২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি। বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীক নিয়ে মো. মনিরুল হাসান মিঠু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট। এর আগে নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার (৭ মে) ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় আদালত মো. সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে সামচুলসহ মামলার অন্য আসামিরা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয় জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা। এ মামলায় অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে সামচুল চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে

আইএমএফের শর্ত / বাড়তি ২৯ হাজার কোটি টাকা আদায়ের চাপে এনবিআর
সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণদাতা সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে বাড়তি ২৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। লক্ষ্য অর্জন নতুন বাজেটে ভ্যাট ও শুল্কহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অব্যাহতি কমানো ও ফাঁকি বন্ধ করে আয়কর খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হবে বলে আইএমএফকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি এনবিআরের তিনটি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেখানে আগামী অর্থবছরের অতিরিক্ত কর আদায়ের জন্য প্রতিটি বিভাগকে আলাদা লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আয়কর বিভাগকে আয় বাড়াতে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট থেকে অতিরিক্ত আদায় করতে হবে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর শুল্ক খাতে যোগ করতে হবে আরও ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জানা গেছে, আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব আয় বাড়ানোর পথ খুঁজছে এনবিআর। এ ক্ষেত্রে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগ আলাদা পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের বাড়তি ভ্যাট আদায়ে ইএফডিকে প্রাধান্য দিয়েছে ভ্যাট বিভাগ। আগামী অর্থবছরে ইএফডির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাট হারে পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও ১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কর্মকৌশল ঠিক করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করা থেকে শুরু করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও আইএমএফকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাড়তি এই ভ্যাট কীভাবে আদায় হবে, জানতে চেয়েছেন। আমরা এই বাড়তি ভ্যাট আদায়ে ইএফডিকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর ইএফডির মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে আসবে ১ হাজার কোটি টাকা। আর ভ্যাটের হার পরিবর্তনে আসবে ১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ এবং ভ্যাটের আওতা বাড়িয়ে এই ভ্যাট আদায় করা হবে আইএমএফকে জানিয়েছি আমরা।’ এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয়ের জন্য কমপ্ল্যায়েন্স নিশ্চিত করার ওপর বেশি জোর দেবে আয়কর বিভাগ। এ ছাড়া বাড়তি আয়ের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। আইএমএফের শর্ত পূরণে আগামী অর্থবছরে এনবিআরের শুল্ক বিভাগকে বাড়তি আদায় করতে হবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আসবে বকেয়া আদায় থেকে। এই টাকা সরকারি তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আছে। আগামী অর্থবছরে এই টাকা আদায় করা হবে বলে আইএমএফকে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। আর আড়াই হাজার কোটি টাকা আসবে শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়া বা খরচ কমানোর মাধ্যমে। এ ছাড়া শুল্ক হার পরিবর্তনের মাধ্যমে বাড়তি আদায় করা হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অন্যান্য মাধ্যমে আসবে আরও ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘আয়কর খাতে বাড়তি রাজস্ব আহরণের জন্য কমপ্ল্যায়েন্স নিশ্চিত করার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ কমপ্ল্যায়েন্স নিশ্চিত হলে মোটা অঙ্কের আয়কর আসবে। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আয়কর অব্যাহতি তুলে দিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে বলে আইএমএফকে জানানো হয়েছে।’
০৭ মে, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক
পদ্মা সেতুতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯শ টাকা টোল আদায় হয়েছে।  এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২টি। অপরদিকে জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি। বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতু। সেতু চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা। সেতুতে যান চলাচল চালুর দ্বিতীয় দিন (২৭ জুন) ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

রাজস্ব ঘাটতি ২২ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এনবিআর আদায় করেছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ২১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। তবে ঘাটতি থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিনটি খাত মিলে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মার্চ পর্যন্ত আয়কর খাতের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়কর খাতে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। তবে ঘাটতি থাকলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয়কর খাতে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ভ্যাট আহরণে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ভ্যাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভ্যাটে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানি রির্টান জমার মেয়াদ বাড়ানোর কারণে আয়কর আদায় বেড়েছে। এছাড়া পণ্যমূল্যের বাড়তি দামের কারণে ভ্যাট আদায়ও বেড়েছে। শুল্ক বিভাগে রাজস্ব আহরণ কমেছে। তবুও নিয়ন্ত্রিত আমদানির মধ্যে শুল্ক প্রবৃদ্ধি দুই অংকের কোটায় থাকা অনেক বড় বিষয়। মূল বিষয় হচ্ছে, মিথ্যা ঘোষণা বন্ধের পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি বন্ধে জোর দিচ্ছে এনবিআর। যার কারণে রাজস্ব আহরণ তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। প্রথম ৯ মাসে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৯ মাসে শুল্ক ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। বড় ঘাটতি থাকলেও শুল্ক খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আগামী অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)’ অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়। জিডিপিতে একটি হ্রাস প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চ ফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো। নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা। সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক। ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশ মাছের (জাটকা) জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে- ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত এবং সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় হাজার কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের
গ্রামে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইট-কাঠে মোড়া নগরী ছাড়তে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ- সবখানেই বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। ঈদ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই রেল, সড়ক ও নৌপথে ঢাকা ছাড়ছে লাখো মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় এবার নেই দুর্ভোগের চিত্র। নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যাটাও নেহায়েত কম নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১ কোটি বা তারও বেশি মানুষ এই ঈদে বাড়ি ফিরবে। আর সে সুযোগে অতিরিক্ত হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ীরা। প্রায় ২ কোটি মানুষের বাস করে ঢাকায়। দেশের ৫২ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান এই জনপদে। চাকরি কিংবা ব্যবসার সুবাধে এ নগরীতে গ্রাম ছেড়ে প্রতিদিনই আসছে কর্মজীবী মানুষ। সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাও কম নয় এই শহরে। উৎসব আয়োজনে রাজধানীতে বসবাসরত মানুষগুলো ফিরে যায় গ্রামে থাকা প্রিয়জনের কাছে। তারমধ্যে সবচে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায় দুই ঈদে। আর একসঙ্গে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ার সুযোগ নেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সংকটের সুযোগে বাড়িয়ে দেন ভাড়া। পথে পথে থাকে ভোগান্তি। ঝক্কি ঝামেলা আর ভাড়া বৃদ্ধি যাই হোক, যেতে হবে বাড়ি। প্রিয় মুখের হাসির কাছে এসব কষ্ট নস্যি। ঈদ উৎযাপনে শুধু ঢাকা ছাড়বে ১ কোটির বেশি মানুষ। আর ঢাকার আশপাশ থেকে আরও প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ফিরে বাড়ি। এ ছাড়া ঈদ করতে এক জেলা থেকে অন্যজেলায় যাতায়াত করে অন্তত ৫ কোটি মানুষ। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান মনে করেন, কাজের প্রয়োজনে রাজধানীতে বসবাস করা মানুষের মধ্য থেকে ঈদে বাড়ি ফিরবে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। তবে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ে না ঘরমুখো মানুষের। তার মতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি ধারণা করছে এবছর ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের পকেট থেকে অসাধু পরিবহন বাবসায়ীরা বের করে নেবেন ৮৮২ কোটি টাকা। তবে সারা দেশে এই অঙ্ক ছাড়িয়ে যাবে হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ সড়ক পথে আর অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। এ ছাড়া আকাশ পথেও বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’য় মাসে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাপ ‘আস্থা’ এক মাসে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অ্যাপটি গত মাসে ডিজিটাল লেনদেনের এ মাইলফলক অর্জন করে, যা দেশের ব্যাংক খাতে মাসিক অ্যাপভিত্তিক লেনদেনে রেকর্ড। মার্চে ২ দশমিক ৩৮ লাখ গ্রাহক অ্যাপের মাধ্যমে ২১ লাখেরও বেশি ট্রানজ্যাকশন করেছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি-সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার কেন্দ্রবিন্দু আস্থা। ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এটি। এক মাসে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের রেকর্ড অর্জন প্রমাণ করে—আমাদের অ্যাপটি গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে এবং এটি গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশে পরিণত হয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

বিদেশি অর্থ মিলেছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে দেশে ঋণ ও অনুদান হিসেবে বৈদেশিক অর্থ এসেছে প্রায় ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। প্রতি ডলারে ১১০ টাকা হিসাবে দেশীয় টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে দেশে আসা বিদেশি ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫৩ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা (৪৮৭.৬৫ কোটি ডলার)। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশে বৈদেশিক অর্থ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। গতকাল সোমবার চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) বৈদেশিক ঋণ সহায়তার তথ্য প্রকাশ করে ইআরডি। প্রকাশিত এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এ সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এডিবি। সংস্থাটি অর্থ ছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপর বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। প্রতিবেদন তথ্যমতে, এ সময়ে সরকার সুদ ও আসলসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধের মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময় অর্থাৎ প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। এর মানে হচ্ছে, এক বছরের ব্যবধানে প্রথম আট মাসের হিসাবে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে, আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

এলএনজি আমদানি / পেট্রোবাংলার কাছে আটকা ১৪ হাজার কোটি টাকা
আইন অনুযায়ী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্যহারে শুল্ক-কর পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এর তোয়াক্কা করছে না বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পেট্রোবাংলা নিয়মিত এলএনজি আমদানি করে এলেও ২০২১ সাল থেকে পণ্যটির আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক কর পরিশোধে গড়িমসি দেখাচ্ছে। ফলে সংস্থাটির কাছে দিনদিন বাড়ছে বকেয়া শুল্ক-করের পরিমাণ। সবশেষ হিসাবে পেট্রোবাংলার ৩৭টি আইজিএম এবং ১৫৯টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে বকেয়া শুল্ক-করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা। এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এই বকেয়া শুল্ক-কর আদায়ে নিয়মিত বিরতিতে তাগাদা দিয়ে আসছে। এজন্য পেট্রোবাংলাকে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও এতে বকেয়া আদায়ের কোনো অগ্রগতি মিলছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃক ফের পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বরাবর অনুরূপ একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই বিপুল পরিমাণ অনাদায়ি বকেয়ার কারণে একদিকে যেমন দেশের সামগ্রিক ট্যাক্স জিডিপি রেশিওতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ওপর ধার্য করা বকেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, পণ্য চালান খালাসের ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পরিশোধের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার কাছে ১৪ হাজার কোটি টাকার বকেয়া পড়ে আছে। এটা আইনের ব্যত্যয়। সবচেয়ে বড় বিষয়, শুল্ক-কর পরিশোধ না করার কারণে ট্যাক্স জিডিপি রেশিওতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। একই সঙ্গে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের দুটি বিএল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক বকেয়া ছিল ১২৭ কোটি টাকা। পরবর্তী মাসে অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪টি বিল অব এন্ট্রির শুল্ক বকেয়া ছিল ৭৫৮ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি এলএনজি চালানের শুল্ক বকেয়া রয়েছে ৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। একই বছরের মার্চের পাঁচটি পণ্য চালানের বিপরীতে শুল্ক বকেয়া রয়েছে ২৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, মে মাসের ১০টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৪৫৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জুনের ১৫টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া জুলাইয়ের একটি চালানের ৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকা, আগস্টের ১০টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৭৭১ কোটি ১ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে ১৪টি এলএনজি চালানের বিপরীতে শুল্ক বকেয়া রয়েছে ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এলএনজির ১৫টি চালানের বিপরীতে বকেয়া রয়েছে ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে সাতটি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৫১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, মার্চে তিনটি চালানের বিপরীতে বকেয়া ২০৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, এপ্রিলে একটি চালানের বিপরীতে ৬৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আর মে মাসে সাতটি পণ্য চালানের বিপরীতে বকেয়া দাঁড়ায় ৪৬৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা জুলাইয়ের ৯টি চালানের বিপরীতে বকেয়া যোগ হয় ৫৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৪টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৩১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, অক্টোবরে ১০টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৬৯১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৯টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৫৮৩ কোটি টাকা এবং ডিসেম্বরের ১৩টি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৮৯৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি এলএনজি চালানের বিপরীতে বকেয়া ৭৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ছয়টি চালানের বিপরীতে বকেয়ার পরিমাণ ৪২৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৩৭টি আইজিএমের বিপরীতে শুল্ক কর বকেয়ার পরিমাণ দাড়িয়েছে ২ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
১৮ মার্চ, ২০২৪
X