সাকিবকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে স্কুলছাত্র আহত
জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে দেখতে এসে মো. নীরব (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র বিদ্যুৎস্পর্শ হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধোড়করা বাজারের মালেক টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  আহত নিরব উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কাগাইশ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় ধোড়করা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধোড়করা বাজারের আবদুল মালেক টাওয়ারে কসমেটিকস ব্র্যান্ডের একটি শো-রুম উদ্বোধন করতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রামে পৌঁছান। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান উদ্বোধনস্থলে আসার ঘণ্টাখানেক আগেই ধোড়করা বাজারে লোকজন ভিড় করেন। এ সময় আবদুল মালেক টাওয়ারের পল্লীবিদ্যুতের এলোমেলো তারের জঞ্জালে আটকে বিদ্যুৎস্পর্শ হয় নিরব। এতে নিরবের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।  এ সময় স্থানীয় জনতা বিদ্যুাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার রবিউল হক বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিরবকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরের বুকের অংশের ডান পাশে প্রায় ৪০ শতাংশ  জ্বলছে গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, সাকিব আল হাসান আসার আগে উৎসুক জনতার সঙ্গে নিরব নামে এ স্কুলছাত্রটি একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠার সময় বিদ্যুতের তারে জড়ে ঝলসে যায়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রামের দক্ষিণে গুনবতী পল্লীবিদ্যুৎ অফিস এজিএম  জানায়, ঘটনার সময় বৈদ্যুতিক কোনো শর্টসার্কিট ছিল না। তবে চালু লাইনের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িয়ে গেলে সে আহত হয়।
০৭ মে, ২০২৪

নদী থেকে রেল ও ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ স্কুলছাত্র
মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে রিয়াদ আহমেদ রাজু ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ছেলে রামিন আরিদ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আনসার উজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মো. জুয়েল (৪০) ও রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মো. জুয়েল ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা আর রাজু বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তার উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। এর আগে বিকেলে ট্রলারে করে ঢাকা থেকে আসা ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হয়। পরে তারা বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসল করতে নামে। এ সময় রামিন নদীর স্রোতে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা রিয়াদ আহমেদ রাজু ও খালু মো. জুয়েল উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম ও নৌপুলিশ।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

ইউটিউব দেখে বিমান তৈরি করল স্কুলছাত্র সিয়াম
ইউটিউব দেখে রিমোট কন্ট্রোল বিমান বানিয়ে এবং তা উড়িয়ে চমকে দিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাট বৈরানের বাসিন্দা কৃষক হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. সিয়াম (১৫)। সে স্থানীয় সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র। সে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‌্যাপ্টরের আদলে একটি বিমান বানিয়েছে। এটির নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু এফ-২২ র‌্যাপ্টর। জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই কারিগরি কাজের প্রতি ব্যাপক ঝোঁক মো. সিয়ামের। তার বাবার মোবাইলে ইউটিউবে বিমান বানানো দেখে সে। এরপর থেকে সে বিমান বানানোর চেষ্ট করতে থাকে। ৫ বছর ধরে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তা দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনে সে। ছেলের উৎসাহ দেখে বাবাও সাধ্যমতো আর্থিক জোগান দিতে থাকে। সিয়াম জানায়, আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী বিমানটি বানিয়েছি। গবেষণার মাধ্যমে এটির আরও উন্নতি সম্ভব। এ ছাড়া কৃষিকাজে ব্যবহৃত ড্রোন বানানোসহ, ক্যামেরা লাগিয়ে শতমাইল দূরে নজরদারি বিমান সে বানাতে চায়। কিন্তু এজন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সিয়ামের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কৃষক মানুষ; এত কিছু বুঝি না। তার এসব কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে টাকা চাইলে চেষ্টা করতাম দিতে। সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে সে দেশের জন্য বাজ করতে পারবে। সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, সিয়ামের বিমান তৈরির বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছু জানতে পারিনি। তার মেধা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। তার প্রতিভার কথা এমপি ও ইউএনওকে জানাব। আজ থেকে তার গবেষণায় যা দরকার হবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ করব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, সিয়ামের প্রতিভা দেখে আমি বিস্মিত। তার বানানো জেট বিমানটি খুবই চমৎকার। লোকাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করব।
৩১ মার্চ, ২০২৪

ভিডিও দেখে যুদ্ধবিমান বানালেন স্কুলছাত্র
ইউটিউবে ভিডিও দেখে বিমান বানিয়ে এবং উড়িয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন দশম শ্রেণির ছাত্র মো. সিয়াম।  তার বাবা হাবিবুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। সিয়াম টাঙ্গাইলের সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার ছাত্র। জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই কারিগরি কাজের প্রতি ঝোঁক সিয়ামের। বাবার মোবাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখেই ইচ্ছা জাগে বিমান বানানোর। ৫ বছর ধরে টিফিনের টাকা জমিয়ে যন্ত্রপাতি কেনেন সিয়াম।  উৎসাহ দেখে তার বাবাও আর্থিক সহযোগিতা করতে থাকে। আমেরিকান যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টরের আদলে বানানো বিমানটির নাম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু এফ-২২ র‍্যাপ্টর।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  উপজেলা ও গোপালপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, এবং সূতি ভি এম সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সামনে পরিষদ সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিমানটি শুধু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।  সিয়াম জানান, পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা পেলে আরও এগিয়ে যাব। নতুন কিছু তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাব। কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক কাজে পারদর্শিতার কথা অনেক আগেই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। তিনি অগ্রাহ্য করেছেন। ঐ শিক্ষকের কারণেই বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ আমি যেতে পারিনি। সিয়ামের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কৃষক মানুষ এতকিছু বুঝি না। ওর এসব কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে টাকা চাইলে চেষ্টা করতাম টাকা দিতে। সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, সিয়াম এ ব্যাপারে আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আজকে ওর মেধা দেখে আশ্চর্য হয়েছি। ওর প্রতিভার কথা এমপি ও ইউএনওকে জানাব। আজ থেকে ওর গবেষণায় যা দরকার হবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে এবং আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনও মহোদয়কে অনুরোধ করব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, সিয়ামের প্রতিভা দেখে আমি বিস্মিত। ওর বানানো জেট বিমানটি চমৎকার লেগেছে। নিজের টাকায় এ রকম একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে ও যে স্বার্থক হয়েছে এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করব।
৩০ মার্চ, ২০২৪

বিকেলে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রাতে রক্তাক্ত লাশ
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কিশোরের চার বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। নিহত হিমেল সরদার উপজেলার পিপরুল গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ত। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হিমেল তার বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। ইফতারের সময় হয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ সন্ধানে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যে রাত দেড়টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি ঘর থেকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বাকি তিন বন্ধু মেহেদী, শিমুল ও সুজনকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, হিমেলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে মুক্তিপণের দাবিতে এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।   বুধবার (২৭ মার্চ) ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাহাবুব আলম, কামাল মাতুব্বর ও খোকন মাতুব্বর। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তার হলেন আশরাফ শেখ, আজিজুল শেখ ও সুজন মাতুব্বর। ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. স্বপন পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অ্যাড. স্বপন পাল বলেন কালবেলাকে বলেন ২০১৮ সালের ৭ জুন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী (পাগলপাড়া) এলাকার গ্রিস প্রবাসী আবুল হোসেনের ছেলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তরকে (১৪) মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা হয়। আসামিরা মুক্তিপণ না পেয়ে অন্তরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। পরে অন্তরের পুঁতে রাখা মরদেহ বাড়ি পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।  এ ঘটনায় একই বছরের ১৫ জুন নিহতের মা জান্নাতি বেগম বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণের পর বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত অন্তরের মা জান্নাতি বেগম বলেন, সন্তানের হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। আমি চাই এই রায় অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায় ও অ্যাডভোকেট বিমল তুলশিয়ান বলেন, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। তারা উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
২৭ মার্চ, ২০২৪

শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বালু বহনকারী মাহিন্দ্রার চাপায় রিফাত শিকদার (১৪) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সুরেশ্বর-পন্ডিতসার সড়কের পশ্চিম নন্দনসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রিফাত শিকদার পশ্চিম নন্দনসার গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে এবং হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাত বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে ঘড়িসার বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাহিন্দা তার বাইসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মাহিন্দ্রার চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় রিফাত। সে সঙ্গে যানটি উল্টে পাশের ক্ষেতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই মাহিন্দার চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাহিন্দাটি জব্দ করেছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে মাহিন্দাটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও সহযোগীরা পালিয়েছেন। আমরা তাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি। নিহত ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
২১ মার্চ, ২০২৪

জাবিতে ঘুরতে গিয়ে মারধর-ছিনতাইয়ের শিকার ৪ স্কুলছাত্র
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার স্কুলছাত্রকে আটকে রেখে মারধর এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি। অন্যদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন—কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস ও দুর্জয় সরকার। তারা সবাই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তারা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসে তাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আরও তিনজন এসে তাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। সেখানে তাদের আটকে রেখে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে দেন। এ ছাড়া তাদের ১৫ হাজার টাকার একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তবে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলছেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরে একপ্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়। তাদের মারধর করা হয়নি। এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্রাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। রাত ১০টার দিকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ মার্চ, ২০২৪

সাঁতার কাটতে গিয়ে ২ স্কুলছাত্র নিখোঁজ, ১ জনের মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতার কাটতে গিয়ে দুই স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ দুই ছাত্রের নাম মাহিব ও নাহিদ। পরে ফায়ার সার্ভিস এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাহিবের মরদেহ উদ্ধার করে। নাহিদ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রের বাড়ি গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়া এলাকায়। সে শহরের আহমদ উদ্দিন শিশু নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিখোঁজ নাহিদের বাড়িও একই এলাকায় বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, শহর থেকে ৬ বন্ধু সাঁতার কাটার জন্য বালাসীঘাটের ব্রহ্মপুত্র নদে নামে। এ সময় চার বন্ধু কিনারে উঠে এলেও মাহিব ও নাহিদ নিখোঁজ হয়। স্থানীয়দের খবরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নদী থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় মাহিব নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ নাহিদের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
০৬ মার্চ, ২০২৪

অপহরণচক্র শনাক্ত, সেই স্কুলছাত্র উদ্ধার
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র অপহরণের একদিন পর তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানে রবিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনিই অপহরণচক্রের মূলহোতা। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুর্শুন্দি এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার মুন্জুরুলের ছেলে। অপহৃত স্কুলছাত্র জুনায়েদ হোসেন ধনবাড়ী উপজেলার সোনামুই বাদুড়িয়া গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে। সে পাইস্কা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।  ধনবাড়ী থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জুনায়েদকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে অপহরণকারীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা স্কুলছাত্রের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ অপরাধীদের অবস্থান শনাক্তে মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মুর্শুন্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীর মূলহোতা রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকেই অপহৃত শিশু জুনায়েদকে উদ্ধার করা হয়। এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, রবিনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রের মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X