মাদক খাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার এমপিকে যৌন হেনস্তা
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের এক নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে দেশটিতে। ব্রিটানি লউগা নামের এই নারী এমপি জানিয়েছেন, তাকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে। সম্প্রতি সন্ধ্যার পর একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের অজান্তে তাকে মাদক সেবন করিয়ে যৌন হেনস্তা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে তার নিজের নির্বাচনী এলাকা ইয়েপ্পুনে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের ৩৭ বছর বয়সী এই এমপি গত ২৮ এপ্রিল প্রথমে পুলিশের কাছে এবং পরে হাসপাতালে যান। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। ব্রিটানি লউগা ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘হাসপাতালে পরীক্ষায় আমার দেহে মাদক পাওয়া গেছে, যেটি আমি গ্রহণ করিনি। এই মাদক আমার দেহে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এমন ঘটনা যে কারও সঙ্গে হতে পারে। আর দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেকের সঙ্গে এমনটি হয়ে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি ঠিক নয়। এ ধরনের হেনস্তা ছাড়া আমাদের সমাজের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ থাকতে হবে।’ কুইন্সল্যান্ডের আবাসনমন্ত্রী মেগান স্ক্যানলন এ ঘটনা জানার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এটিকে ‘জঘন্য’ এবং ‘ভয়ংকর’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘ব্রিটানি একজন সহকর্মী, একজন বন্ধু এবং কুইন্সল্যান্ড সংসদের একজন সদস্য। তার সম্পর্কে এগুলো পড়া খুবই বিস্ময়কর।’
০৬ মে, ২০২৪

রামেক হাসপাতালে সাংবাদিককে হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দালালের!  
উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবার সাংবাদিককে হেনস্তা করে হত্যার হুমকি দিলো দালাল সদস্যরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মাহাবুল ইসলামকে এই হুমকি দেয়া হয়। এসময় নিজেকে হাসপাতালের ‘স্টাফ’ পরিচয় দিয়ে ওই প্রতিবেদককে মারপিটের চেষ্টা করে। পরে তার ডাকে আরও কয়েকজন দালাল একত্রিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। প্রতিবেদক ছবি তোলায় ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে দালালরা। ফোন ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে ফোনের ‘ছবি ডিলিট’ করতে কয়েকজন দালাল মিলে সাংবাদিককে হেনস্তা করে। এসময় হাসপাতালের বাইরে বের হলেই হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রতিবেদক আনসার সদস্যদের ফোন দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে আরেকজন দালাল সদস্য আবারও ফিরে এসে নিজেদের ‘কথিত সাংবাদিক’ এর কাছের লোক দাবি করে হাসপাতালের বাইরে বের হলেই ‘দেখে নেয়ার’  হুমকি দেয়। হাসপাতালের বর্হিবিভাগের তথ্যকর্মী সামিয়া খাতুন বলেন, এদিন ওই সাংবাদিকের ডাকে আমি এগিয়ে আসি। আনসার সদস্যদেরও ডাকি। টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়। পরক্ষণেই আরেকজন দালাল এসে কথিত সাংবাদিকের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে বাইরে বের হলে সোনার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক মাহাবুল ইসলামকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হেনস্তার শিকার সাংবাদিক মাহাবুল ইসলাম বলেন, আমি বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টারের ছবি নিচ্ছিলাম। পরক্ষণেই হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়ে কেন ছবি তুলছেন? তা নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। অন্য দালালরাও এগিয়ে আসে। ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় কথিত দুই সাংবাদিকের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। ঘিরে ধরে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে। পরে আনসার সদস্যদের ফোন করার উদ্দেশ্যে কল লিস্টে প্রবেশ করতেই সিনিয়র কর্মকর্তাদের নাম্বার সেভ করা দেখে পালাতে থাকে। পরে হাসপাতালের তথ্যকর্মীর সামনে বাইরে বের হলে আরেক দফা হুমকি দেয়। এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ জানান, হাসপাতাল দালালমুক্ত করার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগের মতো দালাল আর নেই। কেউ দালাল এটা বুঝতে পারলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারপরও কিভাবে ঠুকে পড়ছে? দেখছি। আর সাংবাদিককে হেনস্তার বিষয়টি আমি জেনেছি।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি নারীকে যৌন হেনস্তার হুমকি
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও একদল ফিলিস্তিনি। মুক্তি পেয়ে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন এসব ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন নারী বন্দিরা। তাদেরকে যৌন হেনস্তার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রুকাইয়া আমরো নামের এক নারী নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ইসরায়েলিদের আচরণের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি সবশেষ মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের একজন। তার কাছে আলজাজিরার সাংবাদিক আবদেল হামিদ জানতে চান যে, অন্য বন্দিদের মতো তিনিও কারাগারে যৌন হেনস্তার হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন কি না। এর জবাবে তিনি হ্যাঁসূচক উত্তর দেন। তার আগে মুক্তি পাওয়া অন্যরাও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন।  রুকাইয়া বলেন, তারা আমাদের বানানো ভিডিও দেখাত। কিন্তু মেয়েরা এসব দেখতে প্রত্যাখ্যান করত। এমনকি ইসরায়েলি গার্ডরা তাদের বলত যে দেখা আমরা তোমার সাথেও এমন করতে চলেছি। এটা এমন সব বিষয়ে যা আমি বলতেও পারব না।  এর আগে বন্দিদের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ করেন ফিলিস্তিনিরা।  জেনিনের বাসিন্দা মোহাম্মাদ নাজেল নামের এক তরুণ জানান, সপ্তাহখানেক আগে ইসরায়েলের গার্ডরা পিটিয়ে তার হাত ও আঙুল ভেঙে দিয়েছে। তার অভিযোগ, কারাগারে তাকে ন্যূনতম চিকিৎসাও দেয়নি। কেবল ফিলিস্তিনে হস্তান্তর করার সময় রেড ক্রসের সদস্যরা তার ভাঙা হাত একটি কাপড়ে ঝোলানো অবস্থায় পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা আমাকে কিছুই দেয়নি। ইসরায়েলিরা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি আঙুল নাড়াতেও পারছি না। নাজাল বলেন, কারাগারে বন্দিদের অবস্থা শোচনীয়। নেগেভ মরুভূমির যে কারাগারে তিনি ছিলেন সেটি নির্মমতার জন্য কুখ্যাত ছিল। সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে বৃদ্ধদের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমি তরুণ বলে আমি মানিয়ে নিতে পারছি। কিন্তু বৃদ্ধদের কি অবস্থা! নাজাল যখন অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে তার মা ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ধারণা নেই যে তার সঙ্গে কি ঘটেছে। সেখানে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। দেখাও করা যায় না। কোনো ধরনের কিছুই নেই।  
৩০ নভেম্বর, ২০২৩

যৌন হেনস্তা করায় গৃহশিক্ষক খুন
বাসায় পড়াতে গিয়ে গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রের যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে খুন করেছে ছাত্র। পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করেছে।  রোবাবর ( ৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।   এতে বলা হয়েছে, ওই গৃহশিক্ষক তার ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে হেনস্তা করে আসছিলেন। এমনকি তাকে হেনস্তার একটি ভিডিও ধারণ করেন তিনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ছাত্র তার গৃহশিক্ষককে খুন করে। দিল্লি পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করেছে।   পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ওই ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। এর তিন দিন আগে প্রতিশোধ নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে তার গৃহশিক্ষককে খুন করে।  দিল্লির দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের ডিসিপি রাজেশ ডিও বলেন, গত ৩০ আগস্ট ২টা ১৫ মিনিটে পিসিআরে একটি কল পায় পুলিশ। এতে বলা হয়, জামিয়া নগরের বাতলা হাউসের একটি ফ্লাটের দ্বিতীয় তলার রুম থেকে রক্ত বেরিয়ে আসছে। রুমের দরজাও খোলা অবস্থায় রয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। তার ঘাড়ে গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল।  পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অনুসন্ধানে পুলিশ জানায়, নিহত ওই শিক্ষক সমকামী ছিলেন। তিনি দুই মাস আগে ওই বাসায় গৃহশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রকে হেনস্তা করে আসছিলেন।  পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনার একটি ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্লাকমেইল করে আসছিলেন ওই শিক্ষক। এমনকি তাকে সহযোগিতা না করলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে একদিন ওই শিক্ষক ছাত্রকে দেখা করতে বললে সে কাগজ কাটার ধারালো ছুরি নিয়ে যায়। ওই ছুরি দিয়ে শিক্ষককে উপর্যুপুরি আঘাত করে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।  পুলিশের তথ্যমতে, মরদেহ উদ্ধার করা ওই এক রুমের বাসাটি গৃহশিক্ষকের পরিবারের মালিকানাধীন। তারা এটিকে ভাড়া দিতেন। তবে সম্প্রতি রুমটি এক ভাড়াটিয়া খালি করে দেন। আর সে ফাঁকা বাসাতেই তিনি খুন হন।     
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ড. ইউনূস প্রসঙ্গ / হেনস্তা বন্ধের আহ্বান মির্জা ফখরুলের
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতির সূর্যসন্তান উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার ও হেনস্তা বন্ধের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলের সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি। এতে ফখরুল বলেন, শতবছর পরও ড. ইউনূসকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তখন তারা এই ভেবে লজ্জিত হবে যে, এমন একজন বরেণ্য ব্যক্তির সঙ্গে সরকার কী ধরনের নিচ আচরণ করেছিল। ইউনূসের বিরুদ্ধে করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, উনাকে (ড. ইউনূস) যারা ছোট করতে চান, অপমান করতে চান, তারা আরেকবার জন্ম নিলেও তার সমান উচ্চতায় যেতে পারবেন না। এই সত্য মেনে নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাবাজি ও হেনস্তা বন্ধ করুন।
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X