অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা
দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। কোতোয়ালি থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১০টি সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নগরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে চমক দেখিয়েছেন। এবার ঈদের আগেই নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জিরো টলারেন্সে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান। মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরো আধুনিকায়ন করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন 'বাংলাদেশ পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিলো না। এ নজরদারী সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরো স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে। পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানান, ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে কয়েকটি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা রয়েছে। এগুলোতে চিহ্নিত অপরাধীদের ছবি কিংবা যানবাহনের নম্বর ইনপুট করে রাখলে ক্যামেরাগুলো ওই ব্যক্তি ও যানবাহনকে সহজে শনাক্ত করতে পারবে এবং সতর্কতামূলক সংকেত দেবে। এতে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এর আগে ২০২১ সালে ১১০টি ক্যামেরা প্রদান করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২ বছর এ ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় পুলিশের নজরদারী কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে সিলেট মহানগর পুলিশের অনুরোধে দরপত্র আহবান করে সিসিক। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে মেরামত ও নতুন ২০টি প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৮ মার্চ, ২০২৪

নাশকতা রোধে ২৪ ট্রেনে বসছে সিসি ক্যামেরা
যাত্রীবাহী বিভিন্ন ট্রেনে বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ২৪টি ট্রেনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নাশকতা এড়াতে রেলের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন যাত্রীরা। জানা যায়, রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ হাজার যাত্রী নিয়ে ৩৭ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে। এসব ট্রেন ও তার যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ঢাকাগামী ১৬টিসহ মোট ২৪টি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে।  এর আগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে এই কাজ শুরু হয়। পূর্বাঞ্চলের সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেনগুলোতে লাগানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ট্রেনের ভেতর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা নাশকতার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ঢাকাগামী ১৬টি, ৬টি আন্তঃনগর ও রূপসা-সীমান্তসহ ২৪টি ট্রেনকে আনা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। কোচগুলোর ভেতরে সিসি ক্যামেরা থাকলেও এবার ট্রেনের বাইরে স্থাপন করা হবে ক্যামেরা। এর ফলে ট্রেনসহ নিশ্চিত করা হবে যাত্রীর নিরাপত্তা।  এ বিষয়ে রেল কর্মকর্তারা জানান, সিসি ক্যামেরা বসানো হলে সার্বিক নিরাপত্তাসহ ট্রেনের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, এর ফলে কমবে নাশকতা। সেইসঙ্গে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে দ্রুত চিহ্নিত করার পাশাপাশি আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। রাজশাহী থেকে খুলনাগামী রূপসা ট্রেনের যাত্রী আহসান হাবিব বলেন, ট্রেনে সাম্প্রতিক কিছু নাশকতার ঘটনায় মনের মধ্যে ভীতি কাজ করছিল। কর্তৃপক্ষের সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্তে যাত্রী হিসেবে এখন নিরাপত্তাবোধ করছি। রাজশাহী থেকে ঢাকগামী ট্রেনের যাত্রী আলাল উদ্দিন বলেন, সিসি ক্যামেরার ফলে নাশকতার আর কোনো ভয় থাকবে না। ধরা পড়ার ভয়ে এখন কেউ নাশকতার চেষ্টা করবে না। আমাদের জন্য উপকারী হবে এই সিসি ক্যামেরা। পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে শুধু যাত্রীরা নিরাপদ হবেন না বরং ট্রেনের বাইরে এবং ভেতরে থাকা রেল সদস্যরাও আসবেন নজরদারির আওতায়। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্ল্যান দেখে এবং সেই প্রতিবেদনটা দেওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে ঢাকাগামী ১৬টি ট্রেন ও রূপসা-সীমান্তসহ সর্বমোট ১৮টি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাকশী রেলওয়ে পুলিশের সুপার শাহাব উদ্দিন বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে ট্রেনের ভেতরে ও বাইরে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। জনবলের স্বল্পতা থাকলেও আমরা যাত্রী এবং ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। তাই ট্রেন এবং যাত্রী উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

কড়া পাহারায় স্থগিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে, আছে সিসি ক্যামেরা
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের স্থগিত ভালুকাপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় লাগানো হয়েছে দশটি সিসি ক্যামেরা। মোতায়েন রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই শতাধিক সদস্য। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভালুকাপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি আসনটির সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভোট বাতিল এবং ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়। এতে করে আসনের নির্বাচনী চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা আটকে যায়। এদিকে আসনের ৯২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯১ ভোটকেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। নৌকার প্রার্থী ৯৮৫ ভোটে পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। স্থগিত হওয়া ভালুকাপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোট ৩ হাজার ৩২ জন। পুরুষ ভোটার ১৫৩০ জন ও নারী ভোটার ১৫০২ জন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাতটি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে ১০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই শতাধিকের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। কেন্দ্রে ভোট নিতে একজন প্রিসাইডিং অফিসার, সাতজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৪ জন পোলিং কর্মকর্তা  নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরাই আমাদের সিসি ক্যামেরা
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করছি। তারা ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার কাজ করবেন। গতকাল নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ইসি এ মন্তব্য করেন। ইসি রাশেদা আরও বলেন, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্র থেকে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবেন, তবে এ ক্ষেত্রে যেন ভোট কার্যক্রমে কোনো ক্ষতি না হয়, সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এত বড় মহাযজ্ঞ নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই আমাদের বড় শক্তি। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মহাযজ্ঞ আমরা কখনোই সম্ভব করতে পারব না। তিনি বলেন, লিফলেট বিতরণ করাটা বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত তারা করতেই পারে, এটা ফৌজদারি অপরাধ নয়। এটি সহিংসতায় চলে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমান, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

তফসিলের পর উড়বে ড্রোন, বাসে বসবে সিসি ক্যামেরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিলের পর নাশকতা ঠেকাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ নিয়ে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর ওপর ড্রোন উড়িয়ে বিশেষ নজরদরি করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরে এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসগুলো আসবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস.) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তফসিল ঘোষণার পর নাশকতা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। এদিকে সব কিছু ঠিক থাকলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বুধবার (১৫ নভেম্বর)। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি কমিশনার আইনের মধ্যে থেকে সহিংসতা ঠেকানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো অবস্থাতেই পুলিশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রচারণা হয়—এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় বাসে আগুন ঠেকানোকে জোর দিয়ে প্রতিটি ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলমান অবরোধে রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণা হলে আরও বেশি জোরদার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাগুলোতে থাকবে পোশাকধারী পুলিশি টহল, বাড়বে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

বশেমুরবিপ্রবিতে সিসি ক্যামেরা থাকলেও মিলছে না ফুটেজ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হলের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও প্রয়োজনীয় সময়ে মিলে না ফুটেজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ৬ নভেম্বর দুপুরে শেখ রাসেল  হলের ৩০৩ নং রুমে আটকে রেখে ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। হলের মধ্যে সবকিছু ঘটলেও মেলেনি কোনো সিসিটিভির ফুটেজ। এই ঘটনায় হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য ফুটেজ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও গত ২৩ আগস্ট হল থেকে আবাসিক এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ চুরি হলেও সেই ঘটনারও মেলেনি সিসিটিভির ফুটেজ। এই বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট এমদাদুল হক জানান, ‘অন্যান্য সব সময় ফুটেজ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বডির সবাই দেখেছে আমরা টেকনিক্যাল কারণেই পায়নি। চলতি মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত ফুটেজ আছে কিন্তু ৬ তারিখ থেকে কারিগরি ত্রুটির জন্য মারধরের ফুটেজ পাওয়া যায়নি।’
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

কেরানীগঞ্জে ৫ ইউনিয়নে ২০০ সিসি ক্যামেরা
ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নকে ২০০ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় গতকাল কেরানীগঞ্জের সেমন্তী কনভেনশন হলে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে ১০ কোটি টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন। এ চেক গ্রহণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। কেরানীগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বসুন্ধরা গ্রুপকে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এ ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরানীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলিগলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করব। এর মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জের মানুষকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থেকে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, শিগগির ক্যামেরা স্থাপনের সুফল কেরানীগঞ্জের মানুষ পাবে। এতে করে পুলিশের পক্ষেও অপরাধীদের শনাক্ত করা সহজ হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, এখন থেকে অনেকগুলো চোখ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কেরানীগঞ্জের মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। সেই চোখগুলোর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান, চিফ প্রটোকল অফিসার মেজর (অব.) মোহসীনুল হাকিম, একান্ত সচিব এমডি আমিনুল ইসলাম ও ডিজিএম মো. শ্যামল।
১০ নভেম্বর, ২০২৩

নয়াপল্টনে সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ
আগামীকাল ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাস্তার দুই পাশে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকেই এই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।  শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, পুরো সড়কে ৬০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য মেলেনি। এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। ওই সময় দলের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ের বাইরে দেখা যায়। এ সময় নেতাকর্মীদের ভিড়ের মাঝে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি দেখা মেলে বিএনপির দলীয় পতাকার। এদিকে মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় সুরক্ষা পোশাক পরে পুলিশের বেশকিছু সদস্যকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এদিকে পুলিশি গ্রেপ্তার, হয়রানি ও তল্লাশি এড়াতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা অনুসরণ করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ঢাকায় মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যে যাওয়া নেতাকর্মীদের দলবদ্ধভাবে না যাওয়া, হোটেল-মেসে না থাকা, স্মার্ট ফোন না ব্যবহার করাসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহাসমাবেশ ঘিরে গত দুদিনে বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তারা আশঙ্কা করছেন, যাত্রাপথে তাদের বাধা ও হয়রানি করা হতে পারে। এ জন্য কৌশলে ঢাকায় ঢুকছে দলটির নেতাকর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছে বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যাকে ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
X