এমভি আবদুল্লাহ / জিম্মিদশা থেকে ফেরা নাবিক বাবার জন্য মেয়েদের অপেক্ষা
ইয়াশরা ফাতেমা ও উমাইজা মাহদিন। ওদের বাবা আতিকুল্লাহ খান সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র চিফ অফিসার। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৩টা থেকে ফিরোজা রংয়ের জামা পরে দুই বোন অপেক্ষা করছিল চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে। বড় বোন  চোখে পরা ছিল লাভ আকৃতির একটি চশমা। তাদের চোখে-মুখে উচ্ছাস ও বাবাকে ফিরে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। উমাইজা মাহদিন কালবেলাকে বলেন, গতকাল থেকে ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবেন সেই প্রতীক্ষায়। ছোট্ট ইয়াশরা ফাতেমা বলেন, আজকে আমাদের প্রচণ্ড রকমের আনন্দের দিন। কারণ আজ আমার বাবার কাছ থেকে আর কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না। এদিকে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকরা। সোমালিয়ার জলদস্যুরে হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর অবশেষে চট্টগ্রামেফিরল ২৩ নাবিক। এর মধ্যে ২৩ নাবিকরে স্বজন-পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা অবসান হলো। নাবিকদের উৎকণ্ঠা কেটে যেতেই উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা আর পরিবারের স্বজনরা বরণ করে নেয় তাদের। মুক্ত হওয়া নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীও নাবিকদের বরণ করে নিতে রওনা হয়েছেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকরা। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের বরণ করতে উপস্থিত হয়েছেন স্বজনরা। পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।
১৪ মে, ২০২৪

২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আর মঙ্গলবার সকালে জাহাজটি সদরঘাট জেটিতে অবতরণ করে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হলো, এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান। ফলে বন্দর জেটিতে এটি ভেড়ানো সম্ভব হবে না। মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর নিয়ে দেশে রওনা দেয়।’ কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালবেলার কক্সবাজারের পেকুয়া প্রতিনিধি এস এম জুবাইদ বলেন, জাহাজের ২৩ নাবিক পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে বুধবার এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের সদরঘাটে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক। এ নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী ফিরোজা আজমিন মিনা। নাবিকদের আসার খবর নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম কবে দিনটি আসবে। অবশেষে ঘনিয়ে এসেছে। সোমবার সকালেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরবে। আমার কী যে আনন্দ লাগছে তা বলে বোঝাতে পারব না।’ জানা যায়, জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মুক্তিপণের বিনিময়ে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় জাহাজসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরে সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
১৪ মে, ২০২৪

আজ ঘরে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে। জাহাজটি সন্ধ্যায় নোঙর করে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজটির ২৩ নাবিকের আজ ঘরে ফেরার কথা রয়েছে। কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক। এ জন্য ২৩ নাবিকের পরিবারে চলছে নানা আয়োজন। নিজ নিজ পরিবারে নাবিকদের জন্য চলছে পছন্দের রান্নাও। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী ফিরোজা আজমিন মিনা। নাবিকদের আসার খবর নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম কবে দিনটি আসবে। অবশেষে ঘনিয়ে এসেছে। সোমবার (১৩ মে) সকালেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরবে। আমার কী যে আনন্দ লাগছে তা বলে বোঝাতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘যখন তারা দস্যুদের কবলে পড়েছিল, তখন ভাবতাম কখন এই দিন আসবে। কখন মুক্তি পাবে ও বাড়ি ফিরবে। গত দুই মাস ধরে তার বাড়ি ফেরার দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের তিন মেয়ে ফাতিমা, উনাইজা ও খাদিজাও অনেক খুশি। আতিক আগেও জাহাজে গিয়েছিল। বেশ কয়েক মাস পর পর বাড়ি ফেরে। তখন এমন মনে হয়নি, স্বাভাবিক ছিল। তার এবারের ফেরাটা আমাদের মাঝে অন্যরকম এক আনন্দ নিয়ে আসছে।’ জাহাজটিতে থাকা নাবিক নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে দেশে ফিরছে- কেমন লাগছে তা বলে প্রকাশ করতে পারব না। কাল আমিও সদরঘাটে যাব তাকে রিসিভ করতে। এরপর তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসব।’ তিনি বলেন, ‘এর আগেও সে জাহাজে কাজ শেষে দেশে ফিরেছে। আমরা কখনো বিমানবন্দর আবার কখনো চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি থেকে তাকে রিসিভ করেছি। এবারের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। তারা এক মাস দস্যুদের কবলে জিম্মি ছিল। এরপর মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরছে। নুর উদ্দিন দেশে আসছে এ জন্য তার পছন্দের সব খাবার রান্না করা হচ্ছে। সে মিষ্টি, কেক এবং পায়েস জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। আমি তার জন্য কেক, মিষ্টি, পায়েস তৈরি করছি। সে গরুর মাংস খেতে পছন্দ করে। বলা যায় তার পছন্দের সব খাবার আমি একে একে রান্না করছি।’ এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণ দিয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। তারপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এরপর ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছায়।  
১৪ মে, ২০২৪

এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক দুবাই ছাড়বেন আজ
অবসান ঘটছে সেই প্রতীক্ষার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ইতোমধ্যে কার্গো লোডিং শেষ করেছে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। আর এতে করেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, যাদের অপেক্ষায় পরিবার-স্বজনরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম। কালবেলাকে তিনি জানান, গতকাল দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আব্দুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে। আজ দিনের বেলায় জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছতে তাদের সময় লাগবে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে কয়লা খালাস করে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আব্দুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। তারপর ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের এক্স বার্তায় এমভি আব্দুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে। ওইদিন রাতে কবির গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছা পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে। সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে এমভি আব্দুল্লাহ। এর মধ্যে মুক্তির পর প্রায় ৪৮০ নটিক্যাল মাইল উচ্চ ঝুঁকির এলাকা পার হতে হয়েছে জাহাজটিকে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাল ফিরছেন ২৩ নাবিক
অবশেষে অবসান ঘটল সেই প্রতীক্ষার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ইতোমধ্যে কার্গো লোডিং শেষ করেছে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে  বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। আর এতে করেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, যাদের অপেক্ষায় পরিবার-স্বজনরা। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে কালবেলাকে তিনি বলেন, শনিবার দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে। রোববার দিনের বেলায় জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে কয়লা খালাস করে এমভি আবদুল্লাহ। তার আগে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। তারপর ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে। ওই দিন রাতে কবির গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছা পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে। সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে এমভি আবদুল্লাহ। এর মধ্যে মুক্তির পর জাহাজটিকে প্রায় ৪৮০ নটিক্যাল মাইল উচ্চঝুঁকির এলাকা পার হতে হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন যেভাবে
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। এজন্য দিতে হয়েছে মুক্তিপণ। কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এমভি আব্দুল্লাহ, সেই প্রশ্নের উত্তর জাহাজ মালিকপক্ষ না দিলেও সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।  এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার একই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  এদিকে নাবিকদের মুক্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে ২৩ নাবিকের পরিবারে। এখন প্রশ্ন হলো তাদের কীভাবে দেশে আনা হবে। জানা গেছে, ২১ নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এ ছাড়া ২ নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন।  নাবিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়।  এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।  এ ছাড়াও ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। তখন ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

এ মাসেই স্বজনের কাছে ফিরছেন ২৩ নাবিক
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বন্দি হওয়ার পর কঠিন সময় কেটেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, এর জন্য মুক্তির পরপরই নড়েচড়ে বসেছে কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং। বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরব আমিরাতের পথে রয়েছে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিক। চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়েছে। প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ফায়ার হোস (যেটি দিয়ে জোরে পানি ছিটানো হয়)। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ধীরগতির জাহাজটি নির্ধারিত সময়ের দুদিন পর ২২ এপ্রিল গন্তব্যে পৌঁছবে। ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের ২১ জনই জাহাজে অবস্থান করে চট্টগ্রামে ফিরতে চান। বাকি দুজন দুবাই থেকে দেশে ফিরবেন। সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে রয়েছে। এর সত্যতা নিশ্চিত করে কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আশা করছি, ২২ এপ্রিল সেখানে নোঙর করবে এটি। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেছেন, সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেষ্টনী যুক্ত করেছি। কাঁটাতারের এই ব্যবস্থা জাহাজেই ছিল। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি। জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় কেন ব্যবহার করা হয়নি কাঁটাতার—জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজ তখন হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি এলাকা। তখন আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।’
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি সেই ২৩ নাবিক মুক্ত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন তারা। নাবিকরা সুস্থ আছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।  পরে দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঈদের আগেই জাহাজটির মালিকপক্ষ নানা পর্যায়ে দরকষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আভাস দিয়েছিল। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করা যায়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। জলদস্যুরা কিছু একটা পাওয়ার জন্য জিম্মি করেছে নাবিকদের। কিন্তু তাদের কত টাকা দিতে হবে এটা বলা যাচ্ছে না। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তির প্রহর গুনছেন জিম্মি ২৩ নাবিক
সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক এখন গুনছেন মুক্তির প্রহর। ঈদের বাকি আর মাত্র ৯ দিন। এর আগেই বন্দিদশা থেকে তারা মুক্তি পাবেন—এমন প্রত্যাশা করছেন সবাই। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নিলে নাবিকদের মুক্তি দ্রুত হবে। জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষও বলছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ করছে বীমা কোম্পানিও। সরকারিভাবেও চালানো হচ্ছে চেষ্টা। কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন। দস্যুদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগেই যেন জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হলো ২৩ নাবিকের প্রাণ। যে কোনো মূল্যে যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন নাবিকরা ঠিক থাকেন, এটাই আমাদের চাওয়া।’ অন্যদিকে মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী মনে করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া গেলে নাবিকদের মুক্তিতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি জানান, অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, দস্যুদের সঙ্গে ভালোভাবে আলোচনা এগোলেই সমাধান সম্ভব। ওদের বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বোঝাতে পারলে, কম্পেনসেশন ক্লেইমটা (মুক্তিপণের দাবি) কমিয়ে আনতে পারলে এক মাসের মধ্যেই নাবিকদের মুক্তি সম্ভব। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সেই সময় জাহাজটিতে ২৫ দিনের খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুত ছিল। এরই মধ্যে জিম্মি দশার ১৭ দিন পার হয়েছে। প্রথম দিকে ২৩ জন নাবিকের জন্য রাখা খাবারে ভাগ বসায় দস্যুরা। কিছু দিনের মধ্যে সংকট তৈরি হলে জলদস্যুরা খাবার সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ। অনেক সময় নাবিকদেরও খাবার দিচ্ছে তারা।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ নাবিক উদ্ধার
আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের ছিনতাইকৃত একটি মাছ ধরার নৌকা উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ সময় এতে থাকা ২৩ জন নাবিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই পাকিস্তানের নাগরিক। খবর এনডিটিভির। গতকাল ২৯ মার্চ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ইয়েমেনের দ্বীপ সোকোত্রা থেকে প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমের সমুদ্রসীমা থেকে নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ জন সশস্ত্র জলদস্যু নৌকাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। এক ‍বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় ইরানি পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা আল-কাম্বার ৭৮৬ জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। এই খবর পাওয়ামাত্র ছিনতাই হওয়া জাহাজের গতিরোধ করতে দুটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার অভিযানের মাধ্যমে নৌকায় থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর নৌকাটিতে তল্লাশি চালায় ভারতীয় নৌসেনারা। একই সঙ্গে স্বাভাবাকি মাছ ধরার কাজে ফিরে যেতে নৌকাটি সমুদ্রযাত্রার জন্য উপযুক্ত কি না, তা-ও পরীক্ষা করেন তারা। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ডিসেম্বর থেকে ছিনতাই, ছিনতাইচেষ্টা বা সন্দেহজনক প্রচেষ্টার অন্তত ১৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জলদস্যুতা মোকাবিলায় জানুয়ারি মাসে লোহিত সাগরের পূর্বে দিকে কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। এ সময়ের মধ্যে ২৫০টির বেশি জাহাজ তল্লাশি করেছে দেশটি। চলতি মার্চের শুরুতে ভারতীয় নৌবাহিনী মাল্টার পতাকাবাহী রুয়েন নামের একটি কার্গো জাহাজ উদ্ধার করেছে। এ সময় জাহাজে থাকা ১৭ নাবিককে নিরাপদে উদ্ধারের পাশাপাশি ৩৫ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। গত ১৪ ডিসেম্বর জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর থেকে এই জাহাজ ব্যবহার করে সাগরে জলদস্যুতা করে আসছিল তারা।
৩১ মার্চ, ২০২৪
X