সাত দিনে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সারা দেশে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া এ ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ, দুজন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্র মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোক রোগীর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আজ জানিয়েছে, হিটস্ট্রোক নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন। প্রতিষ্ঠানটির সংগৃহীত তথ্যে সর্বশেষ সোমবার হিটস্ট্রোকে তিনজন মারা যান। এ ছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এই গাইডলাইন ‘অন ম্যানেজমেন্ট অব হিট রিলেটেড ইলনেস’-এর ভিত্তিতে সারা দেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। এদিকে দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আরও অন্তত দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, এ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। তবে তাপমাত্রা এই স্তরও অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন, দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে ২ থেকে ৭ মে এর মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। ২ মে এর আগে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। গতকাল যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলায় তাপপ্রবাহ খুবই তীব্র ছিল এবং ঢাকা বিভাগ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের বাকি অংশে তাপপ্রবাহ ছিল। এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সারা দেশে অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় স্বাস্থসেবার মান যাচাইয়ে অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশের হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হবে।  রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, দেশের সব সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি হাসপাতালে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করার জন্য। যারা অপেক্ষাকৃত খারাপ অবস্থার রোগী তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। তিনি বলেন, সিভিল সার্জনদের বলা হয়েছে একটি সমন্বয় টিম করার জন্য। সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার এবং লোকাল ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে একটি অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ফার্মেসি কিংবা ক্লিনিক স্যালাইন মজুত করেছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।  এ ছাড়া অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অনুপযুক্ত আইসিইউ যাদের আছে তাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু কোথায় গিয়ে থামবে, বলা যাচ্ছে না : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী দেখা গেছে। যার প্রভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  তবে রোগীর সংখ্যা কমলেও এই ‌‘প্যান্ডামিক’ কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২০ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৯ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এরপরই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। এরপর থেকে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তাও এবার কমতে শুরু করেছে। তবে এই ‘প্যান্ডামিক’ যে কোথায় গিয়ে থামবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৬শ’র বেশি ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৯৭৪ জনের মতো। তার মানে হলো এখনো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছয় শতাধিক ডেঙ্গু শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩১৫ জন রোগী ভর্তি। এরপরই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান। ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দেখছি, নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে পুরুষদের আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও নারীদের আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো আক্রান্তে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও ডেঙ্গুতে পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
২০ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতিশীল, আক্রান্তের হার বাড়ছে বাইরে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকটাই স্থিতিশীল হলেও ঢাকার বাহিরে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়তি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় সবচেয়ে ব্যস্ততম হাসপাতালগুলোতেও এখন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা ফাঁকা থাকছে বলেও জানা গেছে। বুধবার (২ আগস্ট) দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকার ডেঙ্গু আক্রান্তের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, তবে ঢাকার বাহিরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। ঢাকায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ৪৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, হাসপাতালটিতে রোগীদের জন্য মোট শয্যা রয়েছে ৬০০টি।  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৩৪৮ জন। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রায় সবগুলো হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেগুলোতে অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।  তবে কয়েকটি এলাকায় এখনো ডেঙ্গু সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যাত্রবাড়ি, মুগদা, উত্তরা, জুরাইন, মিরপুর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী যাত্রীবড়ি এলাকায়। বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান।  ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীগুলোর মধ্যে যারা মারা গিয়েছে (২৬১ জন), তাদের প্রায় প্রত্যেকেই হাসপাতাল ভর্তির ১/২ দিনের মধ্যে মারা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম, যাদের প্লাজমা লিকেজ হয়েছে। তা ছাড়া শক সিন্ড্রোমের কারণে তাদের দেহের অন্যান্য অর্গানও আক্রান্ত হয়েছে। আরও পড়ুন : ডেঙ্গু প্রতিরোধে যাদুকরী কোনো সমাধান নেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরে ডা. শাহাদাত বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত পরিস্থিতি ও সকল কার্যক্রম দেখবাল করছে। আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X