ইউরোর আগে নিষিদ্ধ হওয়ার পথে স্পেন!
চলতি বছর জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ইউরো কাপ। তবে তার আগে বিপাকে পড়তে পারে স্পেনের ফুটবল। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। সরকারের হস্তক্ষেপের দায়ে নিষিদ্ধ হতে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিয়মে রয়েছে, ফুটবল ফেডারেশন মূলত স্বায়িত্বশাসিত থাকে। কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে সরকার বা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বৈধ নয়। এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। এদিকে ফিফা ও ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা জানিয়েছে, স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম এবং দেশটির ফেডারেশনের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলের। গত বছর নারী বিশ্বকাপের পর চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’ স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’ এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরএফইএফের প্রধানের পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা পেদ্রো রোচা। তবে বিশেষ কমিটি গঠনের পর বেকায়দায় আছেন তিনি। গত মাসে আদালতে এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর রোচার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোর্ট অব স্পোর্টের রায় আসার আগে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে সিএসডিও। যদিও আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছর নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। এ ছাড়া ২০৩০ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক তারা।  
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চুমুকাণ্ডে চাকরি হারানো ফুটবল সভাপতি এবার কাঠগড়ায়
২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় স্পেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে স্প্যানিশ ফুটবলার জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচিত হন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সেই সময়ের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই কাণ্ডের পর গত সেপ্টেম্বরে সভাপতির পদও ছাড়তে হয় তাকে। এতোদিনি এই বিষয় নিয়ে সে রকম আলোচনা না হলেও আবারও ঘটনাটা সামনে এসেছে তবে এবার খুব সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছেন না রুবিয়ালেস। শাস্তির আয়তায় আসতে হচ্ছে তাকে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার স্পেনের অদিয়েন্সিয়া ন্যাসিওনাল আদালতের বিচারক ফ্রান্সিসকো দে হোর্হে বলেছেন, রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ ‘চুমুটা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ছিল না এবং কাজটা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল।’ গত বছরের ২০ আগস্ট সিডনিতে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফিফা নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়দের পদক বিতরণের সময় হাজারো ক্যামেরার সামনে ‘চুমুকাণ্ড’ ঘটানোর পর রুবিয়ালেস দাবি করেছিলেন, সেটি পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল। যদিও হারমেসো তা অস্বীকার করেছিলেন। বিচারকের প্রস্তাব পক্ষে থাকায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানাতে পারবেন। এর পর বিচার কার্যক্রমের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। চুমুকাণ্ডের পর রুবিয়ালেসকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, সম্মতি না থাকার পরও চুমু খেলে সেটি যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হয় আর এমন অপরাধের শাস্তি জরিমানা থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল। ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরে মামলা করেন হারমেসো।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

‘চুমুকাণ্ডে’ রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফিফার বিধ্বংসী রিপোর্ট
বিশ্বকাপজয়ী স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জেনিফার হারমোসোকে ‘চু্ম্বন’ করে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। ‘চুমুকাণ্ডে’র তদন্ত শেষে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক প্রতিবেদন দিয়েছে ফিফা। নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় যা ঘটেছিল তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফুটবল বিশ্বে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে রুবিয়ালেস। এ ছাড়াও ফিফা উল্লেখ করেছে, ‘আরএফইএফের সাবেক সভাপতি ফুটবলের ভাবমূর্তি, খ্যাতি এবং অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।’ স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল মুন্ডোর ফিফার এই নথি প্রকাশ করেছে। যা আরএফএফের সাবেক সভাপতিকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করতে সাহায্য করেছিল। এল মুন্ডোর নথিতে বলা হয়েছে, ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো, ডোনা লেটিজিয়া, রাজকুমারী সোফিয়া এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সামনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেনি হারমোসোর অসম্মতিতে চুম্বন করেন রুবিয়ালেস যা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মনে করে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। হারমোসো ও দলের বাকি খেলোয়াড়দের তার (রুবিয়ালেস) পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়াকেও অসহনীয় বলে মন্তব্য করেছে ফিফা। তাই, ফিফা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, লুইস রুবিয়ালেস আর স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি থাকতে পারেন না। এ ছাড়া তিনি যে হুমকি দিয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণিত হয়েছে।  
০১ অক্টোবর, ২০২৩
X