মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
পটুয়াখাালীর গলাচিপায় সানিয়া (১০) নামে এক হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানোর অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির হাসান বিশ্বাসের (২২) বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ তুলেছেন সানিয়ার মা সাহিদা ও তার পরিবার। এ ঘটনায় হাসান বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৮ মে) এ ঘটনায় সানিয়ার বাবা মফিজুল বিশ্বাস বাদী হয়ে হাসান বিশ্বাসকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাতাবুনিয়া গ্রামের মফিজুল বিশ্বাসের স্ত্রী সাহিদা সোমবার সকালে তার দুই মেয়েকে নিয়ে মরিচ তুলতে ক্ষেতে যান। সকালে বড় মেয়ে সাদিয়া (১৫) স্কুলে যায়। আর সানিয়া খাবারের উদ্দেশ্যে বাড়ি যান। এ সময় বাড়িতে সানিয়াকে একা পেয়ে হাসান প্রথমে ধর্ষণ করে পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সানিয়াকে হত্যা করে। এক ঘণ্টা পর সানিয়ার মা সাহিদা বেগম ক্ষেত থেকে বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে সানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায়। ততক্ষণে হাসান বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠায়। মঙ্গলবার (৭ মে) হাসান বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে মাছ ধরতে গেলে সানিয়ার চাচা জহিরুল ইসলাম ট্রলারযোগে হাসানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান কালবেলাকে জানান, আমরা অভিযুক্ত হাসানকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। 
০৮ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহে ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহে পারিবারিক দ্বন্দ্বে শরিফুল ইসলাম ওরফে বাটুল সরদার নামে এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জেলার শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের সরদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শৈলকূপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত বাটুলের সঙ্গে পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে মাতুব্বরদের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে গ্রাম্য মাতুব্বর সাহাবুল ও বকুল জোয়ারদার অভিযুক্ত বাটুল সরদারকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এলাকা না ছাড়ায় এ নিয়ে সোমবার রাতে বাটুলের মামাতো ভাই আব্দুর রহিম, লিটন ও আব্দুর রহমানের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। সালিশ বৈঠক শেষে বাটুল গোসল করতে ওই গ্রামের সেন্টু মোল্লার শ্যালো মেশিনে যায়। তিনি সাইদুল মণ্ডলের পান বরজের কাছে পৌঁছালে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মামাতো ভাইয়েরা। এরপর সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতেই অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন বাটুল। রাত ৯টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনা শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনার পর থেকে বাটুলের মামাতো ভাইয়েরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটিতে লামিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হৃদয় হাওলাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সুবিদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক হৃদয় হাওলাদার সুবিদপুর গ্রামের ওই এলাকার আলী আকব্বর হাওলাদারের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। নিহত লামিয়ার খালু কালাম খান বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে হৃদয় লামিয়ার বাবাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়ে অসুস্থ। সকালে এসে নিয়ে যাবেন। আমরা রাতেই বাড়িতে গিয়ে দেখি  লামিয়া মারা গেছে। তাকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।   লামিয়ার শাশুড়ি বুলু বেগম বলেন, রাত ১টার দিকে আমার ছেলের বউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তার শরীরের জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পরে রাতেই সে মারা যায়।  নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী কালবেলাকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সালিশদারকে ঘুষি দিয়ে হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে পারিবারিক একটি সালিশ বৈঠকে সুরুজ আলী প্রধান (৬৪) নামে এক ব্যক্তিকে ঘুষি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ১২টার দিকে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ আলী প্রধান মাইজকান্দি গ্রামের মৃত কালু প্রধানের ছেলে। তিনি ফরাজিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। ঘটনার পর অভিযুক্ত কবির হোসেনকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। কবিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। মতলব উত্তর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সুরুজ আলী প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন পাটোয়ারী বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। এ সময় একই বাড়ির রহমত উল্লাহ পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেনকে (৩১) সাবেক মেম্বার সুরুজ আলী শাসনস্বরূপ থাপ্পড় দিলে কবির পাল্টা প্রতিক্রিয়ামূলক ঘুষি দিয়ে আঘাত করে। কিলঘুষির আঘাতে সুরুজ আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন সুরুজ আলীকে চিকিৎসার জন্য মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি আরও বলেন, সুরুজ আলী প্রধানকে মারধর করার পর তাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে কবিরকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা নিয়ে যায়। তবে তাকে কেউ আটক করেনি।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সালিশ বৈঠকে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি সালিশ বৈঠকে শামীম আহাম্মদ (৪১) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য সালিশদারদের বিরুদ্ধে।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের উজানীকান্দি গ্রামের খেলার মাঠে পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম আহাম্মদ ওই গ্রামের মৃত আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে। শামীম গত ৬ মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফিরে বাড়ির পাশে একটি চা দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন।  এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মনির হোসেন ও শামীম আহাম্মদের পরিবারের মধ্যে একটি বিরোধ মীমাংসা নিয়ে মনির হোসেনের উঠানে সালিশ বৈঠক বসেছিল। সেখানে গ্রাম্য সালিশদার ইউপি সদস্য হিরণ সরকার, সিদ্দিক সরকার, মোস্তফা সরকার, সাইফুল ইসলাম ব্যাপারিসহ গ্রামের ১৫-২০ জন উপস্থিত ছিলেন। সালিশ মীমাংসার শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় উজানীজোড়া গ্রামের মো. আলিম খন্দকারের নেতৃত্বে সাদেক খন্দকার, সুমন খন্দকার, আউয়াল খন্দকারসহ আরও ৫-৬ মনির হোসেনের পক্ষে উপস্থিত হলে বৈঠকে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় সুমন খন্দকার শামীমকে চর থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারা হয়। পরে বৈঠকে বসা আলিম খন্দকার উত্তেজিত হয়ে নিজের বসার কাঠের চেয়ার দিয়ে শামীমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে শামীম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।  নিহতের স্বজনরা শামীমের মরদেহ এলাকায় নিয়ে গেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন শামীমের বৃদ্ধা মা জোবেদা খাতুন ও আত্মীয়স্বজনরা। ছেলের মরদেহের সামনে বুক চাপড়ে বিলাপ করতে করতে জোবেদা খাতুন বলছিলেন, আইনের কাছে, সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই। তারা আমার চোখের সামনে আমার সোনার মানিককে পিটিয়ে মারল। পিটাতে পিটাতে তিনটা চেয়ার ভাঙছে।  স্বামীকে হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন শামীমের স্ত্রী মোর্শেদা ও তার সন্তানরা। তারাও বারবার চিৎকার দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। অভিযুক্ত আলিম খন্দকারের বাবা আবু মুসা খন্দকার বলেন, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক বসে। আমাদের বাড়ির এক লোক ওই বাড়ির এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তারাই আমার ছেলেকে খবর দিয়ে নিয়ে যায়। লোকজনের মুখে শুনেছি, শামীম আহাম্মদ সালিশ বৈঠকে একটি মেয়ে তার জন্মের বলে বলে চিৎকার করায় আমার ছেলে উঠে চেয়ার দিয়ে মারে। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তরে জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জোবেদা খাতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে রাজনীতিককে কারাগারে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারিকে কারাগারে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ছেলে উমর। এ ঘটনায় তারা আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও জানান তিনি। মুখতার আনসারির মৃত্যুর পর তার ছেলে উমর দাবি করেছেন, তার বাবাকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। তার বাবাকে খাবারে বিষ দেওয়া হয়েছিল। তাতেই তার মৃত্যু হয়। গত ১৯ মার্চ মুখতারকে রাতের খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছিল, এমনই অভিযোগ করেন উমর। এ ব্যাপারে তারা বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইফতারের পরই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বান্দা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কৌশল জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মুখতারের। ৬০ বছর বয়সী মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ সদর বিধানসভার পাঁচবারের সাবেক বিধায়ক ছিলেন।
৩০ মার্চ, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় মেস পরিচালিকাকে হত্যার অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া একটি ভাড়াটিয়া মেস পরিচালিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নতুনচর সিটি গেইট সংলগ্ন শামীম মিয়ার ভাড়াটিয়া মেসে এ ঘটনা ঘটেছে।  স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে গজারিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি তাদের হেফাজতে নেয়। তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ইট উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই মেস পরিচালিকার নাম মাবিয়া খাতুন (৫৫)। সে খুলনা জেলার তেরোখাদা উপজেলার হিন্দুকোসলা গ্রামের আব্দুল গাফফার মোল্লার স্ত্রী। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মেসে থাকা বিল্লাল হোসেন নামের এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে খাওয়ার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় নিহত মাবিয়ার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটার পর থেকে এ মেসে অনুমানিক ৩৫-৪০ জন লোক থাকলেও বিল্লালকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের গায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে নিহতের স্বামী গাফ্ফার কালবেলাকে জানান, দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ এ এলাকায় বসবাস করেন তারা। বৃদ্ধ স্বামী এবং স্ত্রী মিলে শামিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ৩০-৪০ জনের মেসে খাওয়ান। তবে জীবনের শেষ দিকে এসে কেউ তার স্ত্রীকে এভাবে খুন করে হত্যা করবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেনি। তিনি আরো জানান, প্রতিদিনের মতো সে আজও মেসের জন্য সকালের নাস্তা বানাতে ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে প্রতিদিন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে একসঙ্গে রান্নার কাজ শুরু করলেও আজ আমাকে ঘুম থেকে না ডেকে একাই কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হয়তো এ সুযোগেই হত্যাকারী তাকে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, হত্যাকরী তার স্ত্রীকে হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি। তার সঙ্গে থাকা কানের দুল, নাকফুল এবং গলায় থাকা স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। বাড়ীর গেট তালা বন্ধ থাকায় বাসার দক্ষিণ দিকের একটি ঘরের জানালা খুলে চলে গেছে।  নিহতের স্বামী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নিহত মাবিয়ার মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করে বলেন, বিনা অপরাধে আমার মাকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। আমাদের সন্দেহ বিল্লাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তির ওপর। যেহেতু সেই লোকের সঙ্গে রাতে আমার মায়ের তর্কবিতর্ক হয়েছে। আর এ ঘটনার পর মেসে সবাই থাকলেও সে নাই। সন্দেহভাজন বিল্লাল হোসেন হোসেন্দী ইউনিয়নরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালে বলে জানা গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁন কালবেলাকে জানান, ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় খলিলুর রহমান হাওলাদার (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে তার ছেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার রাতে খলিলুরের ১৭ বছর বয়সী ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। খলিলুর রহমান রানাপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রানাপাশা গ্রামের হামিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত খলিলুরের স্ত্রী সালেহা বেগমকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে খলিলুরের ছেলে। সে সেখানেই থাকে। তিন দিন আগে খলিলুর তার স্ত্রীকে মারধর করেন। মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরে খলিলুরের ছেলে বিষয়টি জানতে পারে। এ নিয়ে তর্কের জেরে শনিবার রাতে সে তার বাবা খলিলুরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে খলিলুরের ভাই আবদুল কাদের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, খবর শুনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খলিল হাওলাদারের ছেলে পলাতক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার বলেন, খলিলুরের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। কী কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি জানতে পারেননি।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাউজানে প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের রাউজানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মোহাম্মদ মুছা (৪৫) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজের পর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কিছু যুবক। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি পড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। মারা যাওয়া মোহাম্মদ মুছা হাজীপাড়া গ্রামের প্রয়াত কবির আহমদের ছেলে। দুই সন্তানের জনক মুছা দীর্ঘদিন ওমান প্রবাসী ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ওঠেন তার স্ত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। সেখান থেকেই গতকাল বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজান এসেছিলেন তিনি। মুছার ভাই মোহাম্মদ ইউছুপ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি রাউজান হাজীপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে পাশে থাকা বাবার কবর জিয়ারত শেষ করি। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে আমার ভাইকে ডেকে মসজিদের পাশে টয়লেটের সামনে নিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় দুই যুবকের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন। তাদের নির্যাতনে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ ওমানে মুছা বিএনপির রাজনীতি করতেন বলে জানান তার ভাই ইউছুপ। মৃতের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে পড়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অজ্ঞান করে আ.লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় রতন দাস নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অজ্ঞান করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে তার স্ত্রী অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রতন দাস (৬৫) শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি এবং উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামের মৃত বিপিন বিহারী দাসের ছেলে। তার স্ত্রী কণিকা দাস স্থানীয় মধুপুর ছকিরন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র কালবেলাকে জানায়, শুক্রবার রাতে রতন দাস ও তার স্ত্রী কনিকা দাস ঘুমাতে যান। পরের দিন শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তাদের ঘুম থেকে উঠতে না দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে তাদের দুজনকেই অচেতন অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রতন দাস ও তার স্ত্রী কনিকা দাসকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতন দাস মারা যান। রতন দাসের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। এমন ঘটনা এ প্রথম তাই এলাকায় সবার মনে ভয় এসেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠিন শাস্তি প্রত্যাশা করেন স্থানীয়রা। অতি দ্রুতই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আ.লীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায়, আ.লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশি সমরেশ দত্ত জীবণ কালবেলাকে বলেন, এ রকম ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এমন দুঃসংবাদ পাবো কখনো ভাবতে পারি নাই। খুবই খারাপ লাগছে। সন্ধ্যার পরই মৃতদেহ এসেছে। রতন দা আ.লীগ নেতা ছিল ও তার স্ত্রী শিক্ষক। তারা খুব ভালো মানুষ। রতন দা সনাতন ধর্মের হলেও সে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। এ বয়সে এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়ার মতো না। তবে তার আপন ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে সমস্যা ছিল। রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এমপি সাহেব বসে সেই ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়াও তার সঙ্গে তার দুই প্রতিবেশির ঝামেলা চলছে জমিজমা নিয়ে। এ বিষয়টি নিয়ে রতন দার নামেও মামলা করেছেন তার দুই প্রতিবেশি। তবে কে এ কাজের সঙ্গে জড়িত তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনার তদন্ত হোক। যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমরা তাকে দেখতে চাই। জড়িতদের শাস্তি হোক এটাই চাই।  রতন দাস এর ছোট ভাই নান্টু কুমার দাস কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা দাদা বৌদিকে অজ্ঞান করে সোনা দানা টাকা পয়সার নেওয়ার জন্য এসেছিল। বৌদির সোনার কানের দুল, হাতের শাকা চুরি করে নিয়েছে। আমার দাদা মারা গেছে বৌদি বেঁচে আছে। বৌদি সুস্থ হলেই বিষয়টি আরো ক্লিয়ার বোঝা যাবে। কাল সকাল ১১টার দিকে খানখানাপুর শ্বশান ঘাটে আমার দাদার দাহ করা হবে। এখনো আমরা কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না, কারণ আমরা কাউকে দেখি নাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য, মো. বাবু শেখ কালবেলাকে জানান, এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ এবং খারাপ কাজ হয়েছে। যারা অন্যায়কারী, তাদের শাস্তি হোক। সে ভালো লোক ছিল। খুব কষ্টজনক ব্যাপার এটা। এলাকার সবাই কষ্ট পাচ্ছে। তার স্ত্রীও খুব ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন শিক্ষিকা এবং ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য ছিলেন। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা জানতে চাই কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা নাই। আমরা নিরাপত্তা চাই। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, শেখ ফরিদ কালবেলাকে জানান, রতন দাস আ.লীগের ভালো কর্মী ও নেতা। কেন এ ঘটনা সেটি দ্রুতই তদন্ত হোক সেটাই আমরা চাই। আমরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই শাস্তির আওতায় আনা হোক সেটাই চাই। শহীদওহাব পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ভুইয়া কালবেলাকে জানান, এ ঘটনা শোনার পর আমি রতন দাসের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখালাম রান্না ঘরের টিন কেটে তার ঘরে ঠুকেছে। আমাদের ইউনিয়নে এমন ঘটনা এই প্রথম। এমন ঘটনা আগে কখনো দেখি নাই। আমার জীবনেও প্রথম। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পরিকল্পনা করে এবং ষড়যন্ত্র করে করেছে। আরো ধারণা করা যাচ্ছে, অজ্ঞান পাটি এ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে। তবে কে বা কারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে তা বোঝা যাবে। এ বিষয়ে খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন কালবেলাকে জানান, তাদের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ থাকেন না। আমরা ধারণা করছি তাদের অজ্ঞান করে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশ রহস্য উৎঘাটনে কাজ করছে। পুলিশের তদন্ত চলছে। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান কালবেলাকে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ মাঠে রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X