মিয়ানমারের গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্টমার্টিন
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। ওপারের বিকট শব্দে সেন্টমার্টিনের বাড়িঘর কাঁপছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর থেকে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন বলেন, বিকেল ৩টার পর থেকে গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গুলিগুলো বাড়ির ওপরে পড়ছে। জেলেরা ভয়ে মাছ শিকার না করে সাগর থেকে কূলে চলে আসছেন। আরেক বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, একের পর এক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দে সেন্টমার্টিনের মাটি পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বিকেল ৩টার পর থেকে ওপারে গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্টমার্টিন। এখানকার স্থানীয়রা অনেক আতঙ্কে আছেন। তবে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।  তবে সীমান্তের পরিস্থিতির কারণে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ওপারের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সেন্টমার্টিন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা লড়াইয়ের আঁচ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আর কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে কমে এলেও নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে টেকনাফ সীমান্তে। গতকাল শুক্রবারও টেকনাফের নাফ নদের ওপার থেকে গোলাগুলি ও ভারি বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছিল। মিয়ানমারের আকাশে চক্কর দিতে দেখা গেছে হেলিকপ্টার। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গতকাল সকাল ৭টা থেকে নাফ নদ-তীরবর্তী অঞ্চল ও সেন্টমার্টিন থেকে মিয়ানমারে চলা গোলাগুলির শব্দ আসতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ আসছিল। এতে রীতিমতো দ্বীপ এলাকা কেঁপে ওঠে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের দক্ষিণ দিকের মিয়ানমার সীমান্ত থেকে থেমে থেমে আসছিল গুলির শব্দ। নাফ নদের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ঘিরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়েছে। সেখানে মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা গ্রামেই এসব গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি ফাঁড়ি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ফাঁড়ি ঘিরে সংঘাত চলছে। মাসখানেক ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে দুগ্রুপের সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে এর আঁচ পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীর মধ্যেও। ওপার থেকে উড়ে আসা মর্টার শেলে প্রাণ যায় বাংলাদেশি এক নারীসহ দুজনের। গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে চলে যেতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। লড়াইয়ে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ ৩৩০ নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। অবশ্য আলোচনা চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই নাগরিকদের মিয়ানমারে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। গত কয়েকদিন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। বাসিন্দারাও ফিরেছেন ঘরে। তবে ফের নাফ নদ সংলগ্ন সীমান্ত থেকে গোলার শব্দে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেন্টমান্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাতভর গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতি সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানান, নাফ নদের পূর্ব ও দক্ষিণাংশের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে গতকাল সকালে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে ওঠে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মাঝে-মধ্যে মাটি কাঁপানো শব্দও শুনেছেন। সকালের ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। শাহপরীর দ্বীপের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গফুর জানান, শাহপরীর দ্বীপের ওপারে মিয়ানমারের মংডুতে গতকাল সকালে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ পর বিকট দুটি শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাজারপাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সকালে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে উঠেছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’ সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এত দূর থেকেও গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।’ টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওপারের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সেন্টমার্টিন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা লড়াইয়ের আঁচ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আর কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে কমে এলেও নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে টেকনাফ সীমান্তে। গতকাল শুক্রবারও টেকনাফের নাফ নদের ওপার থেকে গোলাগুলি ও ভারি বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছিল। মিয়ানমারের আকাশে চক্কর দিতে দেখা গেছে হেলিকপ্টার। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গতকাল সকাল ৭টা থেকে নাফ নদ-তীরবর্তী অঞ্চল ও সেন্টমার্টিন থেকে মিয়ানমারে চলা গোলাগুলির শব্দ আসতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ আসছিল। এতে রীতিমতো দ্বীপ এলাকা কেঁপে ওঠে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের দক্ষিণ দিকের মিয়ানমার সীমান্ত থেকে থেমে থেমে আসছিল গুলির শব্দ। নাফ নদের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ঘিরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়েছে। সেখানে মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা গ্রামেই এসব গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি ফাঁড়ি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ফাঁড়ি ঘিরে সংঘাত চলছে। মাসখানেক ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে দুগ্রুপের সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে এর আঁচ পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীর মধ্যেও। ওপার থেকে উড়ে আসা মর্টার শেলে প্রাণ যায় বাংলাদেশি এক নারীসহ দুজনের। গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে চলে যেতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। লড়াইয়ে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ ৩৩০ নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। অবশ্য আলোচনা চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই নাগরিকদের মিয়ানমারে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। গত কয়েকদিন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। বাসিন্দারাও ফিরেছেন ঘরে। তবে ফের নাফ নদ সংলগ্ন সীমান্ত থেকে গোলার শব্দে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেন্টমান্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাতভর গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতি সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানান, নাফ নদের পূর্ব ও দক্ষিণাংশের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে গতকাল সকালে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে ওঠে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মাঝে-মধ্যে মাটি কাঁপানো শব্দও শুনেছেন। সকালের ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। শাহপরীর দ্বীপের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গফুর জানান, শাহপরীর দ্বীপের ওপারে মিয়ানমারের মংডুতে গতকাল সকালে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ পর বিকট দুটি শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাজারপাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সকালে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে উঠেছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’ সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এত দূর থেকেও গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।’ টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এবার সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে মর্টার শেল, গুলির বিকট শব্দ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে এবার মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা গেছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন শাহপরীর ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলা ১১টা পর্যন্ত গুলির ঘটনা অব্যাহত ছিল।  শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা গৃহিণী রহিমা খাতুন বলেন, ফজরের নামাজের পর থেকে কোথা যেন গোলাগুলির শব্দ আসছিল। প্রথমে বজ্রপাতের শব্দের মতো মনে হয়েছিল। পরে দেখি গোলাগুলি হচ্ছে। ভয় পেয়ে আমরা ঘরে ঢুকে গিয়েছিলাম। কৃষক দিল মোহাম্মদ বলেন, ভোরে আমি নাফ নদের পাশে ক্ষেতে কাজ করতে যাই। ওই সময়ে মিয়ানমার থেকে গুলির শব্দ শুনি। ঘণ্টা খানেক সময়ে অন্তত এক শ-য়ের বেশি গুলির শব্দ শুনেছি। এর আগে কখনো সীমান্ত থেকে এভাবে গুলির শব্দ শোনা যায়নি। এদিকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও ভোর থেকে মর্টার ও গুলির শব্দ শুনেছেন। এলাকার অনেক লোকজন প্রথমবার গুলির শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যান। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, এই প্রথমবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলির শব্দ নিজে শুনলাম। অনেক ভারি শব্দ। দ্বীপের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এদিকে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, এপারে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার আশঙ্কায় আছি। পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ অন্যদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তবে সীমান্তে কোস্ট গার্ড-বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা গুলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গুলাগুলি হচ্ছিল। অপরদিকে অন্যান্য দিনের মতো হোয়াইক্যং, উলুবুনিয়া, হ্নীলা, নয়াপাড়ায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন পর্যটকরা
মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন পর্যটকরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকরা বিকল্প এ পথ ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। এর আগে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, শনিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য। যেহেতু মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলমান। সব স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবার এ পথে জাহাজ চলতে পারবে।   তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা চাইলে এখন কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। সেখানে ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শনিবার থেকে যে বিকল্প পথে যেতে পারবেন সেন্টমার্টিন
মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে। পর্যটকরা এ বিকল্প পথ ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। প্রশাসনের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আগামী শনিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য। যেহেতু মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে। কেউ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাইলে এসব পথে ভ্রমণ করতে পারবেন। আদনান চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষসহ পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সব জাহাজ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে বুধবার বিজিবির মহাপরিচালক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে চলাচলকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করা যাবে না। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদনান চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  তবে চট্টগ্রাম থেকে যে দুটি জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিন আসে সেগুলো চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তিন দিন সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও ৬ জানুয়ারি বিকেল থেকে তিন দিন সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকবে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচনকালীন বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ করতে ৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসও বন্ধ থাকবে। একইভাবে ৬, ৭ এবং ৮ ডিসেম্বর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটেও সব জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসও। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৮টা পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট হতে এসব জাহাজ সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসা করে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সম্ভাব্য বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাহাজ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া। এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে দ্বীপ ভ্রমণে যান প্রায় ১ হাজার পর্যটক। একই দিন বিকেলে ৭০০ পর্যটক দ্বীপ ছাড়লেও বাকিরা সেখানে রাত্রিযাপন করেন। বিআইডব্লিউটিএ এর টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে। এ কারণে বুধবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে আসা বেশ কিছু পর্যটককে সেখানে রাত্রিযাপন করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের নিয়ে আসা হবে। পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ৩ নম্বর সংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার জাহাজ বন্ধ থাকবে। তবে বেড়াতে আসা কিছু পর্যটক দ্বীপে রয়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এ ধরনের ঘটনায় কমপক্ষে ২ দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে। জাহাজ চলাচল বন্ধের কথা স্বীকার করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তালের কারণে বুধবার এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ভ্রমণে আসা বেশকিছু পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছে, তাদের খোঁজখবর রাখা হবে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

আগামীকাল থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু
দুই দিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবে। এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে তিনটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪শ যাত্রী নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে ফিরে আসে। এরপর উত্তাল থাকায় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।  সেন্টমার্টিনে তখনো দেড় শতাধিক যাত্রী থেকে যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জাহাজ ছেড়ে যাবে। সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত দেড়শতাধিক যাত্রীদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিন এই নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এতে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া দেড়শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছিলেন। ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে আসায় সব ধরনের নৌযান ও জাহাজ চলাচল চালু করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যাবে। এতে আটকে পড়া দেড় শতাধিক পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ছাড়তে পারবেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় ঘূর্ণিঝড় 'হামুনের' কারণে সতর্ক সংকেত জারি করায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে দেড় শতাধিক পর্যটক আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগামীকাল থেকে তাদেরকে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরিয়ে আনা হবে।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
X