পাবনায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের ঘোষণা রাষ্ট্রপতির
পাবনায় শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে পাবনা শহরের প্রিয় আড্ডাস্থল মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে একথা বলেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, পাবনাকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আধুনিক পাবনা গড়ে তুলতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে অচিরেই ইছামতি নদীর খনন কাজ শুরু হবে। এখান থেকে মানুষ ট্রেনে সরাসরি ঢাকা যাবে। পাবনা মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হয়ে যাবে। পাবনায় শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এখানে (পাবনা) রাজনীতি করেছি, বেড়ে উঠেছি, এই শহরের মাটি ও মানুষের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের দোয়াতে আজকে রাষ্ট্রপতি হয়েছি, ফলে আমার নিজস্ব দায়িত্বও অনেক। এই শহরের প্রতিটি মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক আমার। আপনারা আমাকে দোয়াতে ও মায়াতে রাখবেন যেন কিছু ভালো কাজ করতে পারি।
এদিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতিকে মিডিয়া সেন্টারে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মিডিয়া সেন্টারের প্রধান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শিবজিত নাগ। এসময় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম, একান্ত সচিব দিদারুল আলম, চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, চিকৎসক কর্নেল এ কে এম ফজলুল হক, প্রধান কম্পটোলার মেজর তারেক হোসেন ভুইয়া, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু লায়ন বেবী ইসলাম, রেজাউল রহিম লাল, মুক্তার হোসেন, সাংবাদিক এইচ কে. আবুবকর সিদ্দিক, এবাদত আলী, মোসতাফা সতেজ, আকতারুজ্জামান আখতার, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, আঁখিনূর ইসলাম রেমন, গোলাম খাজা সাদী, ছিফাত রহমান সনম, এস. এম আলাউদ্দিন, আহম্মেদ হুমায়ুন কবির তপু, শাহীন রহমান, আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, মোখলেছুর রহমান খান বিপ্লব, সুশান্ত কুমার সরকার, প্রবীর কুমার সাহা, আবুল কালাম আজাদ, জিয়াউল হক রিপন প্রমুখ।
পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান রাষ্ট্রপতিকে শেখ কামাল হাইটেক পার্কের বিষয়ে অবহিত করে বলেন, ইতোমধ্যে দুটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পছন্দটা পাওয়ার পরপরই পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪