হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। কোরবানির আগে ভারতের পেঁয়াজ আসায় দেশে দাম বাড়বে না, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ভারত থেকে মেসার্স আর এস বি ট্রেডার্স পেঁয়াজ আমদানি করে। একটি ট্রাক ৩০ টন পেঁয়াজ নিয়ে হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন আমদানি বন্ধ ছিল। গত ৪ মে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার পরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ১১ দিন পর মঙ্গলবার আমদানি শুরু হয়েছে।
১৫ মে, ২০২৪

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দিনাজপুরের হাকিমপুরে (হিলি) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৮ মে) একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বুধবার হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু হবে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল বলেন, হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ আছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
০৮ মে, ২০২৪

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। বুধবার (১ মে) সকালে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল (২ মে) বৃহস্পতিবার যথারীতি দুই দেশের মধ্যে এ কার্যক্রম সচল হবে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম সচল থাকছে। বুধবার সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতো যথারীতি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী দুদেশের যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

হঠাৎ তিন দিন বন্ধের ঘোষণা দিল বুড়িমারী স্থলবন্দর
ভারতের জলপাইগুড়িতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে হঠাৎ তিন দিনের আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের মানুষের যাতায়াতে বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের স্থলবন্দরের পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল বন্ধ করে দেয়। বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বিভিন্ন রাজ্যে সাত দফায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫৪৩টি আসনে এ নির্বাচন হবে। তাই বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে এ পথে যথারীতি দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। পাসপোর্টধারী এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গাইবান্ধা থেকে এসেছি। ভারতে যাব চিকিৎসার জন্য। আমার টিকিট কাটা রয়েছে। এখানে এসে শুনি যে ভোটের কারণে ইমিগ্রেশন বন্ধ। আমার শরীর ফুলে যাচ্ছে। আমার অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ মুহূর্তে কোথায় যাব আমি। রংপুর থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী স্টালিন বলেন, আমি ভারতের কলকাতায় যাব চিকিৎসার জন্য। আমার মতো আরও অনেকে এসেছে যারা ভারতে যাবে চিকিৎসার জন্য। আমরা জানি না, যেতে পারব কি না। আমারা যে টিকিট কেটেছি আমাদের সেই টিকিটের কী হবে? আমি যে ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়েছি এর কী হবে? বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আহসান হাবিব সরকার পলাশ বলেন, হঠাৎ করে আজ সকাল ৯টায় আমাকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করে। আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা অবাধে চলাচল করতে পারবেন। এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো লিখিত চিঠি পাইনি।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দেশের উত্তরের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।   বন্দরের কার্যক্রম চালুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন। কুদরত ই খুদা মিলন জানান, গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপালের মধ্যে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৬ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে। বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি অমৃত অধিকারী জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীর পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলা নববর্ষ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে টানা ছয় দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময় দুদেশের পাসপোর্টযাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই যাতায়াত করতে পারবেন। আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিলি বন্দরে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় দিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ছয় দিন বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে নিতে পারবেন। হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি আশরাফুল বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের পাসপোর্টযাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই যাতায়াত করতে পারবেন।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

৭ দিন বন্ধ থাকবে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৭ দিন বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত স্থলবন্ধর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। সোনা মসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর-রশিদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সাত দিন পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে আবারও বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। জানা গেছে , সোমবার থেকে আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে যথাযথ নিয়মে বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। তবে এ সময়ে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম পণ্য লোড-আনলোড ও দেশের ভেতরে পরিবহন যথারীতি চালু থাকবে। এ ছাড়া সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ইমিগ্রেশন দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন, ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম থাকবে। তবে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন দিয়ে দুদেশের‌ পাসপোর্টের যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

শেরপুর স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ ঘোষণা
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের দিনসহ প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। শ‌নিবার (৬ এপ্রিল) বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোডসহ সকল কার্যক্রম ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে এ বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম শুরু হবে। নাকুগাঁও স্থলবন্দরের অতিরিক্ত পরিচালক (এডি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি বন্ধ ৩ দিন থাকলেও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ থাকবে। ভারত বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ঈদের দিনসহ প্রতিদিন খোলা থাকবে। এতে যাত্রী পারাপারে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বুড়িমারী স্থলবন্দর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে। শবেকদর, ঈদদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলে মোট ১০ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ৭ এপ্রিল শবেকদর, আগামী ১০-১২ এপ্রিল (সম্ভাব্য) পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ এবং ছুটির তারিখের আগে ও পরে শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি বন্ধ হওয়ায় মোট ১০ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বুড়িমারী কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) এসোসিয়েশন। তবে পুলিশ অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) চৌকি খোলা ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। উল্লিখিত সোমবার (১ এপ্রিল) বন্ধ ঘোষণা করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস কর্তৃপক্ষ), বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী বিজিবি কমান্ডার, পুলিশ ইমিগ্রেশন ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ও ভুটান স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস্, চ্যাংরাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনকে দিয়েছে বুড়িমারী সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। ১৫ এপ্রিল যথা নিয়মে ব্যবসায়ী কার্যক্রম সচল করা হবে বলে জানায় তারা (বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন)। বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আহসান কবির সরকার পলাশ বলেন, ‘সাধারণত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা কার্যক্রম বন্ধ রাখলে স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে বন্ধের সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পথ দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।’ বুড়িমারী কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) এসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সবার সিন্ধান্ত মোতাবেক শবেকদর, ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ উল্লিখিত তারিখ অনুযায়ী ১০ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ১৫ এপ্রিল এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগের নিয়মে চালু করা হবে।’ এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান ‘ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে এ স্থল শুল্ক স্টেশন ১০ দিন বন্ধ রাখার চিঠি পেয়েছি বলে জানান।’ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মেহেদী হাসান বলেন, ‘শবেকদর, ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং সচল করার ব্যাপারে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী নেপাল
বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে এক সভায় এ আগ্রহের কথা জানান। শনিবার (২৩ মার্চ) নেপালের স্থানীয় এক হোটেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সঙ্গে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারী এ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে আলোচনায় ওঠে আসে, কাকরভিটা স্থলবন্দর বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ডে ভারতের অংশ। ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কীভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানানো হয়।  এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে স্থলপথে বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকালে নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। কাকরভিটা থেকে ভদ্রাপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন রোমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী গতকাল পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান। ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংয়ের গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা পাসাখা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।
২৩ মার্চ, ২০২৪
X