আফতাবনগরে পশুর হাট নয়: হাইকোর্ট
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সঙ্গে ওই আবাসিক এলাকায় হাট বসানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ বিষয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। এর ফলে কোরবানিতে আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানান আইনজীবীরা। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আফতাবনগর হাটের অংশের বৈধতা নিয়ে রিট করেন আফতাবনগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী এবং সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন কাজল।
০৯ মে, ২০২৪

আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোয় নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীর আফতাবনগরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। আদালতে এ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী। গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তপশিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত।
০৮ মে, ২০২৪

ভোরের আলো ফুটতেই জমে ওঠে শ্রমিকের হাট
ভোরের আলো ফোটার আগেই জীবিকার জন্য কাজ খুঁজতে আসা মানুষের আনাগোনায় মুখরিত হতে শুরু করে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার শ্রমিকের হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বড়ধুশিয়া এলাকায় এ হাট বসে। এখানে পণ্যের মতো দর-কষাকষি করে কেনাবেচা হয় মানুষের শ্রম। ভোরের আলো ফুটতেই জমে ওঠে শ্রমিকের এ হাটটি। এ হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন নানা বয়সের শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমিক খুঁজতে আসা কৃষকরাও হাটে এসে পেয়ে যান তাদের কাজের জন্য শ্রমিক। সরেজমিনে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া বাজারে দেখা গেছে, সড়কের পাশে নানা বয়সের শ্রমজীবী মানুষ। তাদের হাতে ব্যাগ, কাস্তে ও ভার। কেউ কেউ আছেন খালি হাতেই। বাজারের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে শ্রমিকরা জটলা পাকিয়ে কাজের অপেক্ষা করছেন। হাটে ওঠা শ্রমিকরা কেউই এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন তারা। কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে চলে শ্রমের দরকষাকষি। উভয়ে দরদামে সন্তুষ্ট হলে শ্রমিক পেয়ে যাচ্ছেন কাজ, আর কৃষকরা পেয়ে যাচ্ছেন কাজের মানুষ। এভাবেই চলছে শ্রম বেচাকেনা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা এ বাজারেই আসেন শ্রমিক নিতে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন তারা। প্রতি মৌসুমের শুরু ও শেষের দিকে তারা কাজের খোঁজে এ হাটসহ জেলার অন্যান্য হাটে আসেন। তারা বেশিভাগই কৃষিকাজ, নির্মাণকাজ করে থাকেন। কেউ কেউ আসেন দুয়েক মাসের জন্য। আবার থাকার সুবিধা কিংবা ভালো কাজ পেয়ে গেলে অনেকে থেকে যান বছরের পর বছরও। পছন্দের কাজ না পেলে অনেকে এক হাট থেকে ছুটে যান অন্য হাটে, এক মালিক থেকে অন্য মালিকের কাজে। নিজেদের এলাকায় এ সময় কাজ না থাকায় একটু বাড়তি রোজগারের আশায় তারা এ হাটে এসেছেন। কাজের খোঁজে ভোর না হতেই প্রতিদিন এ হাটে জড়ো হতে শুরু করেন তারা। লালমনিরহাট থেকে আসা শ্রমিক বাতেন মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় কাজ কম। যে কাজ আছে তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না। তাই এ এলাকায় কাজের সন্ধানে এসেছি। ধানের সময়টা কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাব। ধান কাটার সময়ে আমরা কয়েকজন মিলে এ এলাকায় কাজের খোঁজে আসি। আরেক শ্রমিক নাজির মিয়া বলেন, ধান রোপণ ও কাটার সময় কাজের সন্ধানে এ এলাকায় আসি। কাজ ফুরিয়ে গেলে নিজের এলাকায় ফিরে যাই। দরদামে বনাবনি হয় না তাই মাঝেমধ্যে কাজ পাই না। তবে আমাদের এলাকার তুলনায় এ এলাকায় কাজ বেশি, এজন্যই আমরা আমাদের এলাকার কাজ শেষে অনেকে মিলে এখানে কাজ করতে আসি। বাজারে শ্রমিক নিতে আসা কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এলাকার স্থানীয় শ্রমিক এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। দূরদূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের ওপরেই আমাদের ভরসা। তাই বোরো ধান ঘরে তোলার কাজের জন্য এ হাটে এসেছি শ্রমিক নেওয়ার জন্য। কিছু শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, দরদামে মিলে গেলে তাদের নিয়ে জমিতে যাব। তবে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবার বোরো মৌসুমে শ্রমিকের সংখ্যা কম। স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম বলেন, এ হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনমজুররা আসেন কাজের খোঁজে। শ্রমিক খোঁজা স্থানীয় কৃষকরাও সহজেই শ্রমিক পেয়ে যান। স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অপু খান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, প্রতি মৌসুমে দূরদূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা এ বাজারে কাজের খোঁজে আসেন। স্থানীয় কৃষকরা এ বাজার থেকে তাদের কাজের জন্য শ্রমিকদের নিয়ে যান। প্রতি বছর ধানের মৌসুম ছাড়াও শ্রমিক পাওয়া যায় এখানে।
০৭ মে, ২০২৪

রাজধানীর যে ২২ স্থানে বসছে পশুর হাট
সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৬ বা ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করবে বাংলাদেশের মুসলমানরা। কোরবানির এই ঈদকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা।    এবার রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১টি অস্থায়ী হাট বসাতে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া সারা বছরজুড়েই সারুলিয়ায় হাট বসে দক্ষিণ সিটি এলাকায়। এটি তাদের স্থায়ী হাট। এবারের ১১টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা। ডিএনসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও এবার আরও ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তারা হাটগুলোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবারের অস্থায়ী হাটগুলো মধ্যে রয়েছে- ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, মোহাম্মাদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গা এবং খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গা।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণে ফের পশুর হাট পেলেন আ.লীগ নেতারা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসহ আশপাশের খালি জায়গায় বসবে পশুর হাট। ইজারাদার চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দরপত্র আহ্বানে মাত্র দুজন অংশ নেন। তবে শিডিউল কিনেছিলেন তিনজন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছেন মো. মইন উদ্দিন চিশতী। তিনি ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ছয়বার এই হাটের ইজারা পেয়েছেন তিনি। পোস্তগোলার মতোই ডিএসসিসির ৯টি অস্থায়ী পশুহাটের ইজারা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। শিডিউল জমা না পড়ায় দুটি হাটের ইজারা এখনো হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিটি হাটের ইজারা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে হচ্ছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও প্রভাব খাটিয়ে হাট দখলে নিয়েছেন সরকারি দলের প্রভাবশালীরা। অনেকে দরপত্র কিনলেও জমা দেওয়ার সাহস পাননি। তবে দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, হাট ইজারার দরপত্রে যারা অংশ নেন, তাদের কাগজপত্রে রাজনৈতিক পরিচয় লেখা থাকে না। সর্বোচ্চ দরদাতাকেই ইজারা দেওয়া হয়। প্রতি বছরই হাটের মূল্য বাড়ছে। এদিকে, গত কয়েক বছর দেখা গেছে কিছু হাটের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি বারবার ইজারা পাচ্ছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ডিএসসিসি এলাকায় পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্তদের তালিকায় দেখা গেছে, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় পশুহাটের ইজারা পেয়েছেন মোহাম্মদ সালমান সেলিম আশিক। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাজী সেলিমের পুত্র। ঢাকা-৭ আসনের এমপি সোলায়মান সেলিম চারবার এ হাটের ইজারা পেয়েছিলেন। হাটটির সরকারি মূল্য ছিল ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সালমান সেলিম ইজারা মূল্য দিয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার জন্য এ বছর তিনটি শিডিউল বিক্রি হলেও জমা দিয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর, সংসদ সদস্য আর আওয়ামী লীগ নেতাদের সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি। হাটটির সরকারি মূল্য ৪ কোটি ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তিনি ইজারা মূল্য দিয়েছেনে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড-সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের ইজারা পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। হাটের সরকারি মূল্য ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিপরীতে ইজারা হয়েছে ৬৮ লাখ টাকায়। এ হাটে ছয়টি শিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে তিনটি। হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় পশুহাটের ইজারা পাচ্ছেন মুহাম্মদ আবুল হাসনাত। তিনি হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনটি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়েছে দুটি। হাটটির সরকারি মূল্য ৩ কোটি ৩১ লাখ। ইজারা হয়েছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকায়। ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় হাটের ইজারা পেয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগ সভাপতি আসফাক আজিম। তিনি ছাড়া আর কেউ শিডিউল ক্রয় করেননি। পুরান ঢাকার ৯ কাউন্সিলর আর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি তিনি। প্রতি বছরের মতো এবারও এই সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিয়েছে কে পশুর হাটের ইজারা নেবে। ধোলাইখাল ট্রাক স্ট্যান্ডের উন্মুক্ত জায়গায় হাটের ইজারা দেওয়া হলেও এর পরিধি রায়সাহেব বাজার, দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা থেকে লোহারপুল এলাকাও ছাড়িয়ে যায়, যা ৯ কাউন্সিলরের এলাকার সীমানার মধ্যে পড়ে। আগে দুটি হাটের ইজারা স্থানীয় কাউন্সিলররা ভাগাভাগি করে নিতেন। এখন এই ৯ কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা একটি হাট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইজারা নেন। হাট ইজারার সঙ্গে আছেন স্থানীয় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ছেলে ইমতিয়াজ মন্নাফী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি সারোয়ার হোসেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদউল্লাহ মিনু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। হাটটি ইজারার সরকারি দর ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ, ইজারা হয়েছে ৪ কোটি ৩ লাখ টাকায়। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, গত বছর আমি পশুর হাটের মধ্যে ছিলাম না। কিন্তু এ বছর ৯ কাউন্সিলর আর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মিলে হাট নিয়েছেন। ইজারাদার আমাদের ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সারোয়ার হোসেন আলোর বন্ধু। আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গায় হাটের ইজারা পেয়েছেন এস এম নেওয়াজ সোহাগ। তিনিও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে যুক্ত। সোহাগ ছাড়া আরেকজন দরপত্র কিনলেও জমা দেননি। মেরাদিয়া বাজার-সংলগ্ন খালি জায়গার ইজারা পেয়েছেন খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবু সাঈদ। হাটটির সরকারি মূল্য ২ কোটি ৩৬ লাখ। ইজারা হয়েছে ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকায়। এই হাটের ইজারা নিতে চারজন দরপত্র কিনলেও জমা দিয়েছেন দুজন। উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গায় হাটের ইজারা পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর হামিদুল হক। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এই হাটটি সাত বছর ধরে শাহজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ ইজারা নেন। কিন্তু এ বছর তিনি হজে যাবেন বলে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সাবেক কাউন্সিলরের নামে হাটের ইজারা নেওয়া হয়েছে। নামমাত্র দরপত্রে অংশ নেন আব্দুল লতিফ। তবে এই হাটটি বরাবরের মতো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, হজে যাওয়ার কারণে এ বছর হাটটি নিজের নামে নেওয়া হয়নি। ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ডিএসসিসি ১১টি কোরবানির পশুর হাটের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় গত ৪ এপ্রিল। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ের দর আহ্বান হয়েছিল। এতে ৯টি হাটের ইজারার উন্মুক্ত দরপত্র করা হয়। বাকি দুটি হাটের মধ্যে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব-সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গায় কেউ কোনো শিডিউল কেনেননি। তবে এ হাটটি বরাবরের মতো ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি নিয়ন্ত্রণ করেন। গত বছরও প্রথম পর্যায়ে এই হাট ইজারা নিতে কেউ দরপত্র কেনেননি। আর আফতাবনগর খালি জায়গায় দুটি শিডিউল বিক্রি হলেও কেউ জমা দেননি। আগামী ১৩ ও ২৮ মে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের দরপত্র আহ্বান করা হবে। কোরবানি পশুর হাট বরাবরের মতো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে কি না—এমন প্রশ্নে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী কালবেলাকে বলেন, ‘দরপত্র আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করে দিয়েছি। শিডিউল বিক্রি হয়েছে সংখ্যায় বেশি। তবে সবাই দরপত্র জমা দেননি। এটি প্রথম পর্যায়। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও দরপত্র নেওয়া হবে।’
০৪ মে, ২০২৪

রাজধানীর যে ২০ স্থানে বসছে পশুর হাট
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি দুমাসেরও কম সময়। আগামী ১৬ বা ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করবে বাংলাদেশের মুসলমানরা। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। এবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বসবে ২০টি বৈধ অস্থায়ী পশুর হাট। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসবে ১১টি, আর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসতে যাচ্ছে ৯টি। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাবতলী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সারুলিয়া এই ২টি স্থায়ী হাটেও কেনা-বেচা হবে কোরবানির পশু। সব মিলিয়ে কোরবানির ঈদের আগে রাজধানীতে পশুর হাটকেন্দ্রিক একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।  দক্ষিণ সিটির ১১ হাট আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ১১টি অস্থায়ী হাট বসাতে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া সারা বছরজুড়েই সারুলিয়ায় হাট বসে দক্ষিণ সিটি এলাকায়। এটি তাদের স্থায়ী হাট। এবারের ১১টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা। উত্তর সিটিতে হাট বসবে ৯টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও এবার আরও ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তারা হাটগুলোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবারের অস্থায়ী হাটগুলো মধ্যে রয়েছে- ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, মোহাম্মাদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গা এবং খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গা।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বরেন্দ্র হাট ইজারা ছাড়াই খাজনা আদায়ের অভিযোগ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
নওগাঁর নিয়ামতপুরে সপ্তাহে দুই দিন কাঁচাবাজারসহ ছাগলের হাট বসলেও সরকারিভাবে হাট ইজারা না নিয়ে খাজনা আদাযয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারিভাবে এ হাট ইজারা দেওয়া না হলেও স্থানীয় কিছু অসাধু সিন্ডিকেট দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ইচ্ছামতো খাজনা আদায় অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় এ হাট অন্তর্ভুক্ত করে সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ার দাবি করেছেন ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী। তবে প্রশাসন বলেছে, আইনগত কিছু সমস্যা থাকায়, বরেন্দ্র হাট তালিকাভুক্ত করা যাচ্ছে না। আরও জানা যায়, পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ে কেউ প্রতিবাদ করলে খাজনা আদায়কারী বাহিনীরা ঘরের মধ্যে তুলে সেই ব্যক্তিকে নির্যাতন করে। এ হাট থেকে গড়ে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খাজনা আদায় হয়। পুরো টাকাই নামধারী ইজারাদার আতিকুর ইসলামের পকেটে যায়। অথচ সরকার এ হাটের ইজারা থেকে বঞ্চিত। গত ২০ বছরে এ হাট থেকে কমপক্ষে কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিয়ামতপুর-ধানসুরা আড্ডা আঞ্চলিক সড়কের রাস্তার দুই ধারে বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার লিল্লাহি বোডিংয়ের সৌজন্যে কাঁচা বাজার ও পশুর হাট বসানো হয়। এরপর প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার ওই স্থানে হাট বসে। তবে বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পন্থায় মাদরাসার অধ্যক্ষ আতিকুর ইসলাম হাটের চাঁদা ও খাজনা আদায় করে নিজের পকেটে রেখে দেয়। বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার ৮ থেকে ১০ বিঘা ধানী জমিও রয়েছে। অথচ অত্র মাদরাসার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। শবিবার (২০ এপ্রিল) ছিল হাটবার। সরেজমিনে বরেন্দ্র হাটে গিয়ে দেখা যায়, বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার শিক্ষক ইসমাইল হোসেন হাটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করেন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ছাগলের খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও হাটে  হকারদের কাছ থেকে ১০ টাকা ও মাছ বাজার, কাঁচা বাজারসহ অন্যন্যা দোকানগুলো থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরেন্দ্র হাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আতিকুর ইসলাম এই হাটের খাজনা আদায় করে তিনি নিজ পকেটে রেখে দেন। এই হাট থেকে সরকার বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। বটতলী হাটের ইজারাদার সেলিম উদ্দীন বলেন, বরেন্দ্র হাটে ছাগলের হাট বসলে আমাদের হাটে ওই এলাকা থেকে তেমন কোন ছাগল আসে না। ফলে পাশ্ববর্তী হাট বসায় আমরা বিপাকে রয়েছে। বরেন্দ্র হাটের নামধারী ইজারাদার ও বরেন্দ্র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আতিকুর ইসলাম বলেন, মাদরাসার এতিম বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য এবং মাদরাসার উন্নয়নে এসব টাকা খরচ করা হয়। হাটে ছাগলের অতিরিক্ত খাজনা আদায় নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার যা ইচ্ছা হয় তাই লিখেন। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না। শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বরেন্দ্র হাট ইজারা না দেওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ইউএনও সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব হাটটি ইজারার আওতায় আনা হবে। নিয়ামতপুর ইউএনও ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, বেশ কিছু জটিলতার কারণে হয়তো হাট ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি এই বিষয়ে অবগত হওয়ার পর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। যত দ্রুত সম্ভব হাটটি ইজারা দেওয়া হবে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

হাট ইজারার দ্বন্দ্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটালেন আ.লীগ নেতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইজারা না পেয়ে হাটের টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা পুলিশকে জানানোয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই নেতা। অভিযুক্ত আরাফাত রহমান সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় হাটের ইজারাদার আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আরাফাতসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত বুধবার মামলার পর বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলা নতুন বছরে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচলিয়া হাটের ইজারা পান আব্দুল মান্নান। গত মঙ্গলবার সকালে তিনি ও তার প্রতিনিধিরা হাটে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আরাফাতের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে মান্নানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে টোল আদায়কারীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এরপর হাটের দোকানিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক খাজনা আদায় করেন। বিষয়টি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে জানানো হলে তিনি হাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন। ইজারাদার আব্দুল মান্নান বলেন, আরাফাত নিজেকে এলাকার সর্বেসর্বা বলে ঘোষণা করেন। হাটের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে চাঁদা চান। পুলিশকে সবকিছু বলে দেওয়ায় ঘটনার দিন রাতে জিল্লার নামে একজনকে চড়-থাপ্পড় মারেন আরাফাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজুলকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। আহত হাফিজুল সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক জানান, ১৬ তারিখ পাঁচলিয়া হাটে ইজারা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাফিজুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত আরাফাত রহমান হাটে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। তিনি বলেন, ইজারাদার বাইরে থেকে লোক এনে টোল আদায় করে, পাঁচলিয়া গ্রামের লোকজন এর প্রতিবাদ করে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ঝামেলা হয়। মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হালকা-পাতলা মারধর হয়েছে; তবে সেটা আমার নেতৃত্বে নয়।’
২০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকা যেন ভিক্ষুকের হাট
ঢাকা যানজটের শহর, মশার শহর, ঢাকা নিকৃষ্ট বায়ুর শহর, ঢাকা আগুনের শহর। ইদানীং মনে হচ্ছে ঢাকা ভিক্ষুকের শহর। এ শহরে ভিক্ষুক অনাদিকাল থেকেই ছিল। কিন্তু এখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে উঠেছে এ অত্যাচার। পুরো রাজধানীতে যেন ভিক্ষুকের ঢল নেমেছে। পথ চলতে তারা মানুষের কাছে হাত পাতছে, গাড়ি থামলে জানালায় আঘাত করছে। ছোট বাচ্চা থেকে অতি বয়স্ক নারী-পুরুষ সব শ্রেণির ভিক্ষুকে ভরপুর এ শহর। তবে কি দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে? অভাবী মানুষের সংখ্যা বাড়ায় ভিক্ষুক বাড়ছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজ নয়। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া, বেকার হয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের অভাবসহ সার্বিক অর্থনীতির শোচনীয় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চারদিকে অভাব আঁচ করা যায়। অনেকে বলে থাকে, পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই ভিক্ষা করতে ঢাকায় আসে, যারা বাস্তবে ভিক্ষুক নয়। অনেকে বলে থাকে, ভিক্ষাবৃত্তি একটি ব্যবসা হিসেবে দাঁড়িয়েছে এ শহরে। এসব মেনে নিয়েও বলতেই হবে শহরে প্রকৃত ভিক্ষুক ব্যাপক হারে বাড়ছে। বাড়ি, অলিগলি, বাজার, শিক্ষাঙ্গন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হাসপাতাল; সবখানেই শুধু ভিক্ষুক আর ভিক্ষুক। পঙ্গু, অন্ধ, খোঁড়া, বয়স্ক মানুষের সঙ্গে শারীরিকভাবে ভালো মানুষকেও ভিক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের যে বিশাল প্রচার, তার সঙ্গে এ ভিক্ষুকের উপদ্রব যায় না। দ্বিতীয়ত প্রশ্ন উঠবেই যে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও ঢাকা শহরে কেন ভিক্ষুক? সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী হয়তো বলবেন যে, ঢাকা শহরে ভিক্ষুকদের উৎপাত নিরসনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দশ বছরেরও বেশি সময় আগে ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল ও পুনর্বাসনের জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল সরকার। তবে সেটি যে ব্যর্থ হয়েছে তা শহরের যে কোনো স্থানেই দৃশ্যমান। শুধু ঢাকা নয়, সব শহরেই একই চিত্র। কোনো উদ্যোগেই ভিক্ষুক কমছে না। শহরের বড় রাস্তা ছেড়ে, ঘনবসতি এলাকা পূর্ণ করে ভিক্ষার হাত এখন পুরো শহর এলাকারও অলিতে গলিতে। উন্নয়নের যত প্রচেষ্টাই থাকুক, যত কথাই বলা হোক, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় মানুষ অভাব সামলে নিতে পারছে না এবং সে কারণেই শহরে অভাবী মানুষ হাত পাতছে মানুষের কাছে। বাস্তবতা হলো, বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়ায়-পাড়ায় এখন যে হারে ভিক্ষুক আসে সেটি কয়েক বছর আগেও এমন ছিল না। তবে প্রকৃত অভাবীর পাশাপাশি প্রচুর পেশাদার ভিক্ষাজীবী যে আছে, সেটাও অস্বীকার না করেও বলতে হবে যে, ঢাকা এখন ভিক্ষুকের হাট। রাস্তায়, ফুটপাতে, ট্রাফিক সিগন্যালে, পাড়ায়-পাড়ায় বাড়িঘরের সামনে শুধু ভিক্ষুক আর ভিক্ষুক। সারা দেশের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজের সামনে, মাজার, বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটে অজস্র ভিক্ষুক। পুরো দেশ দূরে থাক, শুধু এ ঢাকা শহরে কত ভিক্ষুক আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও জানা নেই। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কূটনৈতিক এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি এবং সামগ্রিকভাবে রাজধানীকে ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একসময় ঢাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সক্রিয়তাও ছিল। এখন অভিযান বন্ধ থাকায় ভিক্ষুক বাড়ছে দেদার। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডি এলাকা ভিক্ষুকদের জন্য নিষিদ্ধ হিসেবে পরিচিত। এই তিন এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত থাকার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। গুলিস্তান, ফার্মগেট বা যাত্রাবাড়ীর চেয়ে এখন এসব অঞ্চলেই ভিক্ষুকের সংখ্যা বেশি। তাই ভিক্ষুকমুক্ত সাইনবোর্ড এখন এক প্রহসনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আইনে ভিক্ষাবৃত্তিকে সহায়তাকারী বা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত অপরাধে অন্তত তিন বছরের কারাবাসের বিধান রয়েছে। সরকারও এ ধরনের কাজে উৎসাহদানকারী চক্রের দমনে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নানা সময়ে বলেছে। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। ২০১০ সালে দেশে ভিক্ষাবৃত্তির মতো অমর্যাদাকর পেশা থেকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর আবাসন, ভরণ-পোষণ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে এ কাজে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এ কাজে বিভিন্ন এনজিওকে যুক্ত করা হয়েছিল। উদ্যোগ ছিল ভিক্ষুকদের নিজ নিজ জেলায় পুনর্বাসন করার। কিন্তু সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। তাহলে সমাধান আসলে কোথায়? শাসনব্যবস্থা পরিচালনাকারীদের সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রথমে ভাবতে হবে বৈষম্য নিয়ে। আর্থিক অসাম্য দূর না হলে আমাদের সব সংকল্প ব্যর্থ হয়ে যাবে। যারা নীতিনির্ধারণী জায়গায় আছেন, তাদের মানতে হবে যে পরিস্থিতি সঙ্গিন। সমস্যাটি সমৃদ্ধির নয়, আর্থিক প্রবৃদ্ধির হারেরও নয়। অতিমারির ধাক্কা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও শুধু নয়। উৎপাদনের সমস্যাও নয়, সমস্যাটি বণ্টনের, সমস্যা রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে। মানুষের জন্য সৃষ্ট রাষ্ট্র তার শাসনপ্রণালিতে মানুষের জন্য কোনো ভাবনা রেখেছে কি না, সমস্যা সেখানে। আমাদের প্রবৃদ্ধি আর মাথাপিছু আয় বাড়ার বড় গল্প চালু আছে। কিন্তু সেই বৃদ্ধির সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে কি না, সেটা ভাবা হয়নি একদম গভীরে গিয়ে। অথচ মানুষের আর্থিক বৃদ্ধির ভাগীদার হওয়ার অধিকার অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধি, অধিকতর মানুষের ক্রমশ অভাবের অতলে পৌঁছে যাওয়ার দৃষ্টান্ত এই ভিক্ষুক বেড়ে যাওয়া। অতিমারি, হরেক ধাক্কায় নাজেহাল এ বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের কথা কোথাও সেভাবে উচ্চারিত হয় না। ধনী আরও ধনী হচ্ছে আর গরিব আরও গরিব। আর দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরই একটি অংশ বেকার, কর্মহীন বা অসুস্থ হয়ে ভিক্ষাবৃত্তির পথে পা বাড়াচ্ছে। ভিক্ষাবৃত্তি কোনো স্বীকৃত পেশা নয়, কোনো শোভন পেশাও নয়। শারীরিকভাবে অক্ষম, দৈহিকভাবে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের পাশাপাশি আছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীরা। এর বাইরে বেকারত্ব, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মসংস্থান সংকটের কারণে যেমন ভিক্ষুক বাড়ছে, তেমনি আছে শ্রমবিমুখতা। অর্থনৈতিক শোচনীয় অবস্থার কখনোই অস্বীকার করা যায় না। দেশের মানুষ কষ্টে আছে। দেশের প্রতিটি অর্থনৈতিক সূচকই এখন নিম্নগামী। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এমআরটি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট হয়েছে ঠিকই, তবে সেইসঙ্গে চিন্তা করতে হবে সাধারণ মানুষের জীবনমান নিয়ে। অভাব-অনটনে পড়েই মানুষ ভিক্ষুকে পরিণত হচ্ছে, এই তত্ত্ব উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। বহু মানুষ এখন দুবেলা ঠিকমতো খেতে পারছে না। সরকারি বিবিএসের হিসাবেই বর্তমানে দেশের চার কোটি মানুষ ঋণ করে খাবার কেনে। অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য এসব মানুষকে ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে। বাস্তবে হয়তো বিবিএসের এ হিসাবের চেয়ে আরও বেশি মানুষ এখন এ ধরনের জীবনযাপন করছে। ঠিকমতো খাবার খেতে না পারায় ক্ষুধার জ্বালায় অনেকে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামছে। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক অনাচার—এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এর প্রতিকার খুঁজতে হবে সরকারকে। অবশ্যই প্রচুর অভাবী মানুষ বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছে, তবে অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন চক্র। আমরা জানি সারা দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা সম্ভব নয়। কিন্তু কোনো পক্ষকেই প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা আমরা অনেক শুনেছি। এগুলোতে কোনো কাজ হবে না। সরাসরি ভিক্ষাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ভিক্ষাবৃত্তি যেমন কোনো পেশা নয়, তেমনি ভিক্ষা দেওয়ার নামে কোনো একজনকে করুণা করাও কোনো সুনাগরিকের কাজ নয়। লেখক: প্রধান সম্পাদক, গ্লোবাল টেলিভিশন
২৯ মার্চ, ২০২৪

অস্কার ২০২৪ / লালগালিচায় তারার হাট
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অস্কারের ৯৬তম আসরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় থাকা সিনেমাগুলোর মধ্যে দাপুটে নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতাসহ অস্কারের মোট সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছে। এ ছাড়া অস্কারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়া সিনেমা হলো ‘পুওর থিংস’। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠেছে অভিনেত্রী এমা স্টোনের হাতে। তবে অস্কার রজনীতে অনুষ্ঠান প্রবেশের লালগালিচায় বসেছিল তারার হাট। হলিউড অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এ দিন পরেছিলেন চোখ ধাঁধানো সব পোশাক ও জুয়েলারি। তারকাদের এমন পোশাক নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ইয়াহু এন্টারটেইনমেন্ট। কিলিয়ান মার্ফি প্রথমবারের মতো আইরিশ অভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেছেন অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। লাল গালিচাতেও তিনি হাজির হয়েছিলেন নজর কাড়া পোশাকে। ট্র্যাডিশনাল স্যুটে উপস্থিত হতে দেখা যায় তাকে। এমা স্টোন এবারের অস্কারের লাল গালিচায় সবাইকে চমকে দেন অভিনেত্রী এমা স্টোন। লুই ভুইতোঁর একটি কাস্টমাইজ করা সাদা গাউন পরে রেড কার্পেটে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় তার গলায় ছিল ডায়মন্ডের নেকলেস। মার্গট রবি বার্বি তারকা মার্গট রবি লাল গালিচায় ছিলেন আলোচনার দ্বিতীয় স্থানে। ভার্সেস ব্র্যান্ডের কালো লম্বা গাউন পরে হাজির হন তিনি। আমেরিকা ফেরেরা মার্কিন অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেরা। অস্কারের ৯৬তম আসরে তিনি বার্বি সিনেমার জন্য পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পান। পুরস্কার তার হাতে না উঠলেও পোশাকে চমকে দিয়েছিলেন এই তারকা। বার্বির সঙ্গে মিল দিয়ে তিনি ভার্সেসের হট পিঙ্ক কালারের একটি হাতা কাটা গাউন পরে আসেন। ব্রাডলি কুপার অভিনেতা ব্রাডলি কুপার এদিন মা গ্লোরিয়া ক্যাম্পানোর সঙ্গে কালো স্যুট ও বেলবটম প্যান্ট পরে হাজির হন। তবে তার পোশাকের ব্র্যান্ড উল্লেখ করা হয়নি। বিলি আইলিশ ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও গায়িকা বিলি আইলিশ। অস্কারের মঞ্চে তিনি এবার তার জনপ্রিয় গান ‘হোয়াট ওয়াস আই মেড ফর?’ পারফর্ম করেন। লাল গালিচায় তিনি চ্যানেল টুইড ব্লেজার সঙ্গে বড় মোজা পরে হাজির হন।   জেনিফার লরেন্স দ্য হাঙ্গার গেমস তারকা জেনিফার লরেন্স। এবারের অস্কারের লাল গালিচায় তিনি ডিওর ব্র্যান্ডের একটি গর্জিয়াস গাউন পরে হাজির হন। এ সময় তার হাতে ছিল হীরার ব্রেসলেট। ডোয়াইন জনসন হলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা ডোয়াইন জনসন। অস্কারের লাল গালিচায় তিনি নজর কেড়েছেন একটি সিল্ক স্লেট থ্রি-পিস স্যুট এবং একটি বারগান্ডি সিল্ক স্কার্ফ পরিহিত করে। মার্লে ম্যাটলিন দ্য কোডা অভিনেত্রী মার্লে ম্যাটলিন অস্কারের লাল গালিচায় উপস্থিত হয়েছিলেন চকচকে পার্পেল গাউনে। ভেনেসা লোজেঞ্জেস মার্কিন সংগীত তারকা ভেনেসা লোজেঞ্জেস। অস্কারের লাল গালিচায় তিনি হাজির হয়েছিলেন বেবি বাম্প নিয়ে। প্রথমবারের মতো মা হতে যাওয়া এই শিল্পীর পরনে ছিল ভ্যালেনতিয়াগা ব্র্যান্ডের একটি লম্বা গাউন। অস্কার ২০২৪-এর আরও খবর থাকছে তারাবেলা পাতায়।  
১২ মার্চ, ২০২৪
X