মোহাম্মদ পলাশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের সাতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চার তলা বিল্ডিংটি একদিকে হেলে গেছে। আহতরা হলেন, বাড়ির মালিক উমা রানী (৬৫), তার মেয়ে বিনা রানী (৪০) নাতি পিনাক চক্রবর্তী (১৪), ছোট ছেলে দেবা চক্রবর্তী (২৬), পার্শ্ববর্তী বাড়ির তারা রানী (২২), তাপশ (৩০) , রাখি রানী (২৩), লিপি (২৭), পথচারী স্বপন রাজ বংশী (৬০) এবং দেড় বছরের শিশু নিঝুম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। বিস্ফোরণের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবীর জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাচেষ্টার বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। তদন্তকাজ চলছে। মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান। 
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন ধরে যায়। এতে আশপাশের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের পাশে চিশতিয়া বাউল সমিতি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকির মিয়ার খাবার হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুন আশপাশের কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।  আদমজী ইপিজেড ফায়ার স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।’
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
X